• Breaking News

    বুধবার, ৩০ মে, ২০১৮

    #আজব_প্রেম


    আজ আনহার ভার্সিটি লাইফ এর প্রথম দিন হিহি
    মেয়েটা ফাজিল এর রাজকন্যা বাপরে এই উপাধি টা
    আগেই পেয়ে গেছে ও কিন্তু মেয়েটা যতই
    ফাজিল হোক আবেগি খুব
    এই তো সেদিন ই কে জানি বকেছিল কেঁদে
    কেঁদে মুখ লাল করে ফেলেছিল ওর কান্না
    দেখে আর কেউ বকটেও পারে না
    আবার আনহা আবার একটু ভয় ও পায় নিউ কিছু কিন্তু
    পরিচিত হলে ওর চেয়ে ফাজিল আর কে হাহাহা
    এতো বদনাম থুক্কু সুনাম যার করলাম সে এখনো
    ঘুমোচ্ছে আর তার মা ডাকতেছে
    মা : এই মেয়েটা মানুষ হবি কবে
    ওমাগো তুই উঠছিস আজ সূর্য কোনদিকে উঠছে
    আনহা : উহু মা আজ প্রথম দিন তাই
    মা : শুন মা ভয় করবি না আর ফাজলামিও না
    আনহা : উকে এখন নাস্তা দাও খেয়ে নেই মিমি
    আসতেছে
    মা : হুম
    নাস্তা শেষে মিমির আগমন
    মিমি : কি রে হলো চল
    আনহা : ডান বেবি
    (ও বলা হল না মিমি আনহার বেস্টু ওরা একে অপরকে
    বেবিই বলে)
    .
    .
    .
    মা : ওই মিমি আমার মেয়েটার খেয়াল রাখিস ও তো
    এখনো পিচ্চিই রয়ে গেল
    মিমি : আচ্ছা আন্টি
    .
    .
    .
    ওরা দুজনে বের হল
    .
    .
    আনহা : ভয় লাগছে
    মিমি : হায় আল্লাহ কেন
    আনহা : উহু আজ যদি বড় ভাই বা আপু বারোটা বাজায় কি
    হবে
    মিমি : ওই আমাকে ভয় দেখাস না
    .
    .
    ভার্সিটি তে প্রবেশ
    .
    .
    এক ছেলে : ওই মে এদিক এসো
    আনহা : ভয় এ লাল ( আনহা ভয় এ আর রাগে আর
    কাঁদলে লাল হয়ে যায় )
    আনহা : আসসালামুআলাইকুম
    নীল : বাহ্ শিখছিস তাহলে
    আনহা : জি ( কান্না বের হতে চলেছে )
    নীল : ওই এতো আস্তে কথা বলিস কেন হা
    আনহা : কেঁদে দিসে
    নীল : হায় আল্লাহ শক্ এতো জলদি কে কাঁদে
    আনহা : আমি কাঁদি ভয় দেখালেন কেন তাইলে
    নীল : এ মেয়ে কি বলে আমার মুখের উপর কথা
    আনহা : আম্মু ভ্যা ভ্যা ভ্যা
    নীল : হাহা বাচ্চা টারে কেউ নিয়া যাও
    আনহা : উহু এক মিনিট
    নীল : কি
    আনহা : কাঁদতে কাঁদতে এই নিন চকোলেট
    নীল : আমি বাচ্চা নাকি
    আনহা : আরে গাধা সরিইইই বুড়া ও না না সরি সরি মি.
    আজব ভাইয়া অনেক মজা খান তো
    .
    নীল এর হাতে ধরিয়ে দিয়ে
    পলালো
    .
    পালালো বলার কারণ দৌড় দিল
    .
    নীল ভবছে আজ প্রথম কাউকে ছেড়ে দিলাম
    হাহা ফাজিল একটা
    .
    নীল এর বন্ধুরা : কি রে এটারে ছাড়লি কেন বাট
    মেয়েটা কিউট হেজাব এমানাইছে
    নীল : হুম আর ফাজিল ও (আস্তে )
    .
    এদিকে ক্লাশ এ আনহা সেই বান্ধবি বন্ধু বানালো
    মেয়েটা প্রথম দিনেই ফাজলামি শুরু করে দিছে
    .
    .
    যাওয়ার সময় আনহা নীল কে দেখে
    .
    নীল সামনে পড়তেই
    আনহা : বাপরে আনহা ভাগ আর দৌড়
    নীল : তো হাসতে হাসতে এ পিচ্চি টা এমন কেন
    .
    .
    হায় আল্লাহ নীল এর পরিচয় ই তো দেওয়া হল না
    .
    .
    নীল হল হাতে একটু হিহি সরি হ্যান্ডসাম ( রাইটার বালিকা
    নিজেও ফাজিল)
    বড়লোকের ছেলে হায় আল্লাহ এরকমই
    নিউদের ভয় দেখায় নীল ও নীলের বন্ধুরা
    কিন্তু এতোদিনে নীল অনেক কম হাসতো কিন্তু
    এই মেয়ের চক্করে ও হাসা শুরু করছে
    .
    বড়িতে আনহা : মাাাা আজ বাঁইচ্চা গেছি ভাগ্গিস
    .
    পরের দিন
    আনহা আবারো ঢুকতেই নীল সামনে
    নীল যদিও দেখে নি
    আনহা দৌড়ে
    আনহা : ও মি. আজব
    নীল রাগে : ওই কে রে
    আনহা : আরে আমি রে
    নীল : তুই আমাকে তুই বল্লি কেন
    আনহা : তুই কই বল্লাম আমি তো রে বল্লাম
    নীল : ওই আমাকে ভয় পাও না
    ( ওমা নীল প্রথম তুমি বলল কাউকে ভার্সিটি তে )
    আনহা : উহু বকেন কেন
    নীল : এটাকে বকা বলে
    আনহা : তো কি বলে অলটাইম বকে উহু কথা নাই
    আর এই নেন
    নীল এটা কি
    আনহা : না কথা বলেই ইশারায় খুলতে বলল
    " আমি না কথা না বলে থাকতে পারি না কথা বলি প্লিজ "
    নীল : হায়রে হুম বল
    আনহা : বাপরে শান্তি
    নীল : হাহা তুমিও আজব
    আনহা : ইইইইই আপনি কম আজব নাকি
    নীল : তেলাপোকা ছাড়ে দিব গায়ে
    আনহা : হিহি ওটা ভয় পাই না
    নীল : তাইলে কি ভয় পাও
    আনহা : কেন বলবো
    নীল : কি ভয় পাও
    আনহা : হিহি বলবো না যে আমি টিকটিকি ভয় পাই
    এই রে বলে ফেললাম
    আনহা : আমি কিছু বলি নি এই নেন আমার বানানো খাবার
    নীল : হিহি দেও খাবার নিয়ে
    তোমার নাম কি
    আনহা : ওমা এখনো জানেন না
    নীল : না
    আনহা : ইইইইই আমি আনহা
    নীল : হাহা কিউট নেম
    আনহা টিকটিকি
    আনহা : আম্মুউউউউ বলে দৌড়
    .
    এদিকে নীল ভাবছে পিচ্চিটার মায়ায় জড়ানো যাবে
    না
    .
    আমি রাগিই থাকবো
    .
    এভাবে কয়েকদিন গেল
    কিন্তু আনহার ফাজলামি বাড়তেই থাকলো আজকাল
    নীল আর কাউকে ওতো থ্রেট দেয় না
    নীল এর বদলে যাওয়া দেখে সবাই শক্ যাকে
    কেউ বদলাতে পারলো না এক মেয়ে তাকে
    কয়েকদিনেই
    .
    .
    আজ আনহার জন্মদিন
    আনহা ভেতরে ঢুকতেই
    একটা ছেলে : বাহ্ দেখতে তো মাসআল্লাহ
    কি সিংগেল নাকি চল বাবু ঘুরে আসি
    .
    নীল দূর থেকে এসব দেখে
    রাগে ছেলেটাকে দিল একটা ঘুষি ওর দিকে চোখ
    দিবি না ও আমার বউ
    .
    .
    সব দৌড় নীলকে সবাই ভয় পায় আনহা ছাড়া
    .
    .
    আনহা : কি মজা কি মজা আপনি আমাকে বাঁচাইছেন আজ
    থেকে আপনি মি. হিরো
    বাট বউ কোনদিক
    নীল : এই রে খাইছে রাগ এ বলে ফেলছি কি
    আনহা : হিহি ভাবি কই
    নীল : ভাগ্গিস পিচ্চির বাচ্চামি কাজে লাগছে কিছু
    বুঝে নি ( আস্তে )
    আনহা : কিছু কইলেন
    নীল : নাহ
    এভাবে আরো কয়েক দিন আজ আনহা আসলো না
    .
    নীল এদিকে টেনশন এ কি হলো
    .
    এতদিনে নীল আনহার সব খোঁজ নিয়ে নিছে
    .
    .
    নীল আনহার বাড়িতে ঢুকে
    আনহার মা বাবা কে সালাম দিল
    আনহার মা বাবা ভাবলো নীল আর আনহা মে বি
    একে অপরকে ভালোবাসে
    .
    তারা নীল এর ব্যাপারে সব শুনলো আর জিগ্গেস
    করলো ও কি আনহা কে বিয়ে করবে
    .
    নীল সব বলল
    .
    আনহার রুম এ গেল
    দেখে পিচ্চি অসুস্থ ওর ডায়রি পড়ে বুঝলো
    আনহাও ওকে ভালোবাসে
    .
    নীল বলল পিচ্চি আমাকে না বলা তাই না কালই
    তোমাকে বিয়ে করবো
    .
    এক বাবার এক ছেলে হওয়ায় নীলের বাবা মা
    ওতো না করলো না আজ আনহার হঠাৎ বিয়ে কিন্তু
    আনহা জানে না
    ওমা বাড়িতে এরা কারা আর ইয়ে কন হ্যা উইথ ঘোমটা
    সরি ফুল
    .
    আনহার মা বলল আজ তোর বিয়া
    আনহা : এমা আমার বিয়া কিন্তু আমি তো মি. হিরো কে
    .
    নীল : মি. হিরোর সাথেই হাহা
    আনহা : ওমা হিরো আমার বর
    কি মজা
    .
    .
    বিয়ে হয়ে গেল
    .
    বাসর এ
    .
    নীল ঢুকলো
    সালাম করলো
    নীল : এমা পিচ্চি কি করো
    আনহা : আমাকে বলেন নি কেন
    নীল : কি
    আনহা : ভালোবাসেন যে
    নীল : সব কথা কি বলতে হয়
    আনহা : না বাট
    নীল : কি
    আনহা : আমি চকলেট আনতে ভুলে গেছি
    নীল : হাহা এই নাও
    আনহা : ওমা এতো উলু উলু উম্মাহ
    নীল : এ কি
    আনহা : সরি
    নীল : বরকে সরি বলে নাকি
    ....এভাবেই চলে এদের সংসার....

    1 টি মন্তব্য:

    Fashion

    Beauty

    Travel