• Breaking News

    বুধবার, ৩০ মে, ২০১৮

    #রহস্যময়ী_ছেলে




    কিছু জিনিস রহস্যে ঘেরাই থাকে
    .
    কলেজে বসে ছিলাম এমন সময় এক পিচ্চি এক চিরকুট নিয়ে এলো
    চিরকুটে লেখা‌ ছিল " কাল নীল ড্রেসে যখন ছাদে বসে ছিলে তখন খুব সুন্দর লাগছিল তোমাকে 
    রহস্যময়ী ছেলে "
    .
    এভাবেই আরও অনেক চিঠি পাচ্ছি আমি কয়েকদিন ধরেই কে দেয় বুঝি না । কেন জানি মনে হয় কয়েকদিন ধরে কেউ আমাকে দেখছে । কিন্তু কাউকেই খুঁজে পাই না । আজকাল‌ তো রাতেও ভয় লাগে । 
    আম্মু আম্রে কেউ বাঁচাও ।
    বাপরে বাপ ভয় লাগতেছে আম্মু আম্মু করে চিল্লাতে চিল্লাতে দৌড় দিছি ।
    .
    কি করবো কন তো লেখিকা ভুত ভয় পায় । 
    পরের দিন গেটের বাইরে বের হতেই আবার চিরকুট । কি যে লেখা আছে ভাবতে ভাবতে উঠালাম কিন্তু যা লিখা ছিল তা দেখে থ আমি
    "কি পিচ্চি ভুতের ভয় পাইছিলা নাকি কাল রাত্রে চিল্লায় আম্মু আম্মু করছিলা যে
    রহস্যময়ী ছেলে"
    হায় আল্লাহ কে এইডা ভুত নাকি
    .
    বাপরে যাই হোক আমার বেস্টু রে বলা লাগবে ।
    .
    আমি হলাম আনহা ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি আর আমার বেস্টু মিমি
    .
    আমি : ওই মিমি জানিস আমার পিছে ভুত লাগছে ।
    মিমি : কেমনে কি ?
    আমি বললাম ওকে সব কিছু
    মিমি সব শুনে বলল 
    আনহা ভুত
    আমি ভয় এ : কইইইইইইইই
    মিমি : হিহি ফাজলামি করলাম
    আমি : কুত্তি দাড়া তোরে মজা দেখাচ্ছি
    .
    বলেই দৌড় ওর পিছনে 
    .
    এরকমই বেস্টু আমরা । এমন সময় একটা কাগজের এরোপ্লেন আমার গায়ে পড়লো তুলে দেখি আবার চিরকুট আম্মু ভুততততত আবার আসছে । 
    "পিচ্চি দৌড়াচ্ছ যে তোমার চুল তো খুলেই গেছে এই খোলা চুল এ তোমাকে আরও দারুণ লাগতেছে । এই এতো সুন্দর কেন তুমি এভাবে বারবার তোমার প্রেমে পড়লে তো আমি শেষ আর পিচ্চি তোমার আমাকে দেওয়া ভুত নাম শুনে তো আমি হাসতে হাসতেই শেষ 
    রহস্যময়ী ছেলে"
    .
    এবার বল তো কে এইডা ভয় লাগতেছে ।
    মিমি : জানি না বাট মে বি তোকে ভালোবাসে কিউট তো রে 
    আমি : আম্মু ভুত যদি আমাকে মারে ফেলে তাইলে আমি ভুত হয়ে আগে তোকে মারবো কুত্তি
    মিমি : ভালোই হবে
    আমি : হুম একসাথে তেতুল গাছে গল্প করবো হিহি 
    মিমি : হিহি মজা হবে
    আমি : উরিম্মা সামনে মি. সিঙ্গার পালা 
    মিমি : কিডা
    আমি : ওই যে নীলাদ্র ভাইয়া যার গান ভাল্লাগে আমার
    মিমি : তাইলে ভয়ে দৌড়াস কেন 
    আমি : আসলে ভয় লাগে কেন জানি
    .
    যেই দৌড় দিতে যাব সাথেই কে যেন ডাক দিল 
    => এই যে মিস আনহা 
    আমি : কে ডাকলো
    নীলাদ্র : আমি
    আমি : আমার নাম কেমনে জানলেন‌ ( ভয় লাগতে ছিল )
    নীলাদ্র : আমাকে দেখলে একজন ই ভয় এ পালায় তাই তার খোঁজ নেওয়া কোনো ব্যাপার
    আমি : জি 
    নীলাদ্র : তো পালাও কেন আমাকে দেখলে 
    আমি : আপনার গান খুব ভালো লাগে কিন্তু কেন জানি আপনাকে আমার ভয় লাগে । এখনো ভয় লাগতেছে আমি পালালাম
    .
    হিহি ঠিক ঠিক পালায় গেছি। ক্যান্টিন এ ছিলাম আবার চিরকুট বাহহ
    " কিউট পিচ্চি তোমার খোলা চুল আর পিচ্চি টাইপ বিহেভ বারবার তোমার প্রেমে পড়তে বাধ্য করে আমাকে 
    রহস্যময়ী ছেলে "
    .
    বাব্বাহ কিউট আছে । এমা আমি কি বলতেছি এইডা তো ভুত । 
    .
    বাড়ি ফিরতেছিলাম দেখি আমার বাড়ির পাশে মি. সিঙ্গার । এমা গান গাচ্ছে কিউট শুনেই যাবো । লুকায় শুনতেছি । বাহ্ কিউট ।
    এমা সিঙ্গার এদিক আসতেছে 
    যেই দৌড় দিব কে জানি হাত ধরছে 
    আমি : ইইইইইই সরি আর গান শুনবো না সরি আমাকে মাফ করেন আমি ভাগি প্লিজ 
    নীলাদ্র : এই পিচ্চি এতো পালাও কেন আর ভয় পাও কেন আমি কি তোমাকে খেয়ে ফেলবো
    আমি : না মানে এমনি ভয় লাগে
    নীলাদ্র : তা আর ভয় পেও না 
    আমি : চেষ্টা করবো আপনি এদিক কেমনে
    নীলাদ্র : কখনো মনে হয় লক্ষ করো নি আমি তোমার প্রতিবেশী
    আমি : হিহি বাইরে কম যাই তাই 
    নীলাদ্র : জানি 
    আমি : কেমনে 
    নীলাদ্র : না মানে তোমার পাশে থাকি তাই
    আমি : ও আমি ভাগলাম আবার ভয় লাগে 
    নীলাদ্র : হাহা 
    .
    বিকেলে ছাদে বসে ছিলাম আর গান গাইতেছিলাম এই তো আমারো একটু গানের শখ । 
    .
    ওমা ছাদের ওদিক গিয়ে দেখি চিরকুট 
    " পিচ্চি ভালোই তো গান করো যাক আমার বউ গান পারে । ভয় পাওয়া ছাড়াও আর সন্ধা হচ্ছে ভিতরে যাও নইলে সত্তি ভুত ধরবে হাহা 
    রহস্যময়ী ছেলে "
    .
    এমা ঠিক ই তো বলছে ভাগলাম আমি ।
    .
    এমনেই ওই রহস্যময়ী প্রতিদিন চিরকুট দেয় । কখনো কখনো বেশি ই দেয় কিন্তু কে এ এখনো প্রশ্ন ।
    এভাবেই আরও দুটো বছর
    এ দু বছরও‌ চিরকুট ওয়ালা আমাকে চিরকুট দিছে । কিন্তু আমি এখনো জানলাম না কে এই রহস্যময়ী । কোনো চিহ্ন রাখে না । খোঁজ নিলেও পাই না । কোনোদিন কি জানতেও পারবো না কে এই রহস্যময়ী ।
    বিকেলে ছাদে বসে এসব ভাবছিলাম এ সময় আম্মু এসে যা বলল শুনে থ ।
    .
    নীলাদ্র ভাইয়া এখন বড় কম্পানি তে জব করেন । উনার সাথে নাকি আমার বিয়ে ঠিক আর ১০ দিন পর নাকি বিয়ে ।
    .
    আমি : কি বলছ এসব ?
    আম্মু : ভালো ছেলে আমরাও চিনি তাই সবাই রাজি তুই ও রাজি হ 
    আমি কিছু বললাম না 
    .
    বিয়ের সব কিছু ভালো ভাবেই হলো । আমি ভেবেছিলাম এ কয়দিন হয়তো আবার চিরকুট আসবে । হয় তো আমার সামনে আসবে কিন্তু এলো না । 
    একদিন বিকেলে আমি ছাদে একটি চিরকুট রেখেছিলাম যে আমার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে পারলে সামনে এসো "
    কিন্তু জবাব পাই নি কিন্তু চিরকুট টা কে জেন নিয়েছিল ।
    বিয়ে হয়ে গেল 
    .
    বাসরে 
    নীলাদ্র ভাইয়া থুক্কু এখন তো আমার বর আসলো ।
    নীলাদ্র : কি পিচ্চি পালাবা না
    আমি : পালানো যাবে কি পালালে ভালো হয়
    নীলাদ্র : এই না এবার তো আর পালাতে দিব না তোমাকে
    আমি : জি
    .
    চুপচাপ বসে ভাবতেছিলাম । দেখলাম নীলাদ্র একটা কাগজ আমাকে দিল 
    " তোমার বাড়ির পাশে থাকা যেদিন থেকে শুরু করলাম সেদিন প্রথম যখন তোমাকে দেখি ভালো লেগে যায় । তুমি কলেজে লুকিয়ে আমার গান শুনতে জানতাম । কিন্তু আমি সামনে গেলেই ভয়ে পালাতে । এরপর থেকে তোমাকে ফলো করি । তোমার পিচ্চি বিহেব গুলো আরও বেশি ভালো লাগতো । বাড়ির পাশে থাকতে বলে সবসময় আমিও লুকিয়ে তোমাকে দেখতাম । তুমি আমাকে ভয় পেতে বলে আমিই তোমাকে চিরকুট দিতাম । আমিই সে রহস্যময়ী ছেলে ।
    কি ভাবছো দশদিন চিরকুট দেই নি কেন । আমারি তো বউ হচ্ছ । একটু সবুর করলাম তাই হিহি পিচ্চি বউ চিঠি টা পড়া হয়েছে তো এখন আমার চোখের দিকে তাকাও "
    আমি আবারো থ 
    আমি : তাইলে ভুত না আপনি আই‌ মিন রহস্যময়ী
    নীলাদ্র : আরে না গো 
    আমি : বাঁচলাম এবার পালাই আমি
    যেই দৌড় দিব 
    ও আমাকে জড়িয়ে ধরলো
    বাহ আর ভয় লাগতেছে না কেন
    ...
    এরপর শুরু হয় এক নতুন গল্প
    .
    .
    ( পুরোটাই আমার কল্পনা করা । এখনো আমি পিচ্চি তাই হয়তো ভালো হয় নি গল্প সরি )

    1 টি মন্তব্য:

    Fashion

    Beauty

    Travel