• Breaking News

    বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১

    বাড়িওয়ালার মেয়ে ১


    •  “এভাবে দৌড়াচ্ছেন কেনো?”


    আচমকা কথাটি শুনে থমকে গেলাম।পিছনে ফিরে

    তাকাতেই দেখলাম একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।মোটা ফ্রেমের

    চশমা,চুলগুলো বেধে রাখা সাথে কপালে ছোট

    একটা টিপ।যদিও মেয়েটার বয়স আনুমানিক

    আমার মতোই হবে কিন্তু তার এমন সাজসরঞ্জাম

    দেখে যে কেউ ভুল করে আন্টি বলে ফেলতে পারে।

    মেয়েঃআমার কথা শুনতে পাননি?

    আমিঃআমাকে বলছেন?

    মেয়েঃজ্বি,আর আপনি ছাড়া তো এখানে অন্য

    কাউকে চোখে পড়ছে না।

    আমিঃহুম সেটা ঠিক(আশেপাশে দেখে বললাম)

    মেয়েঃতো দৌড়ানোর কারণ কি?

    আমিঃআপনাকে কেনো বলতে হবে?

    মেয়েঃশুধুমাত্র জানতে চাই

    আমিঃকলেজে যেতে অনেকটা দেড়ি হয়ে গেছে তাই।

    মেয়েঃআপনি এখানে থাকেন?

    আমিঃহুম ৪ তলায়।

    মেয়েঃআপনার পরিচয় কি?

    আমিঃদেখুন আন্টি আমার এমনিতেই দেড়ি হয়ে

    গেছে তার উপর এসব বলতে গেলে আমার আর

    কলেজে যাওয়া হবে না বাই।

    মেয়েটাকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে

    পুনরায় দৌড় দিয়ে বাসার বাইরে চলে আসলাম।

    ভাগ্য ভালো ছিলো বিধায় বাসার বাইরে আসার

    পরপরই রিক্সা পেলাম।


    এখন যেতে যেতে আমার পরিচয়টা দিয়ে নেয়।

    আমি আবির হাসান নিলয়।বাবা মায়ের একমাত্র

    ছেলে।ছোট একটা পেত্নী বোন আছে যে সব সময়

    আমার পিছু লেগে থাকবে।গত পরশু এই বাসায়

    পরিবারসহ উঠেছি।এটা মূলত আব্বুর জবের জন্য,

    মাঝে মাঝেই ট্রান্সফার হয়ে পুরানো স্কুল কলেজের

    বন্ধুদের হারাতে হয়।নতুন কলেজ নতুন ফ্রেন্ড

    না জানি কেমন কাটবে প্রথম দিন।আর হ্যা আমি

    এবার অনার্স ফাস্ট ইয়ারের স্টুডেন্ট।

    আপনাদের পরিচয় দিতে দিতে কলেজে চলে

    আসছি।রিক্সাওয়ালা মামার ভাড়া চুকিয়ে

    সামনের দিকে হাটতে লাগলাম।

    --------------------------------------------------

    প্রায় ৫ মিনিট সময় নিয়ে ক্লাস খুঁজতে হলো।প্রথম

    দিনে এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। তেমন কোনো

    বন্ধু নেই তাই ক্লাসে গিয়ে পিছনের সিটগুলোর

    মধ্যে একটাতে বসলাম।

    —হাই

    আমিঃহ্যালো

    জয়ঃআমি জয়

    আমিঃআমি নিলয়

    জয়ঃকলেজে প্রথম?

    আমিঃহ্যা।

    জয়ঃদেখেই বুঝতে পাড়ছি। বসবো এখানে?

    আমিঃহুম শিওর।

    জয়ঃতো হঠাৎ করে এই কলেজে কারণ কি ভাই?

    আমিঃআব্বু ট্রান্সফারের জন্য।

    রাহুলঃঐ কে রে এটা?

    জয়ঃওর নাম নিলয়।আর নিলয় এই দুইটা হলো

    আমার বন্ধু রাফি আর রাহুল।

    আমিঃহুম

    সবার সাথে টুকটাক কথা বলতে লাগলাম।


    কিছু সময় পর ক্লাসে স্যার আসাতে যে যার জায়গায়

    গিয়ে বসে পড়লো।সব গুলো ক্লাস শেষ করে বাইরে

    আসলাম।

    জয়ঃতুই কি এখনি বাসায় যাবি?

    আমিঃকেনো?

    জয়ঃনা গেলে আমাদের আড্ডাখানায় নিয়ে যাবো।

    সেখানে আমরা প্রতিদিন আড্ডা দেয়।

    আমিঃঠিক আছে আমিও জয়েন্ট করি তাহলে

    রাফিঃযাবি তাহলে?

    আমিঃনা গিয়ে কি করবো

    রাহুলঃতাহলে আর দেরি কিসের চল।

    আমিঃহুম চল

    সবার সাথে কথা বলে নিজের কাছে অনেক

    ভালো লাগলো।একদিনেই এতোটা ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব

    খুব ভালো লাগলো।সে যায় হোক, সবার সাথে

    কিছু সময় আড্ডা দেয়ার পর বাসার দিকে রওনা

    দিলাম।

    ---------------------------------------------

    বাসায় এসে,,,,,

    আম্মুঃকোথায় ছিলি?

    আমিঃনতুন কিছু বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে

    নিলুঃএকদম ওকে বিশ্বাস করবে না আম্মু।ভালো

    করে খোজ নিয়ে দেখো কোন মেয়ের পিছু নিয়ে

    এতো লেট করে বাসায় ফিরছে।

    আমিঃআম্মু তোমার কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েকে

    বাজে কথা বলতে বারণ করবে নাকি আমি মারবো

    নিলুঃআমাকে কুড়িয়ে পেয়েছে নাকি তোকে..?😡

    আম্মুঃতোরা থমবি নাকি আমার কিছু করতে হবে?

    নিলুঃতোর থেকে মাওয়া আপু অনেক ভালো

    আমিঃআমার এতো ভালো হওয়া লাগবে না

    আম্মুঃবুঝতে পারছি তোদের জন্য কি লাগবে।

    একটু অপেক্ষা কর আমি রান্নাঘর থেকে আসছি।

    আম্মুর এমন কথা শুনে দুজন ভোঁ করে রুমে

    চলে গেলাম।

    ওহ...!নিলু আমার ছোট বোন।এবার সবেমাত্র ক্লাস

    নাইনে।তবে অনেক পাকা একটা মেয়ে।আগেই

    বলছি সব সময় আমার পিছু লেগে থাকে।তবে

    আমি ওর নামে কিছু বললেই ন্যাকা কান্না শুরু

    করে দিবে।যেটা দেখে আব্বু আম্মু আমাকে বকা

    দেয়।রুমে এসে ফ্রেস হয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।


    বিকেলবেলা ঘুম থেকে উঠে ছাদে গেলাম।ছাদে

    যাওয়া মাত্র ফোনে কল আসায় রিসিভ করে কথা

    বলতে লাগলাম।হঠাৎ কিছু মেয়ের হাসির শব্দতে

    সামনে তাকালাম। কল কেটে দিতে ফোনটা 

    পকেটে ভরে নিলাম।খেয়ালি করিনি ছাদে এতো

    গুলো মেয়ের হাট বসেছে।এহেম এহেম দুটো

    হালকা করে কাশি দিতেই সবগুলো মেয়ে আমার

    দিকে তাকালো....

    —এই ছেলে আপনি এখানে কি করেন?

    আমিঃএটা কি আপনার বাবার ছাদ যে আমি কি

    করবো না করবো আপনাকে বলতে হবে?

    মেয়েঃজ্বি আমার বাবার ছাদ(সকালের মেয়েটি)

    আমিঃদেখুন আন্টি,আমি আপনার সাথে কথা

    বলছি না।

    —ঐ বাদর ছেলে, ওকে কোন এঙ্গেল থেকে আন্টি

    মনে হয় শুনি?

    আমিঃদেখেই মনে হয়

    —তুই ওকে চিনিস ও কে?

    আমিঃঐ ছেমড়ি আমি তোর লগে কি খারাপ

    আচরণ করছি যে তুই এভাবে কথা বলছিস?

    মেয়েঃরিতা এসব বাদ দে।আর উনার যেটা ইচ্ছা

    সেটা করুক তাতে আমাদের কি?

    রিতাঃতুই একদম চুপ।আর সব সময় বোকা সেজে

    থাকতে তোর খুব ভালো লাগে..কখনো তো 

    আমাদের মতো করে চলতে পাড়িস।

    আমিঃহুম ঠিক বলেছেন।

    প্রিয়াঃঐ আমরা আপনাকে কথা বলতে বলছি?

    আমিঃআমি তো আপনাদের সাপোর্ট নিচ্ছি তাই না

    রিতাঃনিতে বলছি?

    আমিঃনা

    রিতাঃতাহলে একদম চুপ

    আমিঃঢং,,যান নিচে গিয়ে উনাকে বুঝান

    অনেকটা রেগেই সবাই নিচে চলে গেলো।খুব ভালো

    লাগছে মেয়েদের রাগাতে পেড়ে। তবে মনের মধ্যে

    কেমন একটা খারাপ লাগছিলো।সবার সামনে

    মেয়েটাকে আন্টি না বললেও পাড়তাম। সমস্যা

    নেই পরে সরি বলে নিবো।মেয়েটা সবার থেকে

    একদম আলাদা।তার চলাফেরা,কথাবলা অন্য

    মেয়েদের থেকে একদম ভিন্ন।উনিশ শতকে মেয়েদের

    যেমনটা দেখাতো অনেকটাই তেমন।

    -------------------------------------------------------

    ঘুরে ঘুরে ছাদটা দেখতে লাগলাম।খোলামেলা

    জায়গা,ভিন্ন ভিন্ন ফুল গাছের টপ সাজানো,বড়

    একটা দোলনা।আরো কিছু সময় ছাদে থাকার পর

    নিচে চলে আসলাম।রুমে যেই মাত্র ঢুকতে যাবো

    তখনি নিলু ডাকলো....

    নিলুঃঐ কুত্তা তোকে আম্মু ডাকে

    আমিঃদেখ নিলু আমি কিন্তু তোর বড় ভাই

    নিলুঃতো কি হয়েছে...?

    আমিঃতুই আমাকে এসব বলিস কেনো?

    নিলুঃআমি তো কম বলছি আগে আম্মার কাছে

    যাও তারপর বুঝবা

    আমিঃকেনো আমি আবার কি করলাম

    নিলুঃতুই নিজেই গিয়ে শোন

    আমিঃওকে

    আম্মু রান্নাঘরে রান্না করছিলো তাই সেখানে গেলাম।

    আমিঃআমাকে ডেকেছো আম্মু?

    আম্মুঃতুই জান্নাতকে কি বলছিস?

    আমিঃজান্নাত কে?

    নিলুঃতোকে বলছিলাম না মাওয়া আপুর কথা,

    উনার অন্য আরেকটা নাম জান্নাত।

    আমিঃআবার এই মাওয়াটা কে?

    আম্মুঃতুই ছাদে কাকে কি বলছিস?

    আমিঃনা মানে ইয়ে আম্মু.....

    আম্মুঃআমি জানতে চাইছি কি হয়েছে

    আমিঃকিছু হয়নি,শুধু কথা বলেছি

    আম্মুঃহারামজাদা জান্নাতকে তোর কাছে আন্টি

    মনে হয় তাই না?

    আমিঃমনে তো সেটাই হয়

    আম্মুঃতোর আজ রাতের খাওয়া বন্ধ

    আমিঃআম্মুউউউউ.....

    আম্মুঃএখান থেকে যা তুই


    জানি আর সেখানে থেকে আর লাভ হবে না।

    আম্মু যেটা একবার বলবে সেটাই হবে।উনার মুখের

    উপর কিছু বললে রান্নাকরার সকল আসবাবপত্র

    আমার পিঠের উপর পড়বে।খুব ক্ষুধা লাগছে।

    দুপুরেও কিছু খাইনি।ভেবেছিলাম মেয়েটা ভালো,

    কিন্তু একদম না।পেত্নীটা বাসায় এসে নালিশ দিয়ে

    গেলো।বাসা থেকে বের হয়ে বাসার পাশে একটা

    রেস্টুরেন্ট থেকে রাতের খাবার খেয়ে বাসায় আসতে

    যাবো তখনি একটা মধ্যবয়স্ক লোকের সাথে দেখা..

    আমিঃআসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল

    আঙ্কেলঃতোমাকে ঠিক চিনলাম না(সালামের উত্তর দিয়ে)

    আমিঃআমরা এই বাসায় নতুন

    আঙ্কেলঃচার তলায়?

    আমিঃজ্বি

    আঙ্কেলঃকি নাম তোমার?

    আমিঃজ্বি আমার নাম নিলয়

    আঙ্কেলঃপড়াশোনা করো না?

    আমিঃএবার অনার্স ফাস্ট ইয়ারে

    আঙ্কেলঃআমার মেয়েও ফাস্ট ইয়ারে

    আমিঃওহ

    তারপর আঙ্কেলটার সাথে কথা বলতে বলতে 

    বাসায় চলে আসলাম।আপনাদের বলা হয়নি এই

    বাসাটা ৫ তলা।একদম উপরে বাড়িওয়ালা থাকে।


    বাসায় এসে কলিংবেল বাজাতে নিলু দরজা খুলে দিলো..

    নিলুঃকোথায় ছিলি?

    আমিঃবাইরে

    নিলুঃকেনো?

    আমিঃকাজ ছিলো

    নিলুঃমাত্র ২ দিন এই বাসায় আসলাম,তার মধ্যেই

    বাইরে কিসের কাজ থাকে?

    আমিঃথাপ্পড় খাবি?

    নিলুঃকিছু বললেই থাপ্পড় খাবি..ঢং😏

    আমিঃযা ভাগ

    রুমে এসে ফ্রেস হয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। কিন্তু সেই

    ঘুমটা বেশি সময়ের জন্য আর হলো না।নিলুর

    ডাকে কাচা ঘুম নষ্ট হয়ে গেলো।

    আমিঃএভাবে ডাকছিস কেনো?

    নিলুঃখাবি না?

    আমিঃনা, আর তুই এখান থেকে যা

    নিলুঃসরি ভাইয়া,আর এই দেখ আমি তোর জন্য

    খাবার নিয়ে আসছি।

    আমিঃআমি বাইরে থেকে খেয়ে আসছি।তুই খেয়ে নে

    নিলুঃবাইরে থেকে খাওয়ার কি আছে

    আমিঃতো বাইরের একটা মেয়ের কথা শুনে আমায়

    বকা দেয়ার কি আছে?

    নিলুঃতুই তাহলে খাবি না

    আমিঃনা,আর রুম থেকে বের হো

    নিলুঃনা খেলে আমার কি,শুধু বোন হিসাবে বললাম

    আমিঃলাগবে না তোর এতো দরদ

    নিলু কিছু বলতে চাইলেও ওকে বাধা দিয়ে রুম

    থেকে বের করে দিলাম।তারপর আবার ঘুমানোর

    চেষ্টা করলাম।

    -------------------------------------------------

    পরেরদিন,,,,,,,

    সকালের নাস্তা করে বাইরে আসতে দেখলাম ঐ

    মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে।

    আমিঃবাড়িওয়ালার মেয়ে জান্নাত..?

    জান্নাতঃজি

    আমিঃবাসায় গিয়ে নালিশ না জানালেও পারতেন

    জান্নাতঃআমি সেসবের জন্য আপনার কাছে ক্ষমা

    চাইছি।আমি একদম আপনার বাসায় এসব বলতে

    চাইনি।কিন্তু আমার ফ্রেন্ডরা আমাকে জোড় করে

    আপনার বাসায় নিয়ে যায় এবং আপনার আম্মুকে

    সব কথা বলে।সবার তরফ থেকে আমি সরি

    আমিঃএএ,আপনার সরি আপনার কাছেই রাখুন।

    জান্নাতঃহাই আমি জান্নাত

    আমিঃআমার পরিচয় হওয়ার ইচ্ছা নেই।।

    জান্নাতঃযখন একটা মানুষ বন্ধুত্বের জন্য হাত

    বাড়িয়ে দেয় সেই হাতকে ফিরিয়ে দিতে নেই।

    আমিঃশোনেন আন্টি,আমাকে একদম জ্ঞান দিতে

    আসবেন না।

    জান্নাতঃএই মামা যাবেন?

    রিক্সাঃহ্যা যাবো,ওঠেন।

    জান্নাতঃআপনি চাইলে আমার সাথে আসতে

    পাড়েন (রিক্সায় উঠে)

    আমিঃকোনো দরকার নেই।

    জান্নাতঃনিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে শিখুন বাই

    আর কোনো কথা না বলে রিক্সাওয়ালাকে যেতে

    বলল।ইচ্ছা করছিলো ধরে দুটো ঠাসসস ঠুসসস

    দেয়। শুধুমাত্র বাড়িওয়ালার মেয়ে বলে কিছু করতে

    পারছি না।কেনো যে এখানে আসতে গেলাম।

    প্রায় ১০মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর একটা রিক্সা

    পেলাম।সেটাই করে কলেজে আসলাম।

    বন্ধুগুলো আগে থেকে বসে ছিলো নতুন করে আমি

    জয়েন্ট করলাম।

    আমিঃকি অবস্থা সবার?

    রাহুলঃসবাই ভালোই তো থাকি।

    জয়ঃদোস্ত এখন থেকে সাবধানে ক্লাস করিস

    আমিঃকেনো?

    জয়ঃযেটা বললাম সেটা মাথায় রাখিস।পরে

    ঠিকি জানতে পাড়বি। 

    আমিঃকারণ বলে রাখলে আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে

    রাখা যেতো।

    রাফিঃপরে সব জানতে পারবি এখন ক্লাসে চল।

    আমিঃহুম চল


    সবাই মিলে ক্লাসে আসতে যাবো তখনি কানিটার

    সাথে দেখা।

    জান্নাতঃআপনি এখানে..?

    আমিঃএটাও কি আপনার আব্বুর জায়গা যে সব

    কিছু বলতে হবে?

    জয়ঃসালা কাকে কি বলছিস

    আমিঃঠিকি বলছি,এই হারামজাদির জন্য রাতে

    আম্মু খেতে দেয়নি।

    রাহুলঃতুই ওকে চিনিস?

    আমিঃহুম বাড়িওয়ালার মেয়ে

    রাফিঃওর আরেকটা পরিচয় আছে

    আমিঃকি?

    রাফিঃক্লাসে চল বলছি।আর জান্নাত আমরা সরি

    জান্নাতঃঠিক আছে।

    ক্লাসে আসার পর।

    আমিঃতোরা আমাকে নিয়ে আসলি কেনো?

    জয়ঃও কে জানিস?

    আমিঃবললাম তো একবার

    জয়ঃহারামি ওর বাবা এলাকার মধ্যে টপার 

    বিজনেসম্যান সাথে কলেজের ফাউন্ডার মেম্বার।

    জান্নাত চাইলে তোকে এই মুহূর্তে লাথি দিয়ে কলেজ

    থেকে বের করে দিতে পারে।

    আমিঃএতোই যদি কোটিপতি হয় তাহলে সাধারণ

    ভাবে চলাফেরা করার কারণ কি?

    রাফিঃসেটা উনারাই ভালো জানে।

    আমিঃএসব আমাকে বলে লাভ নেই।যে আমার

    সাথে খারাপ আচরণ করবে তাকে শাস্তি দিবোই।

    জয়ঃতোর যদি বাশ খাওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে

    দিস তবে আমাদের এসবের মাঝে টানিস না।

    আমিঃপাগল নাকি,মরলে সবাই মরবো😁

    ওরা কিছু বলার আগেই ক্লাসে স্যার আসলো। 

    --------------------------------------------------

    সব গুলো ক্লাস করে বাইরে আসতেই আবার

    জান্নাতের সাথে দেখা।

    আমিঃএই যে চশমা

    জান্নাতঃ...(কিছু না বলে চলে যেতে লাগলো)

    আমিঃঐ চশমা

    জান্নাতঃআমাকে বলছেন?

    আমিঃআপনি ছাড়া কে আছে?

    জান্নাতঃঅনেকেই তো আছে

    আমিঃঐ এতো কথা বলেন কেনো?

    জান্নাতঃকিছু বলবেন?

    আমিঃহুম

    জান্নাতঃজ্বি বলেন

    আমিঃএতো সাধারণ হয়ে থাকেন কেনো?

    জান্নাতঃসাধারণ থাকতেই ভালো লাগে।

    আমিঃকিন্তু.....?

    জান্নাতঃবাসায় যাবো বাই

    আর কোনো কথা না বলে চলে গেলো।


    আমিও আর সেখানে দাঁড়িয়ে না থেকে বাসায়

    আসার জন্য একটা রিক্সা নিলাম।সালার কিছুই

    বুঝলাম না,জান্নাত যদি এতোই শক্তিশালী হয়ে

    থাকে তাহলে এমন ভাবে জীবনযাপন করার

    কারণ কি..আর কেনোই বা তাকে বার বার অপমান

    করার পরেও কিছু বলে না।জান্নাত নামের এক

    আন্টি আর সালার পাগল বন্ধুদের কথাবার্তায়

    মাথাটা ঝিম ঝিম করছে।কোনো রকমে বাসায়

    আসার পর ফ্রেস হয়ে ঘুমিয়ে গেলাম।বিকেলবেলা

    ঘুম থেকে উঠে ছাদে যেতেই দেখলাম জান্নাত

    দোলনায় বসে আছে।মেয়েটার চেহারায় অন্যরকম

    একটা মায়া আছে।কিন্তু তার চলাফেরা,কথাবলা

    একদম অসহ্য লাগে।


    চলবে..............

    বাড়িওয়ালার মেয়ে

    পর্বঃ১

    #আবির হাসান নিলয়

    কোন মন্তব্য নেই:

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Fashion

    Beauty

    Travel