• Breaking News

    বুধবার, ৩০ মে, ২০১৮

    বস_যখন_বর ____পার্ট____১


    লেখক:
    একটা বন্ধু ............
    আমি আনহা । পড়া শুনা এখনো শেষ হয় নি । তবুও শখ করে একটা কম্পানি তে জব নিলাম । শুধু হাতখরচের জন্য ।
    .
    মেয়ে বলতে আমি ফাজিলের ডিব্বা আবার আবেগের দিক দিয়েও আমি ১ নাম্বার খালি কেঁদে ফেলি সহজে । 
    .
    তাই বান্ধবীরা আমাকে পাগলি বলার পাশাপাশি একটু আবেগী মাইয়াও বলে । ব্যাপার না । এমা আপনাদের এতো বলছি কেন । আপনারা যদি আমাকে পাগলি বলে ফেলেন । হিহি
    .
    সকাল বেলা আজ অফিস এর প্রথম দিন । 
    .
    সকালে 
    মা : শখ করে তো নিলি পারবি তো ?
    আমি : আরে মা ব্যাপার না তো
    মা : আচ্ছা যা
    আমি : ওকে আমার সেন্টি রাগি মা টাটা
    .
    স্কুটি নিয়ে দিলাম দৌড় ।
    .
    এমা রাস্তায় আঙ্কেল টার হইছে কি ?
    .
    এখন কি করবো জিজ্ঞেস করবো কি হইছে ? যদি দেরি হয়ে যায় চাকরি তো যাবে । দুরর মানবতা আগে ।
    .
    আমি : আঙ্কেল আপনার শরীর কি খারাপ রাস্তায় এভাবে দাড়িয়ে যে‌ । কোনো কি সমস্যা ?
    আঙ্কেল : আসলে ছিনতাইকারী গাড়ি , টাকা নিয়ে গেছে আর আমার গরমে থাকার অভ্যাস নাই । তাই শরীর টা খারাপ লাগছে
    .
    আমি ভাবতেছি কি করুম এভাবে রেখে গেলে তো নিজেকে মুখ দেখাতে পারবো না । দুর চাকরি গেলে যাবে । উনাকে সাহায্য করি আগে ।
    .
    আমি : আসুন আমি পৌছে দিচ্ছি আপনাকে
    আঙ্কেল : কিন্তু মা তোমার তো মনে হয় কাজ আছে 
    আমি : ব্যাপার না চলুন
    আঙ্কেল : ধন্যবাদ আজকাল এমন হয় না রে মা
    আমি : কোনদিকে আপনার বাড়ি ?
    আঙ্কেল : আমাকে অফিসে পৌছে দাও তাতেই হবে ।
    আমি : কোনদিকে ?
    আঙ্কেল : ওইতো আদ্র গ্রুপ এন্ড কম্পানি 
    আমি : আপনি কি ওখানে জব করেন জানেন আমারো আজ ওখানেই জব হয়েছে কিন্তু মনে হয় হবে না জব টা কারণ আমি লেট হয়ে গেছি‌
    আঙ্কেল : আমি ওখানকার মালিক মা 
    আমি : কিইইইইই স্যার আপনি আমার
    আঙ্কেল : তুমি আমাকে আঙ্কেল ই বলিও আর চাকরি যাবে না
    আমি : ধন্যবাদ আঙ্কেল
    .
    অফিসে কাজের জীবন শুরু । আঙ্কেল আমাকে খুব ভালোবাসতেন ।
    .
    অফিস বাড়ি থেকে দুর হয়ে যায় ভেবে আমি আম্মু আর আব্বু সহ ভাড়া বাসা খুঁজছিলাম । আঙ্কেল যখন জানতে পারে তখন তার বাড়িতে উঠতে বলে । তখন আমি রাজী হই না কারণ তা দয়া টাইপ লাগতো ।‌
    .
    তখন আঙ্কেলদের পাশের ওদিক একটা বাসা নিলাম আমরা । হয়ে গেলাম প্রতিবেশী ।‌ আঙ্কেলের ভালোবাসার পরিমাণ বেড়ে গেল । আঙ্কেলের বউ মারা গিয়েছে । আপন বলতে এক ছেলে যে বিদেশে থাকে । 
    .
    .
    কিছু মাস পর এতোদিনে অফিসের সবাই অনেক আপন হয়ে গিয়েছে । আজ আঙ্কেলের ছেলে আসবে ।‌
    .
    আঙ্কেলের বাড়িতে গিয়ে গাছগুলোয় পানি দিচ্ছিলাম আর 
    গান শুনছিলাম ইয়ারফোন লাগিয়ে কার সাথে জানি ধাক্কা । 
    .
    আমি : কে রে ধাক্কা দিল?
    সে : হোয়াট 
    আমি : হোয়াট পরে এইটা কি করলেন আমাকে কাদা কাদা করে দিছেন
    সে রেগে : আপনি জানেন আমি কে
    আমি : এমা এটা কি আঙ্কেলের ছেলে নাকি ? 
    ভুলেই গেছিলাম
    সে : আমি এই বাড়ির মালিকের ছেলে
    আমি : খাইছেরে সরি 🙈🙈
    সে : হুহ যত্তসব 
    আমি : এএএএএএ 
    সে : কে আপনি
    আমি : পাশের বাড়ি + আপনাদের কোম্পানি তে জব করি
    সে : হুহ তো এখানে কি
    আমি : আঙ্কেলকে বলে এখানে বেশ কিছু গাছ লাগিয়েছি তাই নিজেই ফুলগাছ গুলোর যত্ন নেই আর এতো রাগেন কেন আপনি রাগ কইরেন না কিটক্যাট দিব‌
    ( এমা কি বলতেছি )
    সে : আব্বু আব্বু
    আমি : সরি আমি একটু বেশি বকবক করি
    সে : হুহ
    আমি : এতো রাগেন কেন পিচ্চির উপর
    সে : কে পিচ্চি
    আমি : এখানে আর কে আছে আমি ছাড়া 
    সে : ভালো
    .
    পরিচিত হলাম । খাটাস একটা কেমন রাগি আঙ্কেলের ছেলে মনেই হয় না ।
    .
    রাতে 
    আম্মু : মা
    আমি : কিচ্চে 
    আম্মু : তোর আঙ্কেল কে এগুলো দিয়ে‌ আয় তিনি অনেক সাহায্য করেছেন ।
    আমি : আচ্ছা 
    .
    তারা খেতে বসেছিল 
    আমি : আঙ্কেল দেখেন কু এনেছি
    ও নামটা বলতে ভুলে গেছি তার নাম আদ্র
    আদ্র : আবার ওই‌ মেয়ে
    আঙ্কেল : কি মা
    আমি : আম্মু দিছে
    এই‌ নিন আমি যাই 
    .
    আঙ্কেল : খেয়ে যা 
    .
    আমি : না থাক অন্যদিন বলে আসলাম
    .
    আর আদ্র ভাবছে এই মেয়ে আমার আব্বু কে পটিয়ে রেখেছে এর উপর তো রাগ উঠতেছে
    .
    চলবে......

    1 টি মন্তব্য:

    Fashion

    Beauty

    Travel