• Breaking News

    সোমবার, ২৮ মে, ২০১৮

    সিনিয়র বউ:

    গল্প ঃ সিনিয়র বউ!!
    রাহাত হোসেন.............
    ....---
    > কিরে কেমন আছিস তুই....?? কী করছিস.?? (তরী)
    >> কেমন আছিস মানে কী.?? নিজের স্বামীকে কেউ তুই করে বলে..(আমি)
    > তুই আমার স্বামী...। আর তোকে আপনি করে বলবো.??
    >>তাতো অবশ্যই...।।
    এসে আমার কান টেনে ধরলো,
    > জানিস আমি তোর কয় দিনের বড়.?
    >> হুম জানি..!!! দুই বছরের..।
    > তাহলে তুই আমার স্বামী হবি। তাই না..?? কানের নিচে দুইটা দিলে সব ভূত ঘাড় থেকে নেমে যাবে..??
    >> তুমি জানো না..। ভালোবাসা কোনো বয়স মানে না।
    > হইছে আমায় জ্ঞান দিতে আসবি না..। আর আমি আন্টিকে তোর এই আকাশ-কুসুম কল্পনার কথা বলবো।
    >> মা জানে যে ভবিষ্যতে তুমি আমার বউ হবে..? তাই বলেও কোনো লাভ নাই...।।
    > দাঁড়া তোর ভূতটা নামানোর ব্যবস্থা করছি...।।
    >> ভূতটা কিছুদিন পরে তোমার ঘাড়ে চাপবে।
    > ধূর..। তোকে একটা ব্যবস্থা করতেই হবে...?
    এই বলে রেগে-মেগে চলে গেলাে। চলে যেতেই আমি উচ্ছস্বরে হেঁসে উঠলাম...।
    মায়ের বান্ধবীর মেয়ে তরী । আমার চেয়ে দুই বছরের বড়...। তাই বলে সবসময় আমাকে তুই তুই করে ডাকবে কেন.?? তুমি করে বললে কী হয়.?? কিন্তু উল্টো ওকে সম্মান দিয়ে আপু বলতে হবে..। উনার কথা। উনি মানে তরী..।
    ও চলে যেতেই খুব হাঁসলাম.. । রাগতে তাকে বেশ দেখায় বেশ লাগে....।। যখন রেগে গাল গুলা ফুলিয়ে বসে থাকে মনে হয় গালে আলতো করে ছুঁয়ে দিই। কিন্তু তা কোনো ভাবে সাহস হয় না..।। যখন বিস্ফোরিত হতে শুরু করে তখন তো কোনো কথা বলাই দায়...।। অন্য সবার সাথে কতো ভালো ভাবে হেঁসে কথা বলে আর আমার সাথেই কেবল উনার বড়গিরি, গার্জিয়ান হয়ে হয়ে উঠেন..।। যাইহোক তারপরেও নিজের প্রিয় মানুষ।
    হঠাৎ মা ডাক দিলেন......।। আমি মায়ের কাছে গেলাম..। গিয়ে দেখি মায়ের বান্ধবী মানে রেনু আন্টি বসে মায়ের সাথে গল্প করছেন...। আমি কাছে গেলাম উনি আমায় .। পড়া-শোনার খবর কেমন এইসব জিজ্ঞাসা করলেন...। অনেক্ষণ বসে থাকার পরে মা আর আন্টি তারা দু'জনেই গল্পতে ব্যস্ত হয়ে গেলো..। আমি উঠে নিজের রুমে চলে আসছিলাম..।একটু বাইরে যাওয়া দরকার..। মা আবার ডাক দিলেন,
    -- অপু একটু শোন..??
    -- হুম বলো...।
    -- আজ থেকে তিন মাস তরী আমাদের এখানে থাকবে। তার ফাইনাল এক্সাম-এর জন্যে..।
    -- আচ্ছা। ঠিক আছে..।
    -- আর শোন ওকে সাথে করে প্রতিদিন দিয়ে আসবি আর নিয়ে আসতে হবে....।
    -- ঠিক আছে মা , তুমি যা বলবে..।
    আমার যে কী পরিমান আনন্দ বলে বোঝানো যাবে না...!!! তাই খুশিটা নিজের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে তাড়াতাড়ি মায়ের সামনে থেকে সরে গেলাম.
    পরের দিন ভোর বেলা...
    -- এই তাড়াতাড়ি উঠ..। কলেজ নিয়ে যাবি....?
    -- যাও পারবো না..। আমি ঘুমাবো..।
    এই বলে আমি ব্ল্যাঙ্কেট দিয়ে মুখ ঢেকে শুয়ে পড়লাম..।
    -- আমি গেলাম আন্টিকে বলতে...। যে তুই আমাকে নিয়ে যাবি না কলেজ-এ..।
    -- এইই্ই্..। না না আমি নিয়ে যাচ্ছি বলিস না মাকে ...।
    -- হুম। তাড়াতাড়ি উঠ। সময় কম আছে হাতে..।
    -- উঠছি তো..। একটু আদর করে বললে হয় না..। মিষ্টি করে ডা'কলে কী হয়.??
