গল্পঃ- Ex Girlfriend
পর্বঃ- ৪
বাসায় যাওয়ার পর
মাঃ- আজ তাড়াতাড়ি চলে এসেছি কেন
শিশিরঃ- কিছু ভালো লাগছে না মা
মাঃ- কেন শরীর খারাপ
শিশিরঃ- না,এমনিই
মাঃ- আচ্ছা তুই ফ্রেশ হয়ে আয়,আমি তোকে নাস্তা দিচ্ছি
শিশিরঃ- আচ্ছা
এরপর রুমে গেলাম বইগুলো রেখে ফ্রেশ হয়ে আসলাম
মাঃ- নাস্তা রেডি
শিশিরঃ- হুম আসতেছি
এরপর নাস্তা করে একটু ঘুম দিলাম,ঘুম ভাঙলো প্রায় রাত ৮ টার দিকে, কিন্তু মেঘনাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করতেছে
কী করবো বুঝতে পারছি না,মেঘনার নম্বরও নেই,তাই কেয়াকে ফোন দিলাম
কেয়াঃ- কে
শিশিরঃ- আমি শিশির
কেয়াঃ- ওহ কেমন আছিস
শিশিরঃ- হুম ভালো,তুই
কেয়াঃ- আমিও ভালো
শিশিরঃ- একটা হেল্প করবি
কেয়াঃ- কী
শিশিরঃ- মেঘনার নম্বরটা দিবি
কেয়াঃ- ওরে বাবা আমি পারবো না
শিশিরঃ- কেন
কেয়াঃ- মেঘনা জানতে পারলে আমাকে রামকেলান কেলাবে
শিশিরঃ- আরে জানতে পারবে না
কেয়াঃ- তুই এতো রাতে ওর নম্বর নিয়ে কী করবি
শিশিরঃ- ওরে দেখতে খুব ইচ্ছে করতেছে, তাই একটু কথা বলবো
কেয়াঃ- দেখতে হলে ওদেরকে বাড়িতে চলে যা
শিশিরঃ- ওহ,গুড আইডিয়া এখুনি যাচ্ছি
কেয়াঃ- ঐ কই যাচ্ছিস পিঠিয়ে হাত পা ভেঙে দিবে
শিশিরঃ- আমি যাবোই
কেয়াঃ- আমি তোকে নম্বর দিচ্ছি তবুও যাস না
শিশিরঃ- ওকে নম্বর দে
কেয়াঃ- 018××××××××
শিশিরঃ- Thank you
কেয়াঃ- রাখ তোর Thank you, আগে বলবি আমি যে নম্বর দিছি তা বলবি না
শিশিরঃ- ওকে বলবো না
কেয়াঃ- ওকে আল্লাহ হাফেজ
শিশিরঃ- হুম আল্লাহ হাফেজ
এরপর নম্বরটা নিয়ে মেঘমা ফোন দিলাম, কিন্তু রিসিভ করলো না,দ্বিতীয় ট্রাই করলাম,সাথে সাথে রিসিভ করলো
মেঘনাঃ- কে
শিশিরঃ- আমি মানুষ
মেঘনাঃ- তা তো জানি,নাম কী
শিশিরঃ- পরে বলবো,আগে বলো তুমি কেমন আছো
মেঘনাঃ- নাম না বললে কথা বলবো না
শিশিরঃ- শিশির
মেঘনাঃ- তুমি!! আমার নম্বর কোথায় পেয়েছো
শিশিরঃ- যাকে ভালোবাসি তার নম্বর থাকবে না
মেঘনাঃ- রাখছি আল্লাহ হাফেজ
শিশিরঃ- এই মেঘনা রেখে দিয়ো না প্লিজ
কিন্তু কে শুনে কার কথা সাথে সাথে ফোনটা কেটে দিলো,এরপর কয়েকবার ট্রাই করলমা কিন্তু রিসিভ করলো না
তাই সিদ্ধান্ত নিলাম,মেঘনার বাসায় যাবো,যে চিন্তা সেই কাজ রওনা দিলাম মেঘনার বাসায়
কিন্তু গিয়ে দেখি পাহারার অনেক কড়া ব্যাবস্থা জোরদার করে রেখেছে,কিন্তু এসে তো ফিরে যাওয়া যাবে না ঢুকতেই হবে
আস্তে আস্তে বাড়ির পিছনে গিয়ে গাছ উপর দিয়ে ঢুকেছি,কিন্তু এখন মেঘনার রুম কোনটা তা তো জানি না
আস্তে আস্তে হেঁটে যাচ্ছি,জানলা দিয়ে দেখি পাশের রুমেই মেঘনা শুয়ে আছে
জানলা দিয়ে অনেক কষ্ট করে ভিতরে ঢুকেছি,মেঘনার পাশে গিয়ে বসে পড়ছি,ঘুমন্ত অবস্থায় যেন একটি পিচ্চির মতো লাগছে,খুব মায়া ভরা চেহারাটা
মেঘনার কপালে একটি ভালোবাসার পরশ একে দিলাম,সাথে সাথে ওর ঘুম ভেঙে গেলো
মেঘনাঃ- কে?
শিশিরঃ- আমি
মেঘনাঃ- তুমি এখানে
শিশিরঃ- হুম, তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করছে তাই চলে এলাম
মেঘনাঃ- এই এখুনি চলে যাও কেউ দেখলে তোমাকে মেরে ফেলবে
শিশিরঃ- যাবো,কিন্তু একটা কিস দাও
মেঘনাঃ- আমি পারবো না
শিশিরঃ- তাহলে আমিও যাবো না
মেঘনাঃ- প্লিজ বাবা দেখে ফেলবে
শিশিরঃ- যাবো না
রহমান(মেঘনার বাবা)ঃ- মেঘনা কার সাথে কথা বলছিস
মেঘনাঃ- বাবা!! প্লিজ তুমি যাও
শিশিরঃ- আগে কিস দাও
রহমানঃ- কিরে মেঘনা কথা বলছিস না কেন
মেঘনাঃ- কেউ না বাবা
রহমানঃ- আমি তো কারো আওয়াজ শুনলাম মনে হয়
মেঘনাঃ- প্লিজ যাও
শিশিরঃ- কিস দাও
রহমানঃ- মেঘনা দরজা খুল
মেঘনাঃ- উমমমমমমমম্মমমমমা (কিস দিয়ে)
শিশিরঃ- ওকে এবার যাচ্ছি, লাভ ইউ সোনা
মেঘনাঃ- দুর,ফাজিল
এরপর আমি চলে গেলাম,অন্যদিকে মেঘনা দরজা খুলে দিতেই তার বাবা চার দিকে খুঁজাখুজি শুরু করে দিয়েছে...
চলবে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন