গল্পঃ- Ex Girlfriend
পর্বঃ- ৯
বাড়িতে যাওয়ার পর...
মাঃ- তুই এসেছিস
শিশিরঃ- হুম,কেন
মাঃ- কিছু না,যা ফ্রেশ হয়ে আয় আমি নাস্তা দিচ্ছি
শিশিরঃ- আচ্ছা
এরপর ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে একটু ঘুম দিলাম, ঘুম ভাঙলো সন্ধ্যায়, ঘুম থেকে উঠে একটু বাহিরে গেলাম আড্ডা দেওয়ার জায়গায়
রিয়াদঃ- তুই এসেছিস, আমি তো মনে করেছিলাম তুই আজকে আসবি না
শিশিরঃ- কেন
আকাশঃ- কেন আবার নতুন মানুষ পেয়েছিস তাই না
শিশিরঃ- নতুন মানুষ মানে?
রিয়াদঃ- আহা রে এখন কিছুই জানে না
শিশিরঃ- বুঝলাম না
আকাশঃ- মায়া
শিশিরঃ- ওরে শালা,এই ব্যাপার,আচ্ছা শুন তাহলে ( আমাদের প্ল্যানের কথা সব বললাম)
আকাশঃ- সত্যি, কেয়ার তোকে দারুণ আইডিয়া দিয়েছে দেখছি
শিশিরঃ- হুম কাজও হচ্ছে
রিয়াদঃ- বলিস কী, ট্রিট দিবি কবে
শিশিরঃ- শালা আগে লাইনটা হয়ে যাক, তারপর ট্রিট দিবো
আকাশঃ- ওকে তাহলে আমরা অপেক্ষায় থাকবো
শিশিরঃ- হুম দোয়া করিস, কাজটা যেন হয়
রিয়াদঃ- হুম অবশ্যই
আকাশঃ- চল নাস্তা করবো
শিশিরঃ- হুম চল
এরপর নাস্তা করে বাসায় চলে গেলাম, বাসায় যাওয়ার পর কিছুক্ষণ পড়লাম, একটু পর মায়ের ডাক এলো
মাঃ- শিশির
শিশিরঃ- হুম শুনতেছি বলো
মাঃ- খেতে আয়
শিশিরঃ- আজ তো খেতে ইচ্ছে করছে না মা
মাঃ- খেতে ইচ্ছে করছে না মানে কী? তুই বা খেলে আমিও খাবো না
শিশিরঃ- আচ্ছা দাও খাবো
মাঃ- এই তো আমার লক্ষী ছেলে
শিশিরঃ- আমার মা পৃথিবীর শ্রেষ্ট মা
মাঃ- রাতে না খেয়ে ঘুমালে শরীর খারাপ করবে বাবা
শিশিরঃ- হুম দাও দাও তাড়াতাড়ি দাও
এরপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমে গেলাম, ভাবতেছি মেঘনাকে একটা ফোন দেয়, যেই ভাবনা সেই কাজ ফোন দিলাম, আজকে দেখি ফোন দেওয়ার সাথে সাথে রিসিভ করলো
মেঘনাঃ- কে
শিশিরঃ- মানুষ
মেঘনাঃ- আপনি মানুষ তা তো আমি জানি,নাম কী বলেন
শিশিরঃ-.... (মনেমনে--- এখন যদি আমার নাম বলি তাহলে সাথে সাথে ফোন রেখে দিবে,সকালে যা করেছি)
মেঘনাঃ- চুপ করেন আছেন কেন?
শিশিরঃ- ইয়ে মানে, নাম দিয়ে কী করবেন ধরে নিন আপনার এক শুভাকাঙ্ক্ষী
মেঘনাঃ- ও আচ্ছা, তো মিঃ শুভাকাঙ্ক্ষী আপনি কী মন করে আমাকে ফোন দিয়েছেন
শিশিরঃ- তেমন কিছু না, এমনি আপনি কী করেন কেমন আছেন তা জানার জন্য
মেঘনাঃ- আমি এখন ভালো নেই, তবে আপনি কষ্ট করে ফোনটা রেখে দিলে ভালো থাকবো
শিশিরঃ- আচ্ছা আপনি কী কারো উপর রেগে আছেন
মেঘনাঃ- আপনি কী করে বুঝলেন
শিশিরঃ- না মানে,আপনার কথায় একটু রাগী রাগী ভাব তাই বললাম
মেঘনাঃ- হুম রেগে আছি,ঐ শিশির বাচ্চার শিশির উপর
শিশিরঃ- শিশিরের বাচ্চাটা আবার কে
মেঘনাঃ- আপনি চিনবেন না,আমাদের কলেজে পড়ে
শিশিরঃ- বাচ্চা কলেজে পড়ে 🤣
মেঘনাঃ- আপনি তো দেখছি খুব ফাজিল
শিশিরঃ- না ইয়ে মানে বলছিলাম কী,শিশিরের বাচ্চা কী করেছে আপনার সাথে
মেঘনাঃ- শয়তান ছেলেটা এতোদিন আমায় ফিছনে ঘুরঘুর করতো,আজ দেখি অন্য মেয়েকে নিয়ে হাসাহাসি করতেছে
শিশিরঃ- ও আচ্ছা এই ব্যাপার
মেঘনাঃ- হুম
শিশিরঃ- তো আপনি কী বলেন নি
মেঘনাঃ- কী বলবো,আমি তো ওরে ফিরিয়ে দিয়েছি
শিশিরঃ- এসব বললে হয় নাকি,এখনও সময় আছে তাড়াতাড়ি করেন, ওরে যদি হারাতে না চান তাহলে বলে দিন আপনিও শিশিরকে ভালোবাসেন
মেঘনাঃ- আপনাকে কে বললো আমি শিশিরকে ভালোবাসি
শিশিরঃ- সে তো আপনার কথায় বুঝতেছি
মেঘনাঃ- আপনি দেখি অনেক কিছু বুঝতে পারেন
শিশিরঃ- হুম,আচ্ছা তাহলে ভালো থাকবেন,আর সময় থাকতে শিশিরকে বলে দিন
মেঘনাঃ- আচ্ছা আপনার নামটা তো বলে যান
শিশিরঃ- সময় হলো বলবো, ততক্ষণে মিঃ শুভাকাঙ্ক্ষী বলে ডাকতে পারেন, আল্লাহ হাফেজ
মেঘনাঃ- ওকে আল্লাহ হাফেজ
এরপর ফোনটা রেখে দিয়ে আমি ঘুমিয়ে গেলাম, আর মেঘনা ভাবতেছে সে কী করবে
চলবে....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন