অসমাপ্ত প্রেম

অসমাপ্ত প্রেম
লেখক :🎻🎻🎻পাগল তোর জন্যে🎻🎻🎻

মেয়েটার চোখ আমার সামনে ভাসতে ছিল
আমি বাইক চালিয়ে আসতে ছিলাম
এই প্রথম সার্টের বুতাম খুলে বাইক চালাইতেছে
অন্যরকম অনুভুতি আমার।

পরের দিন আবারও অপেক্ষা মেয়েটির জন্যে
→
তাকে দেখে আবারও পিছু নিলাম
সেই পুরান জায়গায় সামনে দাড়িয়ে

→মেয়েটি দেখেই শুরু করল
~আপনার কি লজ্জা নাই
~ ম্যাডাম লজ্জার কি? আপনাকে ভালো লাগছে
~দেখেন আমি আগেই বলছি। এসব প্রেমটেম আমি বিশ্বাস করি না।
~ম্যাডাম সেটা আপনার ইচ্ছা। আমি আপনাকে না দেখে থাকতে পারি না।
~আপনি প্রেম করবেন, আপনার ইনকাম কি
~মানে, ঠীক বুজালাম না
~যা বলছি তার উত্তরদিন
~একটা জব খুজতেছি। অচিরেই হয়ে যাবে
~ও বেকার, চলবে না আমার। যেদিন চাকরী হবে
সেইদিন আমার সামনে আসবেন। তখন ভেবে দেখব
~এটাই আপনার চাওয়া
~সেটা দেখা যাবে। সত্যি যদি ভালোবাসেন। অবশ্যই আমার চাওয়া পুরুন করবেন।
→
আমি তো মনে মনে চিন্তায় পরে গেলাম। এটা আবার কেমন মেয়ে বাবা?
দেখে ভদ্র‍ মনে হয়। একেমন চাওয়া, পকেট খালি করার ফন্দি
কিন্তু যাই ভাবি, তার সেই হরিণী চোখ আমি ভুলতে পারি না
মাসতিন পর আমার জব হয়ে যায়। আমি বাইক নিয়ে তার সেই কলেজের সামনে হাজির।

~হ্যালো ম্যাডাম, আমার তো চাকরী হয়ে গিয়েছে
~বেতন কত?
~২০হাজার টাকা
~চলবে,,,,,মোটামুটি
~ম্যাডাম, মানে কি? প্রেমের সাথে বেতনের সমর্প্ক কি?
~স্যার -ঘুঘু তুমি ধান খেয়ে যাবে ফ্র‍ি ফ্র‍ি। আমি এমন মেয়ে না
~তো ম্যাডাম আপনার কথার কিছুই বুজি না
~বুজতে হবে না
বেতন কবে হবে?

~এইতো আগামী সপ্তাহ
~ভেরি গুড-বেতন তুলে প্রথম মা, বাবা, ভাই বোনের জন্য উপহার কিনবেন। আর অল্প দামের একটা লাল শাড়ী কিনবেন, এক থেকে দের হাজার টাকার হলে হবে

~ম্যাডাম এখন কি আমাকে লাল শাড়ীতে ফাসি নিতে বলবেন
~স্যার শাড়ী গোলায় ঝুলিয়ে দিব।আপনে আমাকে সত্যি ভালোবাসেন?
~ম্যাডাম আপনার কোন সন্দহ আছে?
~এখনই বুজতে পারব। লাল শাড়ী নিয়ে আগামী সপ্তাহ
ওই কাজী অফিসের সামনে দাড়িয়ে থাকবেন
বন্ধুবান্ধব যা আছে।
স্যার চুপ কেন? বিয়ার কথা শুনে কি ভালোবাসার ভূত নেমে গিয়েছে। এখন তো নানান অজুহাত দেখাবেন।
আমি যানি, সেই কারণে আপনাদের মত ছেলেদের বিশ্বাস করি না।
ওই স্যার বাড়িতে গিয়ে আরামে ঘুম যান

~হ্যালো ম্যাডাম, আমি রাজি। আপনার ফোন নাম্বারটা দিন
~জি স্যার, নিন ০১৭১৫............৫
~ম্যাডাম, নামটা বলে যান
~ওইদিনই যানতে পারবেন
~চেহারাটা একটু দেখি
~স্যার -বাসর রাতে দেখতে পাবেন

মনটা খুশিতে ভরে উঠে।আবার চিন্তায় পরি।
এমন আজীব মেয়ে তো আমার জীবনে দেখি নাই।
একেমন মেয়ে বাবা। একটু কথা বলেই বিয়ার অফার।
তা আবার কাজী অফিসে।আল্লাহ যানে, একেমন পাগলীর পাল্টাই পড়লাম
আমি ওইদিন বন্ধুদের নিয়ে কাজী অফিসের সামনে দাড়িয়ে।কিন্তু ম্যাডামের কোন খবর নাই। ফোন রিং হয়।
কিন্তু রিসিভ করে না।
আমার মুখ মলিন হয়ে আসতেছে
এমনি বন্ধুরা শুনে, আমাকে মোগা, এইসব বলছে।
আমার কান্না আসতেছে। ওরা তো গালিগালাজ শুরু করল।

চলবে,,, ,,,,,,,,,,,,,