ভালোবাসায় আকা দুটি মন 💟💟
লেখা:R........
(তৃতীয় পর্ব)
লেখা:R........
(তৃতীয় পর্ব)
--- এই যে একটু আসুন না আমার বাবা খুব অসুস্থ । (কাদতে কাদতে )
আমি প্রতিদিন এর মতো আজও রাতে শহরে ঘুরছিলাম । কারণ রাতে শহর টা ঘুমিয়ে পড়ে । আর ঘুমন্ত শহরে হাটার মজা অনেকেই বুঝে না ।
বরং অনেকেই বলে আমি নাকি পাগলা । যায় হোক উপরের কথা মেয়েটা বললে আমি পিছনে ফিরে দেখি একটা মেয়ে করুন ভাবে কাদছে । তাই একটু কাছে গিয়ে বললাম ,,
- কি হয়ছে আপনার বাবার ?
- জানি না । কিন্তু বলছে বুক ফেটে গেলো ।(কাদতে কাদতে)
- দেখি চলুন তো ।
- জানি না । কিন্তু বলছে বুক ফেটে গেলো ।(কাদতে কাদতে)
- দেখি চলুন তো ।
সামনে যেতেই দেখি একটা বয়স্ক মানুষ পরে আছেন । বুঝতে পারলাম মানুষ টার বুকে ব্যথা করছে ।
তাই দেরি না করে । গাড়ি খুজতে লাগলাম। কিন্তু এতো রাতে গাড়ি পাওয়া খুব মুশকিল । কিন্তু ভাগ্য ভালো ছিলো বলে রাস্তায় দাড়াতেই একটা টেক্সি এসে বললো ,,,
- কয় যাবেন ?
- মামা একটা মানুষ খুব অসুস্থ । হাসপাতালে যেতে হবে যাবেন ?
- না মামা, অনেক রাত হয়ছে ।
- চলেন 500 টাকা দিব নি ।
- আচ্ছা চলুন । ( অনেক ভেবে )
- মামা একটা মানুষ খুব অসুস্থ । হাসপাতালে যেতে হবে যাবেন ?
- না মামা, অনেক রাত হয়ছে ।
- চলেন 500 টাকা দিব নি ।
- আচ্ছা চলুন । ( অনেক ভেবে )
তার পর হাসপাতালে নিয়ে আসলাম । হাসপাতালে আনতেই ডাক্তার তাকে অপারেশন এ ঘরে নিয়ে গেলেন ।
আমি আর সেই মেয়ে টি বাহিরে দাড়িয়ে আছি । মেয়ে টা খুব কান্না করছে । আমি সান্ত্বনা দিয়ে বললাম ,,
-চিন্তা করেন না , সব ঠিক হয়ে যাবে!
-আমার বাবা ছাড়া আর কেউ নেই ।(কাদতে কাদতে)
-আপনার মা কোথায় ?
- আমি ছোট্ট থাকতে মা মারা গেছেন ?
- আপনার বাবা কে আমার খুব চেনাজানা লাগলো । মনে হচ্ছে কোথায় দেখেছি ।
-আমার বাবা ছাড়া আর কেউ নেই ।(কাদতে কাদতে)
-আপনার মা কোথায় ?
- আমি ছোট্ট থাকতে মা মারা গেছেন ?
- আপনার বাবা কে আমার খুব চেনাজানা লাগলো । মনে হচ্ছে কোথায় দেখেছি ।
এরি মধ্যে ডাক্তার বের হয়ে এসে বললেন ।
- আপনাদের দু জনকেই তিনি ডাকতিছেন ।
- আপনাদের দু জনকেই তিনি ডাকতিছেন ।
ভিতরে যেতেই মেয়েটা তার বাবার কাছে গিয়ে কাদতে লাগলো । কিন্তু তিনি আমাকে বললেন ,,
-পিনিক পোলা এই দিখে আয় ?
-পিনিক পোলা এই দিখে আয় ?
