• Breaking News

    সোমবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২১

    কোটিপতির মেয়ে 💔🌱

    পর্ব ১

    -- হৃদয় হেটে হেটে কলেজের দিকে যাচ্ছিলো কিন্ত হৃদয় সময়ের দিকে একটুও খেয়াল করে নি ক্লাস এর সামনে যেতেই

    .... ম্যাম আসতে পারি ।

    ....হু,,হৃদয় কয়টা বাজে দেখতো ,,

    হৃদয় ঘড়ির দিকে তাকাতেই চোখ সরিয়ে নিলো কেননা আজ ও সে 20 মিনিট দেড়ি করে আসছে।।।

    .......... প্রতিদিনের মত আজকেও বাংলা ক্লাস চলছে সব ছাত্র-ছাত্রীর সামনে ক্লাসে কান ধরে দাড়িয়ে আছে হৃদয়। ১৫ মিনিট ধরে কানে হাত দিয়ে আছে হৃদয়। আর ক্লাসের ম্যাডাম হাত নামাতেই

    বলছেন না।। ম্যাডামের এমন আচরন দেখে হৃদয়ের কাঁদো কাঁদো মুখ ভাষা নির্বাক।

    আর ক্লাসের সবাই হৃদয়কে কে দেখে হাসাহাসি করছে.. এমন সময় ক্লাসের ভিতর নিলা প্রবেশ করে কোন রকম কথা না বলে হৃদয়ের গালে ঠাসসসস করে একটা থাপ্পর বসিয়ে দিলো।

    .... মেয়েটা হঠাৎ করে হৃদয় কে থাপ্পর

    মারাতে ক্লাস টা নিথর হয়ে গেছে কেউ

    বিশ্বাস করতে পারছে না এ কি হলো

    ক্লাসে। ক্লাসের ম্যাডাম বলে উঠলেন....

    .... কি হয়েছে মা? তুমি এভাবে ক্লাসের

    ভিতর ঢুকে কোন রকম কথা না বলেই হৃদয় কে থাপ্পর মারলে কেনো? (ম্যাডাম)

    .... থাপ্পর আমি সাধে মারিনি! যাকে

    মেরেছি তাকেই জিজ্ঞেস করুন কেনো মারছি? (নিলা)

    .... হৃদয় তুমি এমন কি করছো যার কারনে এই মেয়েটা এমন ভাবে তোমাকে থাপ্পর

    মারলো তাও আবার একটা ক্লাস রুমে ক্লাস

    চলাকালীন অবস্থায়? (ম্যাডাম)

    .... ম্যাডাম আমি কিচ্ছু করিনি বিশ্বাস করুন আর জানিনা আমাকে কেনো এমন ভাবে মারল মেয়েটা! (হৃদয়)

    ....সব মিথ্যা কথা সব তুমি সব জানো?

    তুমি আমার বান্ধবীর সাথে এমন টা না করলে ও পারতে? (নিলা)

    .... আমি আপনার বা বা বান্ধবী....? কি

    বলছেন এসব? (হৃদয় কাঁদো কাঁদো কন্ঠে

    তোতলাতে তোতলাতে )

    ....এহহহ ন্যাকা কিচ্ছু জানেনা ভাজা মাছ টা উল্টে খেতে জানেনা মনে হচ্ছে!(নিলা)

    .... আচ্ছা মা আমাকে বলোতো কি হয়েছে আমিতো এসবের কিছু বুঝতে পারছি না?

    (ম্যাডাম)

    .... এই ছেলেটা আমার বান্ধবীর সাথে প্রেম করে ওর সব কিছু কেরে নিয়ে এখন আমার

    বান্ধবীকে অনেক কিছু বলেছে। আর যার কারনে আমার বান্ধবী সুইসাইড করতে

    চেয়েছিলো আর এর সব কিছুর পিছনে শুধু এই ছেলে জড়িত!

    ...... নিলার এমন কথা শুনে হৃদয়ের মাথার উপর যেনো আকাশ ভেঙে পড়ল। কি বলছে এই মেয়ে আর কে ই বা তার বান্ধবী আর তার বান্ধবীর সাথে আমিই বা কি করলাম এসব কথা ভাবতে লাগলো হৃদয়।

    .... আপনি এসব কি বলছেন? আমি আপনার বান্ধবীর সাথে কি করেছি? কিছুই তো বুঝতে পারছি না। (হৃদয়)

    ....শুধু তা ই না আমার বান্ধবী এখন মা হতে চলেছে আর সব কিছু করেছো শুধু তুমি তুমি তুমি।(অনেক জোরে জোরে নিলা কথা গুলো বলল)

    ....... ক্লাসের ম্যাডাম এমন কথা শুনে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না

    তার ভাই অন্য একটা মেয়ের সাথে এমন

    বাজে কাজ করতে পারলো। ক্লাসের

    ম্যাডাম ই হলেন হৃদয়ের বড় বোন।হৃদয় কে

    তার বোন একটা কসে থাপ্পর দিলেন

    গালে....।

    .... আপু... আমি কিছু করি.....(পুরোটা শেষ না করতেই)

    ....চুপ একদম চুপ। তোকে এতোদিন এতো কস্ট করে মানুষ করলাম আর তার প্রতিদান তুই এভাবে দিলি। তোকে আমার ভাই ভাবতে ও লজ্জা লাগছে। ছি ছি ছি.!

    ......হৃদয় তার বোনের মুখে এমন কথা শুনে কেঁদেই দিলো এবার। চোখ থেকে অঝোরে

    জল ঝরছে হৃদয়ের। ক্লাস টা পুরাই স্তব্ধ

    হয়ে গেছে সকল ছাত্র- ছাত্রীরা কিছুক্ষন

    আগে হৃদয় কে দেখে হাসছিলো আর এখন

    তারা সবাই স্তব্ধ।

    ... নিলার বান্ধবীর সাথে হৃদয় রিলেশন

    করছিলো আর এখন তার গর্ভে হৃদয়ের

    সন্তান তাও আবার অবৈধ ভাবে।

    নিলা এমন করুন অবস্থা যেনে আর চুপ করে

    থাকতে পারেনি। তার বান্ধবী এসব কথা

    হৃদয় কে বলাতে হৃদয় মেনে নেয় নি আর

    তার কারনে নিলার বান্ধবী আত্বহত্যা

    করতে চেয়েছিলো।

    তারপর ঘটলো এক অন্য রকম ঘটনা। কিছু ছেলে এসে হৃদয়ের শার্টের কলার চেপে

    ধরে ক্লাসের ভিতর থেকে বের করলো আর

    সোজা মাঠের মধ্যে নিয়ে গেলো হৃদয়কে।। কে ছেলেগুলো। এসব ঘটনা হৃদয়ের বোন নিজের চোখে দেখে কান্না শুরু করে দিলো কারন মা বাবা মারা যাবার পর হৃদয়কে অনেক আদর দিয়ে বড় করেছেন।। হৃদয়ই তার একমাত্র সম্বল তাছাড়া আর কেউ নেই। অনেক কস্ট করে হৃদয় কে এতবড় করেছে।

    ... হৃদয়ের চারিদিক অন্ধকার হতে লাগলো

    কারন এসব ঘটনার কিছুই বুঝতে পারছে না। কিছুক্ষন পর একটি গাড়িতে করে

    কিছু লোক আসলো হাতে লাঠি নিয়ে মনে হচ্ছে হৃদয়কে মারবে।নিলা বলে উঠলো....

    .... ভাইয়া এই ছেলেটা আমার বান্ধবীর

    সাথে অমন আচরন করেছে? (হৃদয় কে

    দেখিয়ে বলল )

    ....তুই নিশ্চিন্তে থাক নিলা তোর বান্ধবীর

    যে এমন ক্ষতি করেছে তাকে এতো সহজে ছারছি না! (নিহান)

    .... ভাইয়া তুমি এই ছেলেকে এমন শাস্তি

    দাও যেনো আর কখন ও কোন মেয়ের সাথে এমন করতে না পারে! (নিলা)

    .... এতোক্ষনে মাঠের মাঝে কলেজের

    অনেক স্টুডেন্ট এসে গেছে। অনেকে বলছে

    কি ব্যাপার বাংলা ম্যাডামের ভাইকে

    এভাবে ওরা এনে কি করবে। কিছুক্ষন পর নিলার । বাবা ও চলে আসলো কলেজ মাঠে..... আর নিলার বাবা হলেন এম পি.. তাই তার হাতে অনেক ক্ষমতা আর সেই ক্ষমতার প্রয়োগ নিলা এমন করছে। হৃদয়ের বোন এসব নিজ চোখে দেখতে না পেরে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো। নিলার বাবা বলল...

    .... মা নিলা কোন ছেলেটা তোর বান্ধবীর

    সাথে এমন আচরন করেছে?

    .... বাবা এই ছেলেটা করেছে এমন আচরন! (হৃদয় কে দেখিয়ে বলল)

    .... তাহলে তুমিইইই সেই ছেলে যার কারনে

    আমার মেয়ে ও কাঁন্না করেছে। তুমি

    জানো আমার মেয়েটা নিজের জন্য না

    তার বান্ধবীর জন্য কান্না করেছে। আর এর

    সব কিছু তোমার জন্য হয়েছে। কথাটা বলেই সকল স্টুডেন্টস এর সামনে আবার একটা থাপ্পর মারল হৃদয়কে।।

    .... স্যার বিশ্বাস করুন আমি এসবের কিচ্ছু জানিনা! (হৃদয়)

    .... বাবা ও মিথ্যা কথা বলছে ও সব জানে।

    (নিলা)

    ..... এসব ঘটনা কলেজের প্রিন্সিপাল যেনে গেলেন। প্রিন্সিপালের ও বিশ্বাস হচ্ছে

    না এসব কথা।

    ....বাহ বাবাবাবাবা বাহহহ.. বেশ তো

    কান্না করতে পারো দেখছি। আমার

    বান্ধবীর সাথে নস্টামি করে এখন কান্না

    করা হচ্ছে। নস্টামি করার আগে ভাবেননি? (নিলা হৃদয়কে কথাগুলো বলল)

    -........... নিশ্চুপ? (হৃদয়)

    .... কি হলো কথা বলুন চুপ করে আছেন কেনো?

    ...... হৃদয় নিলার কথা শুনে চুপ করে আছে

    কোন কথা বলছে না আর কি ই বা বলবে

    তাকে। কারন কথা বলার কোন ভাষা ই খুজে পাচ্ছে না। হৃদয় কে পুরো কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা নানান ভাবে ধিক্কার

    দিতে থাকলো। সবার এমন আচরনে হৃদয়ের মনে হচ্ছে এর থেকে মৃত্যু ও ভালো। সবছেলে গুলো হৃদয়কে মারতে এগিয়ে আসল। লাঠি দিয়ে আঘাত করবে এমন সময়, নিলার বান্ধবী নিরা যার জন্য এতোকিছু সে চিৎকার করে বলল.....

    .

    .

    .

    চলবে,,,,,


    সবাই নামাজ পড়বেন,,  💓💓💓💓💓


    (গল্পটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন তাহলে বাকি পর্ব গুলো লিখবো.

    ৩টি মন্তব্য:

    Fashion

    Beauty

    Travel