• Breaking News

    মঙ্গলবার, ২৯ মে, ২০১৮

    ভালোবাসায় আকা দুটি মন --- 1

    ভালোবাসায় আকা দুটি মন💟💟
    লেখা” রাহাত .........
    (প্রথম পর্ব)
    - আদনান কোথায় তুই ?
    - এই তো মা বলো
    - তৈরি হয়ে নে তারা তারি
    - কেনো কোথায় যাবা
    - তোর নীল খালার বাসায় । সে কবে গেছিলাম।
    - তুমি যাও আমি যাবো না
    - কেন তুই তো দুই বছর আগে গেছিলি । এখন চল বেশি কথা না বলে ।
    - না মা অফিসে কাজ আছে ।
    - ওও থাক তাহলে ।
    বলেই মা চলে গেলেন । আর আমি তো মিথ্যা কথা বলে দিলাম ।আসলে আমার অফিস বন্ধ। তাছাড়া রোযার ভিতর বন্ধ থাকে ।
    তাই ঘুমানোর চেষ্টা করলাম । কেনো জানিনা আজ থেকে দু বছর আগের সেই মায়া ভরা চিহারা টা ভেসে ওঠছে আজ ।
    এই সব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি জানিয়া । ফোন এর রিং এ ঘুম ভাঙ্গলে । ফোনটা কানে দিতেই বুঝতে পারলাম মা ,,
    - হ্যাঁ মা বলো ?
    - এতো দেরি করে ফোন ওঠালি কেন ?
    - ঘুম আচ্ছিলাম । তুমি বলো ?
    - অথি তোর কথা বার বার বলছিল । আসলেই হতো ,।
    - কি বললো আমার নামে ?
    - তুকে নাকি কি একটা কথা বলছিল । আর ওই কথা শুনে তুই রাগে চলে গেছিলি । তাই ওই কথার জন্য ক্ষমা চায়ছে ।ক্ষমা করে দিস মেয়েটা খুব ভালো রে ।
    - অথির কি বিয়া হয়ছে ?
    - ও তোকে তো বলতেই ভুলে গেছি । কাল তো ওর বিয়া ।
    কথা টা শুনার পর ফোনটা রেখেই চললাম খালার বাসার উদ্দেশ্যে । ট্রেন এ ওঠতেই মনে পড়ে গেলো সেই দু বছর আগের কথা ।
    সময় টা এমনি ছিল । পড়ন্ত বিকেলে ট্রেন জার্নি পর । গিয়েছিলাম খালার বাসায় । গিয়ে দরজায় কটা নারাতেই অথি এসে দরজা খুলে দেয় ।
    সেই প্রথম তাকে দেখে ক্রাস যা আজো ভুলতে পারিনি । বয়স একটু কম , মায়া ভরা চিহারা আর চোখ তো হরিণ এর ন্যায় । একদম রাণী ভিক্টোরিয়ার মতো ।
    - ভাইয়া তুমি ?(অথি)
    - কেন আশা যাবে না নাকি ?(আদনান)
    - না তুমি তো প্রায় তিন বছর পর আসলে ।
    - আর হ্যাঁ তোমরাও তো যাও না।
    - আদনান কখন এলি বাবা( খালা)
    -এই তো খালা আসলাম এখোনি ।
    - আই ভিতরে আই ।
    বুঝতেই পারছি তারা খুব খুশি হয়ছেন । তার পর খালা বললো আদনান তুই তো অনেক পথ জার্নি করছিস । ঘুমিয়ে নে । তাই দিলাম একটা ঘুম । কিন্তু ঘুম থেকে ওঠে দেখি অথি আমার পাশে বসে থেকে আমাকে দেখছে ।
    আমার চোখ খোলা বুঝতে পেরে বলে ওঠলো ,,
    - ভাইয়া ওঠোতো ঘুরতে যাবো তোমার সাথে ?
    - আমি তো আরো তোমার সাথে ঘুরবো ।
    - ঠিক আছে চলো ।
    এই রকম ভাবেই চলতে থাকে প্রায় পাচ পাচটি দিন । আমি লক্ষ্য করছিলাম ।অথি আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে । আর আমারো তা ভালো লাগতো । কেনো তা জানি না ।
    আরো কিছু দিন যাবার পর একদিন অথি স্কুল থেকে পিকনিকে যায় । আর সেই দিন একা বাসায় ছিলাম ।
    একদম ভালো লাগছিল না । রাত 12 টা বাজে কিন্তু অথি আসে না । আমার খুব চিন্তা হচ্ছিল । আর আমি ঠিক বুঝে গেছি অথি কে আমি ভালো বেসে ফেলেছি ।
    রাত 12 পার হলে খালা রা সবাই টেনশন করতে থাকে । এক সময় খালা আর খালু স্কুল এর দিকে এগিয়ে যায় ।
    তারা গেলেন আর তাদের আসার যেনো কোনো খবর নেই । শেষ মেষ রাত দুটাই নাকি তারা ফিরেছিলিন । আমি ঘুম আসছিলাম তাই বলতে পারি না ।
    কিন্তু সকালে ওঠে অথি কে বললাম
    - অথি ওঠো আজ তোমাদের ইলি পুর পাহাড় এ যাবো । তুমি নীল শাড়ি পরবে আর আমি তোমার বাবার সেই ঢিল ঢালা নীল শার্ট পরবো
    -........
    - কথা বলো না কেন ?
    - ভালো লাগছে না plz যাও
    - ঠিক আছে ।
    জানি না কি হয়ছে । খালাকে দেখে মনে হচ্ছে তিনি খুব টেনশনে আছেন । আর খালু তো আরো বেশি টেনশনে আছেন ।কিন্তু আমাকে কেউ কিছু বলছে না ।
    বিকেল হলে দেখি অথি সাদে গেলো । আর আমার এইদিকে আর সময় ছিল না । তাই সাদে গিয়ে দেখি অথি অন্য দিকে চেয়ে কি যেনো ভাবছে ।
    - অথি একটা কথা বলি ?(পিছুন থেকে )
    চোখের পানি মুছে বললো
    - হুম?
    - অথি কি হয়ছে তোমার ?
    - কয় কিছু নাতো । তুমি বলো কি বলবে ?
    -i love you... ভালো বাসি তোমাকে
    - ঠাসসসস! আমি তোমাকে শুধু আমার ভাই ভাবি, অন্য কিছু হতে যাও না !
    - তাহলে লুকিয়ে লুকিয়ে আমাকে দেখতে কেনো ?
    - plz এই বিষয় এ কোনো কথা বলতে চাইনা । আর আমি কাউকে ঠোকাতে চাই না।
    বলেই কাদতে কাদতে নিচে চলে যায় । এই ঘটনার পর আমি আর অথির সামনে যাই নি । একদম সোজা বাসায় চলে আসছিলাম।জানি না অথির কি হয়ছিল এমন । যার জন্য সে আমাকে ফিরে দিয়েছিল ।
    (পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন , আর হ্যাঁ মন্তব্য জানাতে নিশ্চয়ই ভুলবেন না )

    1 টি মন্তব্য:

    Fashion

    Beauty

    Travel