বাড়িওয়ালার মেয়ে
পর্বঃ২
#আবির হাসান নিলয়
জান্নাতঃকি দেখছেন এভাবে?
আমিঃতোমাকে,,ইয়ে মানে আপনাকে
জান্নাতঃআমাকে এভাবে দেখার কি আছে শুনি?
আমিঃযেটা আমি দেখতে পাচ্ছি সেটা হয়তো
অন্য কেউ দেখতে পাই না।আর অন্য সবাই যেটা
দেখতে পাই সেটা দেখতে হয়তো আমি ব্যর্থ।
জান্নাতঃঅনেক গুছিয়ে কথা বলতে পারেন দেখছি
আমিঃসেটা একটু পারি।
জান্নাতঃতো বলুন,আপনি কি দেখতে পান
আমিঃউনিশ শতকের কোনো এক মেয়ে ভুল করে
মডার্ন যুগে চলে এসেছে।
জান্নাতঃবুঝলাম না আপনার কথা...
আমিঃবোঝার জন্য তো বলিনি
জান্নাতঃতাহলে বলছেন কেনো?
আমিঃমন বলতে চাইলো তাই বললাম।
জান্নাতঃআপনার অনেক সাহস আছে
আমিঃযেমন?
জান্নাতঃসদা সর্বদা আমাকে অপমান করেন
আমিঃমাত্র তো শুরু করেছি।
জান্নাতঃআপনি থাকেন আমি নিচে যায়
আমিঃশুনুন
জান্নাতঃহ্যা বলুন
আমিঃনিজেকে বদলাতে পাড়বেন?
জান্নাতঃকেনো?
আমিঃআপনাকে আন্টির ভেসে থাকতে ভালো
দেখায় না।
জান্নাতঃআমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আমি যেমন
আছি ঠিক তেমনি থাকতে চাই।
আমিঃআর যদি থাকতে না দেয়(হাত ধরে)
জান্নাতঃসেটা শুধু মুখেই বলতে পাড়বেন। কখনো
বসন্তের কোকিলকে সামনে রেখে তার কুহু কুহু
ডাক শুনেছেন?
আমিঃনা,তবে ধুর থেকে শুনেছি
জান্নাতঃআমার ব্যাপারেও ঠিক তেমন।আপনি
ধুর থেকেই বদলাতে বলবেন। কিন্তু কাছে এসে
বদলানোর চেষ্টা করতে পাড়বেন না।যদিও চেষ্টা
করেন তাহলে আপনি রবেন না এই ভুবনে।
আমিঃহুমকি দিচ্ছেন?
জান্নাতঃশুধুমাত্র শতর্ক করছি।আর হাতটা ছাড়লে
খুশি হতাম।
আমিঃযদি না ছাড়ি?
জান্নাতঃধরে রাখার শক্তিতাল আপনার কাছে নেই
(অন্য হাত দিয়ে ছাড়িয়ে নিলো)
আমিঃকিছু কথা বলার ছিলো..
জান্নাতঃসেটা না হয় অন্য কোনো সময় শুনে নিবো
আমিঃযদি জোড় করি শোনানোর জন্য
জান্নাতঃকোনো লাভ হবে না।
আমিঃএতো জেদি কেনো?
জান্নাতঃজেদি না তো,শুধুমাত্র নিজের মনের কথা
শুনতে ভালো লাগছে।
আমিঃদেখুন আপনার আজাইরা প্যাচাল কিন্তু
আমার কাছে একদম ভালো লাগছে না।
জান্নাতঃশুনতে কে বলছে আপনাকে?
আমিঃআমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত আন্টি।আর
আপনি এখান থেকে চলে যান।
জান্নাতঃজ্বি।
আমার কথার কোনো প্রতিবাদ না করে মেয়েটা
চলে গেলো।
এই মেয়েটাকে যতো দেখছি ততো বেশি অবাক
হয়।বার বার অপমান করার পরেও চুপচাপ সব
সহ্য করে।কখনো প্রতিবাদ করে না।কিন্তু বন্ধুরা
যেটা বলল সেটা শুনে তো মনে হয় আমি নতুন
তাই কিছু বলছে না।সে যায় হোক,মেয়েটাকে
বদলাতে হবে। কিন্তু কিভাবে বদলানো যায়...?
সন্ধ্যা অবধি ছাদে ভাবার পর নিচে এসে কলিংবেল
বাজাবো ঠিক তখনি দরজা খুলে জান্নাত বেরিয়ে
আসলো।
আমিঃনালিশ দিতে আসছেন?
জান্নাতঃসব সময় মাথায় ভুল চিন্তাভাবনা রাখা
উচিৎ নয় নিলয় সাহেব।
আমিঃআগে আমিও সেটাই ভাবতাম।কিন্তু গতকাল
কিছু একটা বলার জন্য রাতের খাবার পাইনি।
জান্নাতঃরেস্টুরেন্ট থেকে তো ঠিকি খেয়ে আসলেন
আমিঃআপনি কি করে জানলেন?😒
জান্নাতঃঅবাক হচ্ছেন কেনো?আপনার ছোট
বোন নিলুর থেকে শুনছি।
আমিঃওহ😶
জান্নাতঃআর শুনুন,বোনকে কখনো কষ্ট দিতে নেই।
যখন যেটা আবদার করে পালন করতে না পারলেও
বুঝিয়ে বলবেন।দেখবেন মেনে যাবে।
আমিঃজ্ঞান দিচ্ছেন?
জান্নাতঃআপনার মতো ছেলেকে ভালো কিছু বললে
ভাববেন অপমান করছি।
আমিঃকেমন ছেলে আমি?
জান্নাতঃসবার থেকে আপনি নিজেই ভালো জানেন
আমিঃযান আপনার আব্বু আপনার জন্য অপেক্ষার
প্রহর গুনছে। গিয়ে উনার সাথে কথা বলেন।
জান্নাত আমার কথার কোনো প্রতিউত্তর না দিয়ে
চলে গেলো।
সবসময় পাগলিদের মতো বকবক করে।আল্লাহ
কি দিয়ে এই মেয়েকে তৈরি করছে কে জানে।
আম্মুঃতুই ওখানে দাঁড়িয়ে কি করিস?
আমিঃরুমের ইট গুনছি
আম্মুঃমাইর খাবি বাদর।দরজা আটকিয়ে ভিতরে আয়
আমিঃযথা আজ্ঞা আম্মাজান।
ভিতরে এসে দরজা আটকিয়ে রুমে চলে এলাম।
----------------------------------------------
আমিঃনিলুউউ
নিলুঃকি হয়েছে?(রুমে এসে)
আমিঃতুই ঐ চশমাকে কি বলছিস?
নিলুঃচশমা কে?
আমিঃতোর জান্নাত আপু না কি সেই
নিলুঃআমি আবার কি বলবো।আর ভাইয়া জানিস
আপুটা কতো ভালো...!ফ্রি হলেই আমাদের সাথে
কথা বলতে চলে আসে।
আমিঃকেনো?
নিলুঃএতো প্রশ্ন করার কি আছে,তোর থেকে
জান্নাত আপু অনেক ভালো।
আমিঃতোদের কাছে আমি কবেই বা ভালো হলাম?
নিলুঃভালো ব্যবহার করলে ভালো হবি।
আমিঃজ্ঞান দেয়া বাদ দিয়ে পড়াশোনা কর যা।
নিলুঃহু😏
রুম থেকে নিলু চলে যাওয়ার পর বন্ধুদের কল
দিয়ে জান্নাতের সম্পর্কে আর কিছু জানলাম।
হারামিরা সব সময় ভয় দেখানোর জন্য ওর বাপের
পাওয়ার নিয়ে কথা বলে।
রাতে পড়াশোনা করার পর রাতের খাবার খেয়ে
ঘুমিয়ে গেলাম।
-------------------------------------------------
পরেরদিন,,,,,,,,,,,
নিলুর ডাকে সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হতে
বাথরুমে গেলাম।ফ্রেস হওয়া শেষ করে রুমে এসে
রেডি হয়ে বাইরে আসলাম।
আব্বুঃনিলয় তো....(থামিয়ে দিয়ে)
আমিঃহ্যা ভালোই চলছে।
আব্বুঃকথা শেষ না হতেই..?
আমিঃজানি তুমি এটাই প্রশ্ন করতে।
আব্বুঃকলেজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না তো?
আমিঃনা
আব্বুঃনিলু মা তোর?
নিলুঃনা আব্বু,স্কুলের সবাই অনেক ভালো।
আম্মুঃসবাই নাস্তা করে নাও
তারপর সবাই মিলে নাস্তা করে যার যার মতো
বেড়িয়ে গেলাম।
গতকালকের মতো আজকেও দেখলাম জান্নাত
রিক্সার জন্য দাঁড়িয়ে আছে।
আমিঃহাই
জান্নাতঃকিছু বলবেন?
আমিঃবলার জন্যই ডাকলাম
জান্নাতঃযেতে যেতে কথা বলি?
আমিঃমানে?
জান্নাতঃঅনেক সময় অপেক্ষা করার পর রিক্সা
দেখলাম।এটা মিস করলে আর নাও পেতে পাড়ি।
তাই চলুন একসাথে যেতে যেতে কথা শুনি..!
আমিঃঠিক আছে চলেন।
রিক্সায় উঠলাম দুজন তবে দুজনের মাঝখানে
জান্নাতের ব্যাগ দিয়ে দেয়াল দেয়া আছে।নীরবতা
ভেঙে জান্নাত নিজেই বলল,,,
জান্নাতঃকিছু একটা বলতে চেয়েছিলেন
আমিঃকিন্তু আপনি কি সঠিকভাবে উত্তর দিবেন?
জান্নাতঃঘুরিয়ে পেঁচিয়ে প্রশ্ন না করলে ঠিকি পাবেন
আমিঃশুনেছি আপনাদের অন্য একটা ফ্লাট আছে।
সেটাও নাকি অনেক সুন্দর করে সাজানো। কিন্তু
এখানে থাকার কারণ কি?
জান্নাতঃএমনি,আর যখন ইচ্ছা তখন গিয়ে ঘুরে
আসি।তবে এখানে থাকতেই ভালো লাগে।।
আমিঃআপনার বাবা কিছু বলেনা?
জান্নাতঃআম্মু পরলোকগমন করার পর থেকে
আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করেনি।
আমিঃআপনার আম্মু বেচে নেই..?
জান্নাতঃবেচে থাকলে নিশ্চয় পরলোকগমন কথাটা
তুলতাম না।
আমিঃতবুও সবার সামনে কতো সুন্দর করে হেসে
কথা বলেন।
জান্নাতঃআম্মুর কিছু কথা পালন করার জন্যই।
আমিঃওহ
দুজন কথা বলতে বলতে কলেজে চলে আসলাম।
যতোটা ভেবেছিলাম ততোটা ভালো না।একদম
কিপটা,এতো বড়লোকের মেয়ে তবুও আমার
কাছে থেকে টাকা নিয়ে ভাড়া দিলো।(ভাগ করে)
আমিঃশুনুন...!
জান্নাতঃহুম বলেন
আমিঃআপনি অনেক কিউট
জান্নাতঃআগে তো আন্টি বলতেন
আমিঃমানুষ মাত্রই তো ভুল হয় তাই না
জান্নাতঃজ্বি আর ধন্যবাদ
আমিঃবন্ধুত্ব করবেন?
জান্নাতঃবাধা নেই,তবে আমি সবার মতো না
আমিঃজানি আমি।তো ফ্রেন্ড?
জান্নাতঃহুম ফ্রেন্ড
আমিঃকিন্তু আমাদের এই আপনি কথাটা মুছে
ফেলতে হবে।
জান্নাতঃহাহাহা,তুমি করেই বলবো
আমিঃহুম,কলেজ শেষ করে কথা হবে
জান্নাতঃহুম বাই
জান্নাতের থেকে বিদায় নিয়ে বন্ধুদের কাছে আসলাম।
তবে ওদের কাছে গিয়ে অনেক বেশি অবাক হলাম।
কিছু মেয়ে ওদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছে।
জয়ঃকিরে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো?
আমিঃনা মানে এদের চিনলাম না
রাফিঃওরা হলো আমাদের পেত্নী ফ্রেন্ড, পরিচয় হো
টিনা,মেঘনা,সুমু,রাত্রি
আমিঃহুম
রাহুলঃবস
টিনাঃদেখলাম জান্নাতের সাথে ভালোই লাইনে।আছিস
আমিঃআরে না,শুধুমাত্র বাড়িওয়ালার মেয়ে তাই
রাহুলঃযদি সেটাই হতো তাহলে দুজন এক রিক্সা
শেয়ার করে আসার কারণ কি?
আমিঃএমনি আসলাম।
সুমুঃবুঝি বুঝি
আমিঃতোদের বুঝ তোদের কাছেই রাখ
----------------------------------------------
অপরদিকে জান্নাতের কথা,,,,
রিয়াঃতুই ঐ বদজাত ছেলের সাথে কি করছিলি?
জান্নাতঃছেলেটা ততোটা খারাপ না
প্রিয়াঃতোরে কইছে ঐ ব্যাটা খারাপ না
জান্নাতঃওর আম্মুর থেকে শুনলাম,ও অনেকটা
ফ্রি হয়ে সবার সাথে কথা বলে তাই এমন।
নাতাশাঃদেখ দোস্ত তুই ওকে কি ভাবিস জানিনা,
তবে বদজাতটা আমাদের সবার শত্রু। তুই জানিস
ও ওর বন্ধুদের কি বলছে?
জান্নাতঃকি বলেছে?
নাতাশাঃআমরা নাকি প্রতিবন্ধী গ্রুপ,তুই বল ওকে
এখন কি করবো😡
জান্নাতঃবাদ দে,পরে আমি কথা বলে নিবো।
প্রিয়াঃতুই পরেও কথা বলবি মানে!
জান্নাতঃহ্যা বন্ধুত্ব করেছি
রিয়াঃতুই কি পাগল হয়েছিস যে ঐ বদজাত ছেলের
সাথে তোর বন্ধুত্ব করবে...!
জান্নাতঃচল ক্লাসে যায়
জান্নাতের কথা শুনে ওর ফ্রেন্ডরা আর কিছু বলল
না।কারণ,ওরা জানে জান্নাত কথাটা ঘুরানোর চেষ্টা
করছে।আর জান্নাত যে কথা বলতে আগ্রহী না।
সে কথা হাজার চেষ্টা করলেও ওকে দিয়ে বলাতে
পাড়বে না।সবাই মিলে ক্লাসে চলে গেলো।
-----------------------------------------------
ক্লাসে বসে আছি তখনি একটা ম্যাম আসলো।
তবে অবাক করার বিষয় এই ম্যামকে গতকাল
ক্লাসে দেখিনি।
আমিঃএটা কোন ম্যাম রে?
রাফিঃজান্নাতের মামি
আমিঃতুই জানলি কি করে?
রাহুলঃক্লাস কর এমনিতেই জানতে পাড়বি
আমিঃহুম
ম্যাম জান্নাতের পাশে যেতেই জান্নাত দাঁড়িয়ে গেলো।
জান্নাতঃকিছু বলবেন?
ম্যামঃআজ কলেজ শেষ বাসায় যেতে পাড়বি?
জান্নাতঃকলেজ শেষ করে তো যেতে পাড়বো না।
তবে বাসায় গিয়ে একটা কিউট মেয়েকে সাথে
নিয়ে যাবো।
ম্যামঃআড্ডা দিতে যাবি নাকি,এতো আড্ডা দেয়া
কিন্তু ভালো না।
জান্নাতঃ.......
ম্যামকে গোপনে কিছু একটা বলতেই ম্যাম এক
চিলতে হাসি দিয়ে জান্নাতকে বসতে বলল।বুঝলাম
না,এটা ক্লাস নাকি কথা বলার জন্য বাসা।কলেজে
নতুন তাই কিছু বললাম না।
ক্লাস শেষ করে বন্ধুদের সাথে কথা বলে সামনের
দিকে আসতেই জান্নাতকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম।
জান্নাতঃএতো দেড়ি কেনো?
আমিঃআপনাকে বলবো কেনো?
জান্নাতঃসকালে তো ফ্রেন্ডশিপ করলেন
আমিঃওহহহ,,,,ভুলে গেছিলাম।
জান্নাতঃএখন রিক্সায় উঠেন
আমিঃআমার কাছে টাকা নাই
জান্নাতঃমিথ্যা বলছেন?
আমিঃমানিব্যাগ দেখবেন?
জান্নাতঃথাক লাগবে না।আমি নিজেই দিয়ে দেবো
আমিঃতাহলে চলুন
জান্নতের সাথে কথা বলতে বলতে বাসায় চলে
আসাম।
---------------------------------------------
ঘুম থেকে উঠে ফোন পাচ্ছিলাম না।এটা নিলু
ছাড়া কেউ নিবে না।
আমিঃনিলুউউউ
—...........(কোনো উত্তর পেলাম না)
আমিঃনিলু বোন প্লিজ ফোনটা দিয়ে যা
আম্মুঃনিলু বাসায় নেই(বাইরে থেকে)
আমিঃকোথায় গেছে(আম্মুর কাছে গিয়ে)
আম্মুঃজান্নাতের সাথে ওর মামার বাসায় গেছে
আমিঃকেনো?
আম্মুঃজান্নাতের নাকি নিলুকে অনেক ভালো লাগে,
আর তাছাড়া মেয়েটা একা একা যাবে তাই নিয়ে গেছে
আমিঃতোমাদের সবাইকে হাত করছে মেয়েটা
আম্মুঃচুপ থাক বাদর।
আমিঃহু,কিছু বললেই চুপ করতে বলো।
আর কোনো কথা না বলে রুমে এসে ফ্রেস হয়ে
বন্ধুদের কাছে গেলাম।
সন্ধ্যা অবধি আড্ডা দিয়ে ডিরেক্ট ছাদে গেলাম।
লাইটের আলোতে স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম জান্নাত
দোলনার উপর বসে নিলুর সাথে কথা বলছে,,,,,
আমিঃনিলু তুই এখানে?
নিলুঃজান্নাত আপুর সাথে আড্ডা দিচ্ছি
আমিঃনিচে যা এখন
জান্নাতঃকেনো?
আমিঃতোমার সাথে কিছু কথা বলার আছে তাই
জান্নাতঃনিলু থাক সমস্যা কি?
আমিঃনিলু....
নিলুঃঠিক আছে ভাইয়া।আপু থাকো আমি নিচে
যায়।আর ভাইয়া কারণ ছাড়া এমন কথা বলবে না।
জান্নাতঃঠিক আছে বাই
নিলুঃবাই
নিলু চলে যেতেই ধপাস করে জান্নাতের পাশে
বসে পড়লাম।
আমিঃঐ তুমি কি যাদু জানো?
জান্নাতঃহাহাহা,না কেনো?
আমিঃতুমি আমার পরিবারের সাথে কি করেছো,
সব সময় তোমার কথা বলে।
জান্নাতঃইহা ম্যাজিক নিলয় সাহেব
আমিঃহোপ,তোমার ম্যাজিকের কারণে পরে অন্য
কিছু করতে না হয়
জান্নাতঃকি করবে শুনি?
আমিঃ.............?(টুইস্ট)
চলবে..................
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন