লেখক: গল্প রাজ্যের ছোট রাজ কুমার
কাল্পনিক গল্প
.
আহা আহা কি মজা ওহো ওহো কি মজা
.
হায় আল্লাহ মজার বিষয় টাই তো বলা হইলো না কি মজা আজ থেকে ফাজলামি করে জ্বালানোর জন্য একজন রে পাইবো
কি ভাবছেন কেমনে
আজ আমার বিয়ে হিহি কি হুম এতো ফাজিল আমিই একা যে বিয়ের জন্য এতো লাফাইতেছি
হিহি লাফাবো না কেন একমাত্র বরের সাথে বিয়ের পর প্রেম করবো বইলা সিংগেল ছিলাম আহা আজ থেইকা আর আম্মুর লগে ফাজলামি না কইরা বরের লাইগা করুম
ওই দাড়ান বিয়া কইরা নেই ........
.
.
.
যাগ গে বিয়া হচ্ছে এখন এর মাঝে পরিচয় টাও দিয়া ফেলি
মাই নেম ইজ আনহা ফাঝলামি আমি করি নন্সস্টপ এই জন্য সবার কাছে আদরের আম্মু খুব বকে বাট মাইন্ড এ নেই না
কি আর করবো আপন দেরগালি মাইন্ড এ নেয় নাকি
.
আমার বরটার নাম নাকি শুভ যাক গে শুভর সাথে বিয়া মানে শুভ কাজ শুভর সাথে শুনছি বরটা নাকি খুব রাগি ব্যাপার কি কন তো ভালো কইরা নিবো
বিয়া ডান
আহা মোর ননদিনি সেই ভালো কিন্তু
প্রথম দিন ই বান্ধবির মতো
ওই মোর ননদিনি কিন্তু সুন্দর কেউ নজর দিবেন না
হিহি আর আমি হলাম ওই একবার কইলাম না আমি আনহা এতো পরিচয় দেওয়া লাগে নাকি
মেরা বর আ গেয়া এ কি এই হালা কিছু কয় না কেন
আমিই কিছু বলি
আমি : এই যে মিস্টার বিয়ে করে কি বোবা হয়ে গেছেন
শুভ : কিইইইই
আমি : হায় আল্লাহ আমার বর বয়রা নাকি
শুভ : এই মেয়ে কি বলছো এসব
আমি : উহু বকেন কেন আমি কিন্তু কান্না করবো
শুভ : এটা কে বকা বলে কি আজব মেয়ে
আমি : হিহি তোমারই বউ গো
শুভ : ওহ হুম
আমি : ওই
শুভ : কি
আমি : আমি না
শুভ : কি
আমি : চকলেট আনি নি
শুভ : এতো বড় মেয়ে চকলেট খাও
আমি : চকলেট খাইতে কি বয়স লাগে
শুভ : এখন পারবো না সকালে এনে দিব
আমি : না এখন
শুভ : বল্লাম তো পারবো না
আমি : বল্লাম না এখনি খাবো
শুভ রেগে গিয়ে একটা থাপ্পর দিল
বলেন তো এতটুকু তে কে মারে ও পঁচা
উহু লাগছে
কান্না পাচ্ছে উহু কান্না আটকে না কাঁদা স্টার্ট ওয়েট ওরে জড়াইয়া ধইরাই কাঁদবো
যাহা বলিবো তাহাই করিবো
ওরে জড়াইয়া কাঁদছি হালার মনে দয়া নাই হুহ
এ কি মি. রাগি আমার চোখের পানি মুছলো
ও : ( আমার বর একটু সম্মান দিতে হবে না তাই ও বলছি ) সরি
আমি : কাঁদছি ( লেগেছিল )
ও : এতো ফাজিল আর জেদি কেন তুমি
আমি : এরকমই এখন চকলেট আনো
ও : হাসলো আর পারলাম না
.
.
শুভ চকলেট আনতে গেল
আর ভাবছে গলে গেলে চলবে নস এর মায়ায় জড়িয়ে পড়বো কিন্তু আমি যে ম্রিধা কে ভালোবাসি
( হুম ঠিক শুনলেন শুভ ছেলেটা এতোটা রাগি না কিন্তু ও আরেকজন কে ভালোবাসে তার বাবা মার কথা ভেবেই ও এ বিয়ে করে ভাগ্য কি করে তা জানতে সাথে থাকুন
.
হিহি ডন্ট ওয়ারি যাই নি)
শুভ চকলেট আনলো আনহা খাচ্ছে আর শুভ ভাবছে মেয়েটা বাচ্চার মতো কি করে ওকে বলি আমি
আনহা : ওই খাবা ?
ও : না
আনহা : শুনো
ও : কি
আনহা : এই নাও হিহি
.
শুভকে খাইয়ে দিল ।শুভ রেগে গেলেও কিছু বলল না আবার কেঁদে ফেলবে এ ভেবে
.
আনহা ঘুমিয়ে গেল
.
আর এদিক শুভ আনহার দিকে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে মেয়েটা মায়াবি কিভাবে এ কষ্ট সহ্য করবে
এভাবে পরের দিন
সকালে শুভর মুখে পানির সিটা
শুভ : কে রে ?
আনহা : আম্মু রেগে গেছে আমি পালাই
শুভ এটা দেখে না হেসে পারলো না
এদিকে ফাজলামি ভালোবাসা দিয়ে আনহা শশুরবাড়ির সবার মন জয় করে নিল
.
শুভর বাবা তো আনহা কে নিজের মেয়ে ই মেনে নিছে
.
এভাবে দিন যেতে লাগলো আর শুভ আনহার বাচ্চা বিহেব আর ফাজলামি দেখে আনহার মায়ায় জড়াতে লাগলো
.
আজ ম্রিধার সাথে দেখা করতে গিয়ে আনহা শুভকে আর ম্রিধা কে দেখে ফেলে
.
শুভ সব সিকার করে আর আনহার কাছে ক্ষমা চায়
আনহা কি বলবে কিছুই খুঁজে পায় না
.
আজকাল আনহা আর শুভর সাথে বেশি কথা বলে না
.
শুভ আনহা কে রুমে দেখলো
শুভ : কি ব্যাপার আমার সাথে কথা বলনা যে কেন ?
আনহা : এমনি ম্রিধা কেমন আছে
শুভ : ভালো
তোমার জন্য চকলেট এনেছিলাম
আনহা : আমি আর এসব খাই না
.
শুভ ভাবছে এ কি যে মেয়ে এতো চকলেট খায় সে আজ
.
.
শুভ ভাবছে
কিছুদিন পর
ম্রিধা শুভ কে বিয়ের জন্য আর আনহা কে ছাড়ার কথা বলছে
শুভ বলে ঠিক আছে
.
আজ শুভ একটু ড্রিং করেছে চিন্তায় যে আজ সে কি করবে
যা হবার শুভ ছোট খাটো এক্সিডেন্ট করলো
.
পরদিন সকালে শুভর জ্ঞান ফিরলো দেখলো আনহা এখনো কাঁদছে মেয়েটা চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে
.
আনহা শুভর যত্ন নিতে লাগলো তাকে খাওয়ালো ইত্যাদি
.
এ কয়দিন অনেকে শুভ কে দেখতে এল
এলো না শুধু ম্রিধা । এমনকি ফোন ও দেয় নি
.
শুভ সুস্থ হয়ে ম্রিধার কলেজে গেল
এ কি ম্রিধা কার সাথে
শুভ রেগে : এ ছেলে কে ম্রিধা
ম্রিধা হকচকিয়ে : কেউ না
পাশের ছেলেটি : কি বলছ আমি তো তোমার বিএফ
শুভ : বাহ আরেক জন কে ধরছো
ম্রিধা পাশে থাকা ছেলেটিকে যেতে বলল
ম্রিধা : কি করবো হা তোমার জন্য পড়ে থাকবো নিজে বউ নিয়ে থাকছো মজা নিচ্ছ আর আমি তোমার জন্য পড়ে থাকবো
শুভ : কি বলছো আজ অবদি আনহার সাথে আমার কিছুই হয় না
ম্রিধা : হাহা তাই নাকি যাই হোক আজকের পর আর আমার সাথে যোগাযোগ করবে না
.
শুভ চলে গেল আর ভাবছে যার জন্য আনহা কে সে গুরুত্ব দেয় নি আজ সে
না আর আনহা কে কষ্ট দিব না
.
বাড়ি ফিরে দেখলো আনহা কোথাওনেই একটি চিঠি
.
"অনেক জ্বালিয়েছি তোমাকে আর জ্বালাবো না আমার ভালোবাসা আমার থাক তুমি খুশি হও"
.
শুভ কাঁদছে এ দেখে তার মা জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে ?
.
শুভ সব খুলে বলল
শুভর মা বলল তুই ঠিক করিস নি যা আনহা কে নিয়ে আয়
.
আনহার বাড়িতে
আনহার মা : কিরে জামাই এলো না
আনহা : ওর কাজ ছিল ( মিথ্যে )
.
বিকালে
কলিংবেল বাজলো
আম্মু : কি জামাই বাবু আনহাযে বলল তুমি আসবে না
শুভ : আপনার মেয়ে রাগ করেছে
আম্মু হেসে : তাই নাকি তা রাগ ভাঙ্গাও ও ছাদে ওদিকে
.
শুভ ছাদে গেল গিয়েই আনহা কে জড়িয়ে ধরে
আমাকে একা করে এলে কেন
আনহা কাঁদছিল : তুমি তো ম্রিধা কে
শুভ : চুপ ম্রিধা তিধা চিনি না আমার বউ শুধু তুমি তোমাকেই ভালোবাসি
আনহা : সত্তি
শুভ : হুম
কেউ আর কিছু বলল না আনহাও জড়িয়ে ধরলো শুভ কে
.
আজ থেকে নতুন অধ্যায় শুরু এক নতুন ভালোবাসার
.
( পুরোটাই কাল্পনিক )
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন