• Breaking News

    মঙ্গলবার, ২৯ মে, ২০১৮

    ভালোবাসায় আকা দুটি মন শেষ

    ভালোবাসায় আকা দুটি মন 💟💟
    লেখা: রাহাত...
    (শেষ পর্ব)
    - হ্যাঁ মা বলো ?
    - ফোন ধোরিস না কেন?
    -একটু অফিস এ কাজে ব্যস্ত ছিলাম ।
    - ওওও। আজ অফিস ছুটি নিয়ে আই ।
    - কেনো ?
    - মেয়েটার পড়ার মতো কিছু নেই । সকালে একটা আমার শাড়ি দিছিলাম । কিন্তু এখন কি পড়বে ?
    - আচ্ছা তৈরি হতে বলো আমি যাচ্ছি ।
    বলেই আদনান ছেলে টি বেরিয়ে পড়ে বাসার উদ্দেশ্যে করে । বাসায় এসে ঘরে যেতেই দেখে মেয়েটি বসে আছে ।
    - চলুন ( আদনান )
    - কই যাবেন ?
    - আচ্ছা আপনার নামটাই তো যানা হলো না ।
    - আমার নাম তিথি মুনি ।
    - খুব সুন্দর । এখন আসুন মা আপনাকে মার্কেট এ নিয়ে যেতে বলছে ।
    - না আমার কিছু লাগবে না । একদিকে আপনি অনেক উপকার করছেন ।
    - কথা না বলে চলুন ।
    বলেই তিথি কে সাথে করে নিয়ে চললাম মার্কেট এ । মার্কেট এ এসে তিথি কে বললাম ,,
    - কি নিবে এখন বলো ?
    - জানি না । তাছাড়া আমার কিছু লাগবে না ।
    - তাহলে কি করার চলেন বাসায় যায় ( মন খারাপ করে )
    - না মানে একটা থ্রি পিচ হলেই হবে ।
    - মামা থ্রি পিচ দেখান তো ।( আদনান )
    - দেখেন আপু ( দোকান দার )
    - দেন এটাই দেন ( তিথি )
    - না না । এই হলুদ রঙের টা ভালো না । আপনি ওই তিনটা দিন ।
    - তিনটা কি করবো ( তিথি )
    - চুপ !
    তার পর দুটা শাড়ি আর অন্যান্য যা যা লাগে সব নিয়ে । বাসার দিকে যাচ্ছিলেন । এমন সময় হঠাত্ করে সামনে একটা মানুষ বেজে যায় ।
    আমি মানুষ টা কে দেখে কিছু মনে করলাম না । কিন্তু তিথি মানুষ টাকে দেখে আমার হাত টা শক্ত করে ধরে আমার পিছুনে লুকিয়ে মৃদু কাদতে থাকে ভয়ে ।
    বেপার টা দেখে কেমন জানি খটকা লাগলো । মানুষ টা ত্বক ধরে তাকিয়ে ছিলেন , আর হাসতিছিলেন ।
    আমি মানুষ টাকে সড়িয়ে দিয়ে তিথি কে তার সামনে দিয়ে নিয়ে যায় । তার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তিথি আমার হাত টা খুব শক্ত করে ধরে ছিল ।
    কিছুই বুঝতে পারলাম না । পