• Breaking News

    বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১

    বাড়িওয়ালার মেয়ে ৪

    বাড়িওয়ালার মেয়ে
    পর্বঃ৪
    #আবির হাসান নিলয়

    হাত দিয়ে জান্নাতের গাল স্পর্শ করতেই কেপে উঠে 
    চোখ বন্ধ করে নিলো।অজানা মায়া মেয়েটার
    প্রতি নিজেকে হারিয়ে ফেলতে ইচ্ছা করছে।নিজের
    অনিচ্ছা সত্ত্বেও জান্নাতকে নিজের অনেক কাছে
    নিয়ে আসলাম।জান্নাতের প্রতিটা নিশ্বাস আমার
    মুখের উপর পড়ছিলো।বাম হাত দিয়ে জান্নাতের
    চুলে স্পর্শ করতেই,ঝাড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে গেলো।
    আমিঃউঠে গেলে কেনো?
    জান্নাতঃতুমি থাকো আমি বাসায় যাচ্ছি
    আমিঃকেনো?(হাত ধরে)
    জান্নাতঃনিলয় হাত ছাড়ো
    আমিঃযদি না ছাড়ি?
    জান্নাতঃআমার এসব ভালো লাগে না।নিজের
    ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্য কেউ আমাকে স্পর্শ করবে
    সেটা আমি একদম মানতে পারি না।
    আমিঃএখন আমি কি অন্য মানুষ?
    জান্নাতঃযদি বলি হ্যা..!
    আমিঃঠিক আছে যাও(হাত ছেড়ে দিয়ে)
    জান্নাতঃধন্যবাদ এবং বাই
    আমিঃশোনো
    জান্নাতঃকি?
    আমিঃএকটা প্রমিজ করবে?
    জান্নাতঃহুম বলো
    আমিঃনিলুকে নিয়ে কখনো তোমার মামার বাসায়
    যাবে না।
    জান্নাতঃকেনো?
    আমিঃবলছি তাই
    জান্নাতঃআমার উপর ত.....
    আমিঃতুমি এখন যেতে পারো
    জান্নাতঃকিন্তু আমার ক....
    আমিঃযেতে বলছি,প্লিজ যাও
    আর কোনো কথা না বলে জান্নাত রুম থেকে বের
    হয়ে গেলো।

    জান্নাত রুম থেকে বের হতেই দরজা বন্ধ করে
    বিছানার উপর বসে পড়লাম।জান্নাত কি আদৌ
    আমাকে পছন্দ করে নাকি সব আমার মনের ভুল।
    সামান্য হাত ধরতেই এমন করলো,তাতে আমার কি
    আমি ওকে ভালোবাসি আর ওকেও আমাকে
    ভালোবাসতে হবে।ফোন হাতে নিয়ে জান্নাতকে
    মেসেজ করলাম;“এমন আচরণ না করলেও
    পাড়তে। অনেক কষ্ট পেয়েছি।তবে এটা ভেবো না
    তোমাকে ভুলে যাবো।সব সময় তোমার পিছু লেগে
    থাকবো।সব সময় জ্বালাবো কারণ আমি তোমাকে
    ভালোবাসি ডার্লিং”
    এটুকু লিখেই সেন্ট করে ফ্রেস হওয়ার জন্য
    বাথরুমে চলে গেলাম।
    --------------------------------------------
    জান্নাতের কথা,,,,
    বাদর একটা,আমাকে রুম থেকে বের করে দেয়া
    তুই পরে শাস্তি পাবি।আর কি বললি,নিলুকে নিয়ে
    মামা বাসায় যেতে পাড়বো না।নিলু আমার শ্বশুর
    আব্বার থুক্কু হবু শ্বশুর আব্বার মেয়ে।আমার
    যেখানে ভালো মনে হবে সেখানে নিয়ে যাবো তাতে
    তোর কি,,,আমি না হয় একটু বেশিই বলেছি। কিন্তু
    তুই আমার চোখের কথা বুঝিস না,ধুর পাগলটা
    কিভাবে বুঝবে চোখেই তো চশমা পড়ি।
    আম্মুঃকিরে মা এখানে দাঁড়িয়ে কি ভাবছিস?
    জান্নাতঃনা ইয়ে মানে কিছুনা
    আম্মুঃআয় আমার সাথে
    জান্নাতঃহুম
    আম্মুঃবস,আর কি ভাবছিলি দাঁড়িয়ে?
    জান্নাতঃতেমন কিছুনা
    আম্মুঃওহ
    জান্নাতঃএকটা কথা বলি?
    আম্মুঃহ্যা বল
    জান্নাতঃআমি কি আপনাকে আম্মু বলতে পাড়ি?
    আম্মুঃনা
    জান্নাতঃঠিক আছে(মাথা নিচু করে)
    আম্মুঃতুই যদি আমাকে আপনি না করে তুমি করে
    বলিস তাহলে নিলুর মতো আদর পাবি সাথে
    আমাকে আম্মু ডাকতে পাড়বি
    জান্নাতঃসত্যি...?
    আম্মুঃহ্যা সত্যি
    জান্নাতঃলাভ ইউ আম্মু(জড়িয়ে ধরে)
    নিলুঃআমি পর হয়ে গেলাম বুঝি?
    আম্মুঃআয় তুইও আয়
    নিলুঃহুম
    তিনজন বসে কথা বলছিলো তখনি জান্নাতের
    ফোনে একটা মেসেজ আসে।মেসেজ ওপেন করে
    দেখলো নিলয়ের মেসেজ।
    “এমন আচরণ না করলেও
    পাড়তে। অনেক কষ্ট পেয়েছি।তবে এটা ভেবো না
    তোমাকে ভুলে যাবো।সব সময় তোমার পিছু লেগে
    থাকবো।সব সময় জ্বালাবো কারণ আমি তোমাকে
    ভালোবাসি ডার্লিং”
    মেসেজটা পরেই জান্নাত ফিক করে হেসে দিলো।
    জান্নাতের এমন হাসা দেখে আম্মু আর নিলু অবাক
    হয়ে ওর দিকে তাকালো..
    আম্মুঃতুই এমন হাসছিস কেনো?
    জান্নাতঃআনন্দে আম্মু।
    নিলুঃখুশি হওয়ার কারণ কি?
    জান্নাতঃপড়ে ঠিকি জানতে পাড়বে বাবু😁
    নিলুঃআমি মোটেও বাবু না😏
    জান্নাতঃহু,আম্মু এখন আমি যায় পরে আসবো বাই
    আম্মুঃঠিক আছে।

    বাসা থেকে বের হয়ে দৌড়ে নিজেদের বাসায় গিয়ে
    টেলিভিশনের সাউন্ড ফুল স্পিডে দিয়ে গান
    শুনতে লাগলো।জান্নাতের আব্বু বাসায় নেই,
    পাগলামিটা যেনো আরো বেড়ে গেলো।নিজে নিজেই
    নৃত্য করতে লাগলো।একসময় হাপিয়ে উঠতেই
    ফ্রিজ থেকে জুস বের করে শোফার উপর বসে
    জুস খেতে লাগলো।
    ------------------------------------------------
    নিলয়ের কথা,,,,
    ফ্রেস হয়ে রুমের বাইরে আসলাম।
    আমিঃনিলু তুই ছাদে যাস নাই?
    নিলুঃকেনো?
    আমিঃপ্রতিদিন বিকেলে তো ছাদে যাস
    নিলুঃআজ যায়নি
    আমিঃওহ
    টুকটাক কথা বলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার
    জন্য আড্ডাখানায় আসলাম।সবাই মিলে আড্ডা
    দেয়ার পর সন্ধ্যার সময় বাসায় আসলাম।
    ৪ তলায় আসতেই জান্নাতের সাথে দেখা।ও হঠাৎ
    এখানে কি করে....!
    জান্নাতঃকোথায় ছিলে?
    আমিঃবন্ধুদের সাথে এলাকা দেখছিলাম
    জান্নাতঃওহ,চলো
    আমিঃচলো মানে,কোথায় যাবো?
    জান্নাতঃতোমাদের বাসায়
    আমিঃকেনো?
    জান্নাতঃআম্মুর সাথে আড্ডা দিবো তাই
    আমিঃতোমার তো আম্মু....
    জান্নাতঃআমার আরেক আম্মু,যিনি নিলুর আম্মু
    আমিঃঢং কতো..!
    জান্নাতঃবেশি না,একটু..😁
    আমিঃহু,আসলে আসো না আসলে বাসায় যাও
    জান্নাতঃজি নিলয় সাহেব চলেন।
    জান্নাতকে সাথে নিয়ে বাসায় ডুকলাম।

    আব্বু আম্মু বাইরে বসে কিছু একটা কথা বলছিলো
    আমার সাথে জান্নাতকে দেখে বলল,,,,
    আম্মুঃজান্নাত তুই এখন কি মনে করে?
    জান্নাতঃআম্মুর বাসায় কি আসতে পাড়ি না?
    আম্মুঃহ্যা পাড়িস কিন্তু এই বাদরটার সাথে কেনো?
    আমিঃদুজন ছাদে বসে প্রেম করছিলাম😁
    আব্বুঃসত্যি নাকি রে?
    জান্নাতঃএকদম সত্যি না।আমি তোমাদের এখানে
    আসার জন্য বের হয়েছি তখনি নিলয় আসলো।
    তাই দুজন একসাথে আসলাম।
    আম্মুঃবাদর কোথাকার। তুই আয় মা
    জান্নাতঃহুম
    আমিঃওহহ,এখন আমি পর হয়ে গেছি তাই না
    আম্মুঃতোর সাথে এখন কথা বলবো না।তুই রুমে যা
    আমিঃকতো ভালোবাসা.......
    উনাদের থেকে চলে এসে রুমে আসলাম।শুয়ে
    শুয়ে ফেসবুকে ঈশানের সাথে কথা বলছিলাম
    তখনি জান্নাত আসলো।
    জান্নাতঃকি করো?
    আমিঃপ্রেম করি
    জান্নাতঃকিহহ😡
    আমিঃএতো রাগছো কেনো,তুমি তো আমাকে
    ভালোবাসো না।তাই অন্য একটা জোগাড় করছি
    জান্নারঃওহ,আমি আসি বাই
    আমিঃকোথায় যাচ্ছো ডার্লিং(পেছন থেকে জড়িয়ে)
    জান্নাতঃছাড়ো আমাকে
    আমিঃছাড়বো না
    জান্নাতঃআমি কিন্তু চিৎকার করবো
    আমিঃতোমার তরফ থেকে আমি নিজেই করি?
    জান্নাতঃআমি কিন্তু মজা করছি না ছাড়ো 
    আমিঃছাড়ার কথা বললে আরো খারাপ হবে
    জান্নাতঃকি করবে তুমি?
    আমিঃযেটা বুঝতে পারছো সেটাই
    জান্নাতঃআম্মুউউউউ

    আম্মুকে জোড়ে ডাক দিতেই জান্নাতকে ছেড়ে
    দিলাম।মনটা চাইছে পানিতে চুবাইতে,আমাদের
    মাঝে আম্মুকে ডাকার কি আছে,,,,
    আম্মুঃকি হয়েছে(বাইরে থেকে)
    জান্নাতঃতোমার ছে...(মুখ চেপে ধরলাম)
    আমিঃকিছুনা আম্মু,তেলাপোকা দেখে ভয় পেয়েছে
    আম্মুঃতুই সেটা ফেলে দে
    আমিঃঠিক আছে,ঐ পাগলি আম্মুকে ডাকার
    কি আছে শুনি?
    জান্নাতঃতুমি আমাকে জড়িয়ে ধরবে কেনো?
    আমিঃতাহলে কাকে ধরবো
    জান্নাতঃসেটা আমি কি করে বলবো
    আমিঃজান্নাত আই লাভ ইউ
    জান্নাতঃবাট আমি বাসিনা
    আমিঃভাসবিনা মানে,তোকে এতোবার বলছি
    আমি তোকে ভালোবাসি তোর কাছে কি মনে হয়
    আমি পাগল..?(দেয়ালের সাথে চেপে ধরে)
    জান্নাতঃহাতে ব্যথা লাগছে
    আমিঃতোর ব্যথাই পেতে হবে।আমি যেটুকু মনের
    মধ্যে কষ্ট পাচ্ছি সেটুকু তোর পাওয়া দরকার
    জান্নাতঃনিলয় তুমি কিন্তু বেশি করে ফেলছো
    আমিঃআমি বেশি করছি নাকি তুই বেশি করছিস।
    আমি ছাড়া অন্য কে আছে তোকে ভালোবাসবে,
    অনেকে আছে তোর বাপের পাওয়ার দেখে ভয়
    পাই,আবার অনেকে আছে তোকে বুড়ি ভেবে তোর
    সাথে কথা বলেনা।
    জান্নাতঃতোমাকে ভালোবাসতে কে বলছে?
    আমিঃএতো কিছু আমি জানতে চাই না।আমি
    তোকে ভালোবাসি ব্যস।
    জান্নাতঃভেবেছিলাম তুমি অন্য ছেলেদের থেকে
    আলাদা,কিন্তু আমার ধারণা ভুল ছিলো।সব ছেলের
    মতো তুমিও বা....(থেমে গেলো)
    আমিঃবল আমি কি,আমিও বাজে তাই তো।ওকে
    তুই যা,লাগবে না তোকে।আর কখনো তোর সামনে
    ভালোবাসি কথা বলবো না। (হাত ছেড়ে দিয়ে)
    জান্নাতঃআমি তোমাকে বাজে বলতে চাইনি
    আমিঃআমি তোর কাছে জানতে চেয়েছি?
    জান্নাতঃতুমি আমা....
    আমিঃযা আমার সামনে থেকে(ধাক্কা দিয়ে)

    জান্নাত আর কোনো কথা না বলে রুম থেকে বের
    হয়ে গেলো।একটা মেয়েকে আর কতোবার 
    ভালোবাসি বলবো,আমাকে যদি ভালোই না ভাসিস
    তাহলে কেনো বার বার তোর মায়াই পড়ার জন্য
    আমার কাছে আসিস,কেনোই বা আমাকে
    ভালোবাসি বলতে বাধ্য করিস...অনেক হয়েছে
    আর না,যাবো না ওর সামনে।বলবো না ভালোবাসি
    তোমাকে।দরজা বন্ধ করে রুম থেকেই আম্মুকে
    বললাম,রাতে আর খাবো না তাই প্লিজ আমাকে
    খাওয়ার জন্য ডেকোনা।
    ড্রয়ার থেকে একটা সিগারেট বের করে খেতে
    লাগলাম।সচরাচর এটা খাওয়া হয়না।যখন খুব
    মন খারাপ থাকে তখনি খাই।আজ সিগারেট
    খেতেও ভালো লাগছে না।ফেলে দিয়ে ঘুমানোর
    চেষ্টা করলাম কিন্তু বার বার ঘুমাতে ব্যর্থ হলাম।
    রাত প্রায় ১২টা বাজে তবুও ঘুম আসছে না।বাধ্য
    হয়ে বাইরে থেকে এক গ্লাস পানি এনে ঘুমের
    ঔষধ খেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।কখন
    যে ঘুমিয়ে গেছি বুঝতেই পারিনি।
    ------------------------------------------------
    জান্নাতের কথা,,,,
    নিলয়ের ধাক্কা খেয়ে বাধ্য হয়ে রুম থেকে বের
    হতে হলো।
    আম্মুঃকিরে মা,এভাবে মাথা নিচু করে আছিস যে
    জান্নাতঃতেমন কিছু না, এমনি।
    আম্মুঃআয় আমার কাছে।
    জান্নাতঃহুম(আম্মুর পাশে বসল)
    আম্মুঃকি হয়েছে আমাকে বলবি না?
    জান্নাতঃসময় হলে সব বলবো আম্মু
    আম্মুঃএখন বললে কি স..(থেমে গেলো)
    নিলয়ঃআম্মু রাতে আর খাবো না তাই প্লিজ 
    আমাকে খাওয়ার জন্য ডেকোনা।(ভিতর থেকে)
    আম্মুঃএই পাগলটার আবার কি হলো আল্লাহ জানে
    জান্নাতঃআম্মু আমি বাসায় যাচ্ছি
    আম্মুঃরাতের খাবার খেয়ে যা
    জান্নাতঃনা ঠিক আছে।এখন আসছি বাই
    আম্মুঃঠিক আছে
    জান্নাতঃহুম
    নিলয়দের বাসা থেকে বের হয়ে নিজের বাসায়
    চলে আসলো।
    সব দোষ আমার।কেনো যে এসব বলতে গেলাম।
    শুধু যে নিলয় আমাকে ভালোবাসে সেটা তো না,
    আমিও ওকে ভালোবাসি তাহলে এমন কথা আমি
    কেনো বললাম।ওকে বুঝিয়ে বললেও হতো,ও
    নিশ্চয় আমার কথা বুঝতে পারতো। এখন আমার
    জন্য খাবার খাবে না।নিলয় না খেলে আমি
    খেয়ে কি করবো,আমিও খাবো না।আগামীকাল
    কলেজে যাওয়ার পথেই ওকে সরি বলে এসব
    শেষ করে নতুন করে শুরু করবো।
    বিছানার উপর শুয়ে এসব ভাবতে ভাবতে কখন
    যে জান্নাত ঘুমিয়ে গেছে টেরই পায়নি।
    -----------------------------------------------------
    পরেরদিন,,,,,,,
    ঘুম থেকে উঠতেই নিজেকে অনেক দুর্বল লাগছে।
    হয়তো ঘুমের ঔষধ খাওয়ার জন্য এমন হচ্ছে।
    ফোন হাতে নিয়ে দেখলাম সকাল ১০টা বেজে 
    গেছে।আজ আর কলেজে যাওয়া হবে না।আরো
    কিছু সময় ঘুমানোর পর ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে
    গেলাম।ফ্রেস হয়ে আম্মুকে খাবার দেয়ার জন্য
    বলতেই খাবার বেড়ে দিলো,,,,
    আমিঃআব্বু আর নিলু কোথায়?
    আম্মুঃপ্রতিদিন যেখানে যায় সেখানেই
    আমিঃওহ
    আম্মুঃজান্নাত আসছিলো
    আমিঃকখন?
    আম্মুঃ৯টার সময়
    আমিঃওহহ
    আম্মুঃতোদের ঝগড়া হয়েছে?
    আমিঃঝগড়া হবে কেনো,এমনি টুকটাক মজা
    করতাম।কিন্তু গতকাল জান্নাত বললো এসব
    নাকি তার ভালো লাগে না।তাই আমিও আর
    ওর সাথে মজা করছি না।
    আম্মুঃকিন্তু জান্নাতকে দেখে অন্য কিছু মনে হচ্ছিলো
    আমিঃকাকে কেমন লাগে সেটা আমি কি করে 
    বলবো বলো তো আজব...!
    আম্মুঃকি লুকাচ্ছিস সত্যি করে বল
    আমিঃআমার খাওয়া শেষ।

    আম্মুকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে
    ফোন নিয়ে ছাদে চলে আসলাম।ভালো লাগছিলো
    না তাই বৃষ্টিকে কল দিলাম,,
    আমিঃকেমন আছিস?
    বৃষ্টিঃএইতো ভালো,তুই কেমন আছিস?
    আমিঃআছি আমিও ভালো।
    বৃষ্টিঃবাসার সবাই কেমন আছে?
    আমিঃসবাই ভালো,তোদের কি খবর?
    বৃষ্টিঃসবাই ভালো তবে নানু একটু অসুস্থ
    আমিঃমেডিসিন দিস নাই
    বৃষ্টিঃহুম খাচ্ছে
    আমিঃইনশাল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে
    বৃষ্টির সাথে আরো কিছু সময় কথা বলে কলেজ
    ছুটি হওয়ার সময় নিচে চলে আসলাম।কারণ,যখন
    তখন জান্নাত ছাদে চলে আসতে পারে।ছাদ থেকে
    নেমে বাসায় এসে দুপুরের খাওয়া শেষ করে
    রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলাম।।

    চলবে..................

    কোন মন্তব্য নেই:

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Fashion

    Beauty

    Travel