ভালোবাসায় আকা দুটি মন💟💟
লেখা : রাহাত........
( দ্বিতীয় পর্ব)
লেখা : রাহাত........
( দ্বিতীয় পর্ব)
বাবার ফোনে বাস্তবে ফিরলাম ,,
-হ্যালো বাবা ?
- হ্যাঁ , তোর মাকে ফোনে পাচ্ছিনা
- মা অথির বিয়া তে গেছে ।
- তুই যাস নি ।
- যাচ্ছি বাবা । রাখি এখন । এইতো এসে গেছি ।
- ওখে কোনো সমস্যা হলে ফোন দিস ।
-হ্যালো বাবা ?
- হ্যাঁ , তোর মাকে ফোনে পাচ্ছিনা
- মা অথির বিয়া তে গেছে ।
- তুই যাস নি ।
- যাচ্ছি বাবা । রাখি এখন । এইতো এসে গেছি ।
- ওখে কোনো সমস্যা হলে ফোন দিস ।
বলেই ফোন কেটে দিয়ে নেমে পরলাম।
-এই মামা ইলি পুর যাবা ?
-50 টাকা লাগবে ।
-ঠিক আছে চলুন ।
-এই মামা ইলি পুর যাবা ?
-50 টাকা লাগবে ।
-ঠিক আছে চলুন ।
মনটা খুব খারাপ তাছাড়া অথি অন্য কারু হওয়ার আগেই আমাকে যেতে হবে । কিন্তু এখন তো 3 টা বাজে । বিয়া তো আবার হয়ে গেলো না তো ।
নানা চিন্তার মধ্যে প্রায় দশমিনিট কাটলো । তার পর এসে হাজির হয়লাম , আমার গন্তব্যই । কিন্তু
বর পক্ষ কাউকে দেখছিনা ।
বর পক্ষ কাউকে দেখছিনা ।
বাড়িটা খুব সুন্দর করে সাজানো হয়ছে । সামনে যেতেই মা আমাকে দেখে ফেললো , আর দৌড়ে কাছে এসে বললো ,,,
- আসলি যেখন ভালো করছিস?
- কেনো মা , কি হয়ছে ?
- অথি কে নাকি বিয়া করবে না । বর পক্ষ ।
- বলো কি ।
- আসলি যেখন ভালো করছিস?
- কেনো মা , কি হয়ছে ?
- অথি কে নাকি বিয়া করবে না । বর পক্ষ ।
- বলো কি ।
শুনে কেমন জানি হতে লাগলো ।মা বলে ওঠলো ,,
- একটা কথা শুনবি বাবা ?
- হ্যাঁ বলো ।
- বিয়া করবি অথি কে । তাছাড়া মেয়ের জীবন টা নষ্ট হয়ে যাবে ।
- একটা কথা শুনবি বাবা ?
- হ্যাঁ বলো ।
- বিয়া করবি অথি কে । তাছাড়া মেয়ের জীবন টা নষ্ট হয়ে যাবে ।
আমি তো শুনে মহাখুশি । মনে হচ্ছে নবাব সিরাজ হয়ে পলাশীর ময়দান জয় করে ফেললাম।
- কি হলো করবি না । মেয়ে টা খুব ভালো । তোর সাথে খুব সুন্দর মানাবে ।
- ঠিক আছে মা , অথি যদি রাজি থাকে তাহলে আমিও রাজি ।
- কি হলো করবি না । মেয়ে টা খুব ভালো । তোর সাথে খুব সুন্দর মানাবে ।
- ঠিক আছে মা , অথি যদি রাজি থাকে তাহলে আমিও রাজি ।
মা আমার হাত টা ধরে নিয়ে কাজী সাহেব এর সামনে দাঁড় করাইলেন । আর জুরে গলায় বললেন আমি অথির সাথে আমার ছেলের বিয়া দিতে চাই ।
এই কথা বলার সাথে সাথেই অথি এক দৌড়ে চলে আসে আমার কাছে।
আর আমার হাত টা ধরে একটা ঘরে নিয়ে যায় টানতে টানতে ।সবাই দেখছিল, ঘরে ঢোকার সাথেই দরজা লাগিয়ে দেয় ।আর সাথে সাথেই
-ঠাসস,,
- মারছিস কেন (গালে হাত দিয়ে )
- তুমি কি পাগলা হয়ছো ?
- হুম। আমি পাগলা হয়ছি । কারণ জানিস, আমি তোকে এই রকম ভাবে দেখতে চাইনা । আমি দেখতে চাই আমার বউ হিসাবে ।
- অসম্ভব
- কেনো ?
- আমি কাউকে ঠোকাতে চাইনা !(কাদতে কাদতে)
- কি বলছিস এই সব ।কিসের ঠোকাতে চাস না ? ঠিক আছে আমি ঠোকতেই চায় । তোকে বিয়া করে । তুই কি বলতে চাইছিস আমাক ভালো বাসিস না ?
-হ্যাঁ আমি তোমাকে ভালো বাসি । কিন্তু বিয়া করতে পারবো না ।
-ভালো যেখন বাসিস আর দেরি না ।
-ঠাসস,,
- মারছিস কেন (গালে হাত দিয়ে )
- তুমি কি পাগলা হয়ছো ?
- হুম। আমি পাগলা হয়ছি । কারণ জানিস, আমি তোকে এই রকম ভাবে দেখতে চাইনা । আমি দেখতে চাই আমার বউ হিসাবে ।
- অসম্ভব
- কেনো ?
- আমি কাউকে ঠোকাতে চাইনা !(কাদতে কাদতে)
- কি বলছিস এই সব ।কিসের ঠোকাতে চাস না ? ঠিক আছে আমি ঠোকতেই চায় । তোকে বিয়া করে । তুই কি বলতে চাইছিস আমাক ভালো বাসিস না ?
-হ্যাঁ আমি তোমাকে ভালো বাসি । কিন্তু বিয়া করতে পারবো না ।
-ভালো যেখন বাসিস আর দেরি না ।
বলেই আদনান অথির হাত ধরে বাহিরে আনে বিয়া করার জন্য ।
অথি বার বার বলছে pls পাগলামি করো না । কিন্তু কে শুনে কার কথা । এক সময় অথি খুব জুরে শব্দ করে বলে ওঠে
---হ্যাঁ আমি ধর্ষিতা নারী !
অথি বার বার বলছে pls পাগলামি করো না । কিন্তু কে শুনে কার কথা । এক সময় অথি খুব জুরে শব্দ করে বলে ওঠে
---হ্যাঁ আমি ধর্ষিতা নারী !
কথাটি বলার পরক্ষণেই চার পাশ এক দোম চুপ হয়ে গেলো । আদনান এর পা আটকে গেলো ।
ফিরে তাকিয়ে দেখে করুন ভাবে কাদছে অথি ।তার আজ বুঝতে আর বাকি থাকে না । আজ থেকে দু বছর আগে অথির সাথে কি হয়ছিল । সে বুঝতে পারে অথি কেনো থাকে ফিরে দিয়ে ছিল ।
। চার পাশের মানুষ সবাই ছি ছি করতে লাগলো ।
একেক জন একেক কথা বলতিছে । এই সব কথা শুনে আদনান এর খুব খারাপ লাগে। অথির হাত টা ছেড়ে দিতে গিয়ে আদনান বুঝতে পারলো তার সেই মুখটি কিছু একটা বলতে চাইছে ।
কিন্তু আদনান সময় দেয় না আর । চলে আসে স্টেশন এ । এসে টিকেট কাটে । কিন্তু ট্রেন আসতে এখোনো অনেক দেরি ।
বসে আছে আর ভাবছে । কি হলো তার সাথে এটা । সে ভাবছে অথি খুব খারাপ। কিন্তু তার মাথায় একটা কথা এসে যায় ,
যে অনেক ধর্ষণের শিকার এমন মানুষ সংসার করছে । তাছাড়া অথি যদি না বলতো এই কথা তাহলে তো অথিকে তো সে বিয়ায় করতো । অথি তো তার থেকে কথাটা গোপন করতে পারতো কিন্তু তা সে করে নি। কারণ তো সে আমাকে ঠোকাতে চাইনি । তাছাড়া অথি আমাকে ভালো বাসে বলে ।
যে অনেক ধর্ষণের শিকার এমন মানুষ সংসার করছে । তাছাড়া অথি যদি না বলতো এই কথা তাহলে তো অথিকে তো সে বিয়ায় করতো । অথি তো তার থেকে কথাটা গোপন করতে পারতো কিন্তু তা সে করে নি। কারণ তো সে আমাকে ঠোকাতে চাইনি । তাছাড়া অথি আমাকে ভালো বাসে বলে ।
আদনান ভালো করেই বুঝতে পারছে সে খুব বড় ভুল করছে ।
সাথে সাথেই ফোন বের করে ফোন দেই আদনান এর বাবা কে ,,,
-বাবা ?
-হ্যাঁ কি হয়ছে ।
- আচ্ছা আমি যদি কোনো ধর্ষিতা মেয়ে কে বিয়া করি । তাহলে কি তোমাদের খুব সন্মান নষ্ট হবে ?
-কি বলছিস আদনান এইসব ?
- ঠিকি বলছি ।
- তুই যাকে নিয়ে সুখি থাকবি তাকেই বিয়া কর । আমাদের সন্মান ভাবতে হবে না । আমরা চাই তুই খুশি থাক
-হ্যাঁ কি হয়ছে ।
- আচ্ছা আমি যদি কোনো ধর্ষিতা মেয়ে কে বিয়া করি । তাহলে কি তোমাদের খুব সন্মান নষ্ট হবে ?
-কি বলছিস আদনান এইসব ?
- ঠিকি বলছি ।
- তুই যাকে নিয়ে সুখি থাকবি তাকেই বিয়া কর । আমাদের সন্মান ভাবতে হবে না । আমরা চাই তুই খুশি থাক
কথা টা শুনার পর ফোন কেটে দিয়ে আদনান দৌড়াতে থাকে তার ভালোবাসার কাছে । বাড়ির সামনে আসতেই দেখে আদনান মানুষ দিয়ে চার পাশ ভরা।
মানুষ এর মধ্যে দিয়ে সামনে একটু যেতেই শুনতেই পায় কান্না ।
তাহলে আমি যা ভাবছি তাই। না তা কেনো হবে আমার অথি আমাকে ছেড়ে কোথাও যেতে পারে না ।
এই সব ভাবতে ভাবতে একটু সামনে যেতেই দেখতে পাই চাদোরে ডাকা একটি মানুষ । যার চার পাশে কাদছে সবাই । আর জলছে চার দিকে আগোর বাতি।
আদনান দেরি না করে এক দৌড়ে কাছে গিয়ে জরিয়ে নেয় বুকে । আর কাদতে কাদতে বলে,,
এই পাগলি ওঠ । তোর কিছু হয়নি ওঠ । দেখ আমি এসেছি । তোকে নিতে ।
এই অথি ওঠ না ।তুই তোর নীল শাড়ি টা পরবি না ? এই তুই না পরতে চাইছিলি । আর আমি তোর বাবার সেই ঢি ঢাল শার্ট । পড়ে দু জন এক সাথে হাতে হাত রেখে ঘরবো ।বল ঘুরবি না , pls চোখ টা খুল ।
কিন্তু ওঠে না । ডুকরে ডুকরে কাদতে থাকে । আদনান জানে আর কখনোই ওঠবে না অথি । কিন্তু তার মন মানে না ।
তার এই সব কাহিনী দেখে আসে পাশের সব মানুষই কাদতে থাকে ।
এক সময় সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে । আর যখন জ্ঞান ফিরে তখন নিজেকে আবিষ্কার করে একটি হাসপাতালে ।
এমন সময় আদনান এর মা তাকে একটা চিঠি দিয়ে বলে অথি নাকি তাকে দিতে বলছিল । কি এমন আছে ।
তরি ধরি করে চিটি টা খুলে । আর চিঠিতে লেখা ছিল যা । তা পড়ে আদনান এর চোখ দিয়ে ঝুর ঝুর করে পানি পরতে থাকে । আদনান তার মাকে জরিয়ে ধরে কাদতে থাকে ।
আদনান তার মা কে বলে বিয়া করবে না কখনোই আর । এই রকম কিছু শক্ত প্রতিজ্ঞা করে । কিন্তু ,,,
আজ থেকে পাচ বছর পর ,,,,,,
(জানতে হলে অপেক্ষা করুন আর হ্যাঁ মন্তব্য জানাতে নিশ্চয়ই ভুলবেন না )
!!পোস্ট টা একবার দেওয়া হয়ছিল কিন্তু কেটে হঠাত্ কে যেনো কেটে দিয়ে ছিল তাই আবার দেওয়া হচ্ছে ।
নতুন নতুন ভালোবাসার গল্প,বাসর রাতের গল্প ও নতুন নতুন জোকস পেতে ভিজিট করতে পারেন আমার সাইটে
উত্তরমুছুনwww.valobasargolpo2.xyz,
বাংলা মজার জোকস,
বাংলা কৌতুক,
হাসির কৌতুক,
bangla jokes,
bangali jokes, mojar jokes,
bangla funny koutuk,
hasir koutuk,
bangla koutuk,
ভালবাসার গল্প,
valobasar Golpo,
Sad Golpo,
মন করার গল্প,
bangla hasir koutuk doctor jokes