ভেবে পাচ্ছিলাম না তিনি আমার স্কুল বেলার নাম কেমনে জানে । আগে স্কুলে থাকতে সবাই পিনিক পোলা বলে ডাকতো ,এমন কি স্যারাও
- চিন্তে পারছিস না ?
- না , আসলে কে আপনি ।
- আমি মোর্শেদ মাস্টার ।
- স্যার আপনি ।
- একটা কাজ করবি বাবা ।
- জ্বি স্যার বলুন ।
- আমি মনে হয় আর বাঁচতে পারবো না । তুই আমার মেয়ে টাকে বিয়া করবি। (কাদতে কাদতে )
- ঠিক আছে স্যার ।
- চিন্তে পারছিস না ?
- না , আসলে কে আপনি ।
- আমি মোর্শেদ মাস্টার ।
- স্যার আপনি ।
- একটা কাজ করবি বাবা ।
- জ্বি স্যার বলুন ।
- আমি মনে হয় আর বাঁচতে পারবো না । তুই আমার মেয়ে টাকে বিয়া করবি। (কাদতে কাদতে )
- ঠিক আছে স্যার ।
আমি আর কিছু বললাম না। কিন্তু তিনি তার মেয়ের হাত টা আমার হাতে তুলে দিলেন ।
মেয়েটার দিকে চেয়ে দেখি করুন ভাবে কাদছে । দেখে খুব মায়া হলো ।
এরি মধ্যে ডাক্তার এসে আমাদের বাহিরে যেতে বললেন । আর অপারেশন শুরু করেন । প্রায় তিন ঘণ্টা পর ডাক্তার এসে বলেন sorry ..
বুঝতে আর বাকি রইলো না । তিনি আর নেই । মেয়েটা ডুকরে ডুকরে কাদতে লাগলো।
পরের দিন সকালে,,,,
তেমন কেউ এখানে আত্মীয় নেই তাদের তাই সকালেই মাটি দেওয়া হলো ।
তেমন কেউ এখানে আত্মীয় নেই তাদের তাই সকালেই মাটি দেওয়া হলো ।
মেয়ে টা খুব কাদছে এখোনো । বুঝতে পারছিনা কি করবো । দেখতে দেখতে রাত নেমে আসলো । সবাই চলে গেলেন ।
মেয়েটা এখন আর কাদছে না । কিন্তু ঝিম মেরে বসে আছে । কাছে গিয়ে বললাম ,,
- রাত 11 টা বাজে ?
-,,,,,,,
- আমার সাথে যাবেন !
- জানি না ।
-,,,,,,,
- আমার সাথে যাবেন !
- জানি না ।
বলেই কাদতে লাগলো । তাছাড়া মেয়েটাকে একা রেখে যেতেও পারছিনি । ভাবতিছি স্যার প্রায় 10 বছর ধরে মেয়ে টাকে একা পালছেন । মা মারা যাওয়ার পর আর বিয়া করেন নি । মেয়ের কষ্ট হবে দেখে ।
সেই মেয়েকে আমার হাতে তুলে দিলেন । তাই দেরি না করে মেয়েটার হাতটি ধরে তুললাম । আর বাসায় আসার জন্য লক্ষ্য স্থির করলাম
বাসায় আসতেই দরজায় নক করলাম । মা দরজা খুলে দিয়ে ভুত দেখার মতো চমকে ওঠলো । সাথে বাবাও ছিল । বাবা বলে ওঠলো ,,,
- দেখছো আদনান এর মা আমি বলছিলাম না ।আমার ছেলে বউ একদিন আনবেই । কিন্তু তুমি বলতে সে আর কখনোই বিয়া করবে না । (বাবা)
- দারাও তো ?কি হয়ছে রে । (মা)
- কথা বাদ দেও ।
- দারাও তো ?কি হয়ছে রে । (মা)
- কথা বাদ দেও ।
বলেই বাবা মিষ্টি আনলেন আর বললেন । নতুন বউ কে মিষ্টি খেয়ে ঘরে তুলতে ।
- মা এই গুলি বাদ দেও তো ?(আমি)
- কেন রে । নতুন বউ কে আমরা মিষ্টি খিলেই ঘরে তুলবো । (মা)
- হুম ঠিক বলছো (বাবা)
-তা হলে খিলাও ।
- কেন রে । নতুন বউ কে আমরা মিষ্টি খিলেই ঘরে তুলবো । (মা)
- হুম ঠিক বলছো (বাবা)
-তা হলে খিলাও ।
মেয়ে টা খেতে চাইছিল না । আর এখনো আমার হাত টা ধরে ছিল । আমি বললাম একটু খেয়ে নেও । আমার কথাতে একটু খেলে মা আমাকে ঘরে আনতে বলে ।
ঘরে আনতেই বলে দিলাম সকল ঘটনা । কি থেকে কি হয়ছে । আর এটাও বললাম
-এই মেয়ে আমার বিয়া করা বউ না ।
- কিন্তু এই রকম অবিবাহিত ভাবে এই বাসায় থাকলে মানুষ বলবে কি (মা )
- মা এই সব বাদ দেও । মেয়ে টা খুব ক্লান্ত। ওকে তুমি তোমার ঘরে নিয়ে যাও । আর আমি আর বাবা এক সাথে থাকবো ।
- কিন্তু এই রকম অবিবাহিত ভাবে এই বাসায় থাকলে মানুষ বলবে কি (মা )
- মা এই সব বাদ দেও । মেয়ে টা খুব ক্লান্ত। ওকে তুমি তোমার ঘরে নিয়ে যাও । আর আমি আর বাবা এক সাথে থাকবো ।
তার পর মা মেয়েটাকে ঘরে নিয়ে যান ।
সকালে ঘুম থেকে ওঠে নামাজ এর জন্য তৈরি হচ্ছিলাম । এমন সময় শুনতে পায় মৃদু কান্না ।
মার ঘরে গিয়ে দেখি মেয়েটা নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে হাত তুলে কাদতেছেন ।
মার ঘরে গিয়ে দেখি মেয়েটা নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে হাত তুলে কাদতেছেন ।
দেখে খুব খারাপ লাগে । নিজের ঘরে এসে নামাজ পড়ে । বসে আছি , এমন সময় মেয়ে টা চা বানিয়ে নিয়ে আসলেন ,,
- চা ধরেন ?(মেয়েটা )
- তুমি চা বানাতে গেলে কেন । আর কিছু খন পর কাজের মানুষ আসবে তো ।
- আমি আপনাদের খুব বড় বোঝা হয়ে দাড়ায় লাম ।
- চা ধরেন ?(মেয়েটা )
- তুমি চা বানাতে গেলে কেন । আর কিছু খন পর কাজের মানুষ আসবে তো ।
- আমি আপনাদের খুব বড় বোঝা হয়ে দাড়ায় লাম ।
-( চুপ কি বলবো ভাবতে পারছিনা )
মেয়ে টা খুব সুন্দর শাড়ি পরতে জানে । একদম বিয়া করা বউ এর মতো লাগছিলো । লাল নীল শাড়িটাই।
আমায় চুপ থাকা দেখে সে চলে যায়। আর আমি অফিস এর জন্য তৈরি হয়ে অফিস এ গেলাম ।
(পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । আর হ্যাঁ মন্তব্য জানাতে নিশ্চয় ভুলবেন না । কিন্তু গল্প টা আঞ্চলিক ভাষায় লেখা , বানান ভুল থাকতে পারে , ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ । )
নতুন নতুন ভালোবাসার গল্প,বাসর রাতের গল্প ও নতুন নতুন জোকস পেতে ভিজিট করতে পারেন আমার সাইটে
উত্তরমুছুনwww.valobasargolpo2.xyz,
বাংলা মজার জোকস,
বাংলা কৌতুক,
হাসির কৌতুক,
bangla jokes,
bangali jokes, mojar jokes,
bangla funny koutuk,
hasir koutuk,
bangla koutuk,
ভালবাসার গল্প,
valobasar Golpo,
Sad Golpo,
মন করার গল্প,
bangla hasir koutuk doctor jokes