• Breaking News

    মঙ্গলবার, ২৯ মে, ২০১৮

    ভালোবাসায় আকা দুটি মন--- 3

    ভালোবাসায় আকা দুটি মন 💟💟
    লেখা:R........
    (তৃতীয় পর্ব)
    --- এই যে একটু আসুন না আমার বাবা খুব অসুস্থ । (কাদতে কাদতে )
    আমি প্রতিদিন এর মতো আজও রাতে শহরে ঘুরছিলাম । কারণ রাতে শহর টা ঘুমিয়ে পড়ে । আর ঘুমন্ত শহরে হাটার মজা অনেকেই বুঝে না ।
    বরং অনেকেই বলে আমি নাকি পাগলা । যায় হোক উপরের কথা মেয়েটা বললে আমি পিছনে ফিরে দেখি একটা মেয়ে করুন ভাবে কাদছে । তাই একটু কাছে গিয়ে বললাম ,,
    - কি হয়ছে আপনার বাবার ?
    - জানি না । কিন্তু বলছে বুক ফেটে গেলো ।(কাদতে কাদতে)
    - দেখি চলুন তো ।
    সামনে যেতেই দেখি একটা বয়স্ক মানুষ পরে আছেন । বুঝতে পারলাম মানুষ টার বুকে ব্যথা করছে ।
    তাই দেরি না করে । গাড়ি খুজতে লাগলাম। কিন্তু এতো রাতে গাড়ি পাওয়া খুব মুশকিল । কিন্তু ভাগ্য ভালো ছিলো বলে রাস্তায় দাড়াতেই একটা টেক্সি এসে বললো ,,,
    - কয় যাবেন ?
    - মামা একটা মানুষ খুব অসুস্থ । হাসপাতালে যেতে হবে যাবেন ?
    - না মামা, অনেক রাত হয়ছে ।
    - চলেন 500 টাকা দিব নি ।
    - আচ্ছা চলুন । ( অনেক ভেবে )
    তার পর হাসপাতালে নিয়ে আসলাম । হাসপাতালে আনতেই ডাক্তার তাকে অপারেশন এ ঘরে নিয়ে গেলেন ।
    আমি আর সেই মেয়ে টি বাহিরে দাড়িয়ে আছি । মেয়ে টা খুব কান্না করছে । আমি সান্ত্বনা দিয়ে বললাম ,,
    -চিন্তা করেন না , সব ঠিক হয়ে যাবে!
    -আমার বাবা ছাড়া আর কেউ নেই ।(কাদতে কাদতে)
    -আপনার মা কোথায় ?
    - আমি ছোট্ট থাকতে মা মারা গেছেন ?
    - আপনার বাবা কে আমার খুব চেনাজানা লাগলো । মনে হচ্ছে কোথায় দেখেছি ।
    এরি মধ্যে ডাক্তার বের হয়ে এসে বললেন ।
    - আপনাদের দু জনকেই তিনি ডাকতিছেন ।
    ভিতরে যেতেই মেয়েটা তার বাবার কাছে গিয়ে কাদতে লাগলো । কিন্তু তিনি আমাকে বললেন ,,
    -পিনিক পোলা এই দিখে আয় ?
    ভেবে পাচ্ছিলাম না তিনি আমার স্কুল বেলার নাম কেমনে জানে । আগে স্কুলে থাকতে সবাই পিনিক পোলা বলে ডাকতো ,এমন কি স্যারাও
    - চিন্তে পারছিস না ?
    - না , আসলে কে আপনি ।
    - আমি মোর্শেদ মাস্টার ।
    - স্যার আপনি ।
    - একটা কাজ করবি বাবা ।
    - জ্বি স্যার বলুন ।
    - আমি মনে হয় আর বাঁচতে পারবো না । তুই আমার মেয়ে টাকে বিয়া করবি। (কাদতে কাদতে )
    - ঠিক আছে স্যার ।
    আমি আর কিছু বললাম না। কিন্তু তিনি তার মেয়ের হাত টা আমার হাতে তুলে দিলেন ।
    মেয়েটার দিকে চেয়ে দেখি করুন ভাবে কাদছে । দেখে খুব মায়া হলো ।
    এরি মধ্যে ডাক্তার এসে আমাদের বাহিরে যেতে বললেন । আর অপারেশন শুরু করেন । প্রায় তিন ঘণ্টা পর ডাক্তার এসে বলেন sorry ..
    বুঝতে আর বাকি রইলো না । তিনি আর নেই । মেয়েটা ডুকরে ডুকরে কাদতে লাগলো।
    পরের দিন সকালে,,,,
    তেমন কেউ এখানে আত্মীয় নেই তাদের তাই সকালেই মাটি দেওয়া হলো ।
    মেয়ে টা খুব কাদছে এখোনো । বুঝতে পারছিনা কি করবো । দেখতে দেখতে রাত নেমে আসলো । সবাই চলে গেলেন ।
    মেয়েটা এখন আর কাদছে না । কিন্তু ঝিম মেরে বসে আছে । কাছে গিয়ে বললাম ,,
    - রাত 11 টা বাজে ?
    -,,,,,,,
    - আমার সাথে যাবেন !
    - জানি না ।
    বলেই কাদতে লাগলো । তাছাড়া মেয়েটাকে একা রেখে যেতেও পারছিনি । ভাবতিছি স্যার প্রায় 10 বছর ধরে মেয়ে টাকে একা পালছেন । মা মারা যাওয়ার পর আর বিয়া করেন নি । মেয়ের কষ্ট হবে দেখে ।
    সেই মেয়েকে আমার হাতে তুলে দিলেন । তাই দেরি না করে মেয়েটার হাতটি ধরে তুললাম । আর বাসায় আসার জন্য লক্ষ্য স্থির করলাম
    বাসায় আসতেই দরজায় নক করলাম । মা দরজা খুলে দিয়ে ভুত দেখার মতো চমকে ওঠলো । সাথে বাবাও ছিল । বাবা বলে ওঠলো ,,,
    - দেখছো আদনান এর মা আমি বলছিলাম না ।আমার ছেলে বউ একদিন আনবেই । কিন্তু তুমি বলতে সে আর কখনোই বিয়া করবে না । (বাবা)
    - দারাও তো ?কি হয়ছে রে । (মা)
    - কথা বাদ দেও ।
    বলেই বাবা মিষ্টি আনলেন আর বললেন । নতুন বউ কে মিষ্টি খেয়ে ঘরে তুলতে ।
    - মা এই গুলি বাদ দেও তো ?(আমি)
    - কেন রে । নতুন বউ কে আমরা মিষ্টি খিলেই ঘরে তুলবো । (মা)
    - হুম ঠিক বলছো (বাবা)
    -তা হলে খিলাও ।
    মেয়ে টা খেতে চাইছিল না । আর এখনো আমার হাত টা ধরে ছিল । আমি বললাম একটু খেয়ে নেও । আমার কথাতে একটু খেলে মা আমাকে ঘরে আনতে বলে ।
    ঘরে আনতেই বলে দিলাম সকল ঘটনা । কি থেকে কি হয়ছে । আর এটাও বললাম
    -এই মেয়ে আমার বিয়া করা বউ না ।
    - কিন্তু এই রকম অবিবাহিত ভাবে এই বাসায় থাকলে মানুষ বলবে কি (মা )
    - মা এই সব বাদ দেও । মেয়ে টা খুব ক্লান্ত। ওকে তুমি তোমার ঘরে নিয়ে যাও । আর আমি আর বাবা এক সাথে থাকবো ।
    তার পর মা মেয়েটাকে ঘরে নিয়ে যান ।
    সকালে ঘুম থেকে ওঠে নামাজ এর জন্য তৈরি হচ্ছিলাম । এমন সময় শুনতে পায় মৃদু কান্না ।
    মার ঘরে গিয়ে দেখি মেয়েটা নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে হাত তুলে কাদতেছেন ।
    দেখে খুব খারাপ লাগে । নিজের ঘরে এসে নামাজ পড়ে । বসে আছি , এমন সময় মেয়ে টা চা বানিয়ে নিয়ে আসলেন ,,
    - চা ধরেন ?(মেয়েটা )
    - তুমি চা বানাতে গেলে কেন । আর কিছু খন পর কাজের মানুষ আসবে তো ।
    - আমি আপনাদের খুব বড় বোঝা হয়ে দাড়ায় লাম ।
    -( চুপ কি বলবো ভাবতে পারছিনা )
    মেয়ে টা খুব সুন্দর শাড়ি পরতে জানে । একদম বিয়া করা বউ এর মতো লাগছিলো । লাল নীল শাড়িটাই।
    আমায় চুপ থাকা দেখে সে চলে যায়। আর আমি অফিস এর জন্য তৈরি হয়ে অফিস এ গেলাম ।
    (পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । আর হ্যাঁ মন্তব্য জানাতে নিশ্চয় ভুলবেন না । কিন্তু গল্প টা আঞ্চলিক ভাষায় লেখা , বানান ভুল থাকতে পারে , ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ । )

    1 টি মন্তব্য:

    Fashion

    Beauty

    Travel