    -- ঐ কিছু বললি.??
    -- না কিছু না..।
    -- হুম। তাড়তাড়ি আয়...।
    এই বলে চলে গেলো.। এই মেয়ে যদি আমার জীবনে আসে জীবনটা তো একবারে স্বাদহীন হয়ে যাবে। ধ্যাত..। কী ভাবছি এসব.। হোক না যেরকম-ই, ওকেই শুধু চাই.।।
    ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট সারলাম..। দেখি ও রুম থেকে বের হলো সেঁজেগুঁজে..। আমি তো ওকে দেখে পলক ফেলতে ভূলে গেছি মনে হয়...।। ও কাছে এসে বললো,
    -- "ঐ যাবি না নাকি এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবি...??"
    -- হ্যাঁ, তাইতো। চলো...!!
    রাস্তায় বের হয়ে কিছুক্ষণ হাঁটলাম..। সামনে থেকে রিক্সা নিবো..। আমি যেই বললাম,
    -- চলো রিক্সায় করে যায়...।
    -- তোর সাথে...!!!
    -- কেন.? আমার সাথে গেলে কী ক্ষতি হবে শুনি...??
    -- না তোর সাথে এক রিক্সায় যাবো না...।
    -- কেন.?? আমি আবার কী করলাম..??
    -- তোর সাথে হেঁটে কথা বলতে বলতে যাবো...।
    -- বাব্বাহ্...!!! আমার সিনিয়র বউটা দেখি অনেক রোমান্টিক হচ্ছে দিনে দিনে..।
    আস্তে আস্তে বললাম। শুনলে তো আর নিস্তার নেই।
    -- আমায় কিছু বললি...।
    -- নাহ্..!! কিছু বলিনি তো...।
    -- গুড। একটা রিক্সা ডেকে আন...।
    -- হুম.. ।
    একটু রোমান্টিক করে বলা যান না...।। কিছুদিন পরেই তো.....।।
    ওসব কিছু মাথা থেকে ঝেড়ে একটা রিক্সা নিয়ে আসলাম। আমি রিক্সা নিয়ে এসে আমি নেমে দাঁড়িয়ে রইলাম। আর তরী রিক্সার বাম পাশে উঠে বসলো। যদিও জোরে নাম ধরে ডাকি না। কিংবা সামনে থাকলেও নাম ধরে ডাকি না। ও রিক্সাতে বসে আমাকে বললো,
    -- কীরে তুই রিক্সাতে উঠছিস না কেন.?
    -- আমি !
    খুব অবাক হলাম আমি। আমাকে তার সাথে রিক্সায় উঠতে বলছে।
    -- আমি কী ? তাড়াতাড়ি আয়। স্ট্যাচুর মতো দাঁড়িয়ে থাকে পরীক্ষক আর রুমে ঢোকতে দিবে না।
    -- হুম।
    আমি উঠে বসলাম রিক্সাতে। রিক্সা চলতে শুরু করলো। কিন্তু আমি আনইজি ফিল করতে লাগলাম। কোনো ভাবেই স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করছিলাম না। কখনো তো এমন হয় নি। আর রিক্সাতে যে প্রথম উঠেছি তা নয়। ফ্রেন্ডসদের সাথে একরিক্সাতে চারজন ও উঠেছি। কিন্তু এমন কখনো অনুভব হয় নি। আমি একটু একটু ঘামতে লাগলাম। হঠাৎ তরী বলে উঠলো,
    -- এই মৃনাল রিক্সা থেকে নাম ?(তরী)
    আমাকে একটা ধাক্কা দিলো। আমি হকচকিয়ে উঠলাম।
    -- কী হয়েছে আপু ? (আমি)
    আপু বলেই ডাকি সবার সামনে। না হলে সবার সামনে শাস্তি দিতে পারে। আবার তুমি ও বলি। মাঝেমধ্যে ইচ্ছে হয় নাম ধরে ডাকতে। কিন্তু প্রছন্ড রাগী। তাই চাইলেও সম্ভব হয় না।
    -- নামবি নাকি বসেই থাকবি ? চলে এসেছি তো ?
    -- হ্যাঁ। নামো।
    -- কই হাঁরিয়েছিলি ?
    -- কোথাও না। চল তোমার পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে।
    নিজের ভেতরের দুর্বলতা বোঝতে না দিয়ে পরীক্ষার হলে দিয়ে আসলাম। আবার নাকি গিয়ে নিয়ে আসতে হবে। উনার আদেশ।
    তরীকে পরীক্ষার হলে দিয়ে এসে কেন্দ্রের বাইরে এসে ভাবছি এতো..(চলবে)
    বিঃদ্রঃ পুরো গল্পটা একসাথে পড়তে চাইলে পরজে যান, পুরোটা একসাথে
    পোষ্ট করা আছে, পেজ লিংক - রোমান্টিক কিছু গল্প কথা

    ৫টি মন্তব্য:

    Fashion

    Beauty

    Travel