গল্পঃ- Ex Girlfriend
পর্বঃ- ১
অনেক দিন পর শহরে এসেছি,চিরচেনা এই শহরে এসেছি দীর্ঘদিন পর তাও এসেছি চাকরির জন্য না হলে আসা হতো না, গরিবের ছেলে বসে তো থাকা যায় না কিন্তু কোথাও চাকরি পাচ্ছি না,আমার বন্ধু রিয়াদ শহরে একটি কোম্পানিতে চাকরি করে সে বলেছে তাদের কোম্পানিতে কয়েকজন নতুন লোক নেওয়া হচ্ছে তাই সে আমাকে আসতে বলেছে
একটু পর রিয়াদ আমাকে এসে রিসিভ করলো
রিয়াদঃ- কেমন আছিস দোস্ত
শিশিরঃ- আলহামদুলিল্লাহ ভালো, তুই
রিয়াদঃ- আমিও ভালো,চল নাস্তা করবি
শিশিরঃ- হুম চল
শহরে যেতে প্রায় ১১ টা বেজে গেলো,এরপর নাস্তা করে ওদের অফিসে গেলাম, কিন্তু গিয়ে জানতে পারি অলরেডি কয়েক জন লোক সিলেক্ট করা হয়ে গেছে, আর কাউকে নেয়া হচ্ছে না
কথাটা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেলো, রিয়াদ ওদের বসের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার,ওদের বস আমাকে ডাকেছে, ওদের বস একজন মহিলা নাম মায়া
শিশিরঃ- আসতে পারি
মায়া- আসুন,বসো
শিশিরঃ- ধন্যবাদ স্যার
মায়াঃ- তোমার কাগজ গুলো দেখি
শিশিরঃ- এই নিন (ফাইলটা দিয়ে)
ফাইলটা দেখির পর...
মায়াঃ- তোমার সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু আমাদের এখানে কোনো পোষ্ট খালি নেই,তাই তোমাকে নিতে পারছি না,তবে রিয়াদ বলেছে তোমার পরিবার খুব সমস্যা আছে চাকরিটা তোমার খুব প্রয়োজন তাই তোমাকে আমার বন্ধুর কোম্পানিতে চাকরির ব্যবস্থা করে দিচ্ছে
শিশিরঃ- ধন্যবাদ ম্যাম
মায়াঃ- এই নিন ওর কার্ড (একটি কার্ড দিয়ে) এই ঠিকানায় যোগাযোগ করবেন
শিশিরঃ- ওকে ম্যাম
মায়াঃ- হুম আপনি যান,আমি ওর সাথে কথা বলেছি
শিশিরঃ- ধন্যবাদ ম্যাম
ম্যাডামের কাছ থেকে ফাইলটা নিয়ে রওনা দিলাম, ম্যাডামের দেওয়া ঠিকানায় ভিতরে গেলাম, দেখি আরও ৩ জন বসে আছে দুইটি ছেলে একটি মেয়ে
একটু পর পর তারদের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হলো,তাদের শেষ হওয়ার পর পিয়ন এসে বললো
পিয়নঃ- আপনাকে কী মায়া ম্যাম পাঠিয়েছে
শিশিরঃ- জ্বি আংকেল
পিয়নঃ- আচ্ছা ভিতরে যান,ম্যাডাম যেতে বলেছে
আমি ম্যাডামের কেবিনের দিকে গেলাম
শিশিরঃ- আসতে পারি
ম্যাডামঃ- yes coming
ভিতরে গিয়ে আমার চোখ কপালে উঠে গেলো,এই আমি কী দেখছি
ম্যাডামঃ- তুমি
শিশিরঃ- জ্বি আমি
ম্যাডামঃ- বের হও এখুনি তোর মতো বেইমানের জন্য আমার অফিসে কোনো চাকরি নেই
শিশিরঃ- মেঘনা আমার চাকরিটা খুব দরকার
মেঘনাঃ- ঠাসসসস ঠাসসসস, তোর সাহস কী করে হয় আমার নাম ধরে কথা বলার
শিশিরঃ- সরি ম্যাম
মেঘনাঃ- এবার আসতে পারিস
শিশিরঃ- ম্যাম আমার চাকরিটা খুব দরকার প্লিজ এমন করবেন না
আমার কথা শুনে মেঘনা কিছু যেন একটু চিন্তা করলো,তারপর বললো
মেঘনাঃ- ফাইলটা দেখি
শিশিরঃ- এই নিন (ফাইলটা দিয়ে)
মেঘনাঃ- তুই মানুষ নাকি অন্য কিছু
শিশিরঃ-.... (চুপ)
মেঘনাঃ- আমি ভেবেছিলাম আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর তোর কষ্ট হবে,তুই লেখাপড়া ঠিকমতো করবি না,কিন্তু এখন দেখছি সব তার উল্টো, তুই এতো ভালো রেজাল্ট করলি কীভাবে
শিশিরঃ-.... (চুপ)
মেঘনাঃ- এতেই বুঝেছি, তুই আমাকে কোনোদিন ভালোবাসিস নি,তুই একটা বেইমান, তোর চাকরি এখানে হবে না।
শিশিরঃ- ম্যাম প্লিজ এমন করবেন না,বাড়িতে আমার বাবা-মাকে দেখার মতো কেউ নেই, আমার চাকরিটা না হলে আমাদের পরিবার খুব সমস্যায় পড়ে যাবে
মেঘমাঃ- (মনেমনে--- আমি এইদিনটার অপেক্ষায় ছিলাম মিঃ শিশির, গত চারটি বছর আমি যে কষ্ট পেয়েছি এবার সবকিছুর একটি একটি করে শোধ নিবো)
মেঘনাঃ- ওকে,তোমার বাবার মায়ের কথা চিন্তা করে চাকরিটা দিচ্ছি, কিন্তু একটি শর্ত আছে
শিশিরঃ- আমি আপনার সব শর্তে রাজী ম্যাম
মেঘনাঃ- ওকে,তাহলে এখানে একটি সই করো (একটি সাদা কাগজ দিয়ে)
শিশিরঃ- সাদা কাগজে সই করবো
মেঘনাঃ- হুম করো
শিশিরঃ- ওকে (সই করে দিলাম)
মেঘমাঃ- ওকে যাও,কাল থেকে জয়েন করবে কিন্তু সাবধান অফিসে আসতে যেন দেরি না হয় এবং কোনো কাজে যেন ভুল না হয়,তাহলে কিন্তু কঠিন শাস্তি পাবে
শিশিরঃ- ওকে ম্যাম,আমি আসি
এরপর চলে গেলাম,একটি একটি বাসা খুজতে হবে,তাই পুরানো সেই জায়গাতে যাচ্ছি যেখানে ৪ বছর আগে থাকতাম
আপনারা হয়তো তেমন কিছু বুঝতে পারেন নি, যেতে যেতে আপনাদের আসল কাহিনিটা বলে দেয়
আমি শিশির আর যার অফিসে চাকরি নিলাম,সে হলো আমার এক্সগালফ্রেন্ড মেঘনা
4 years back....
চলবে....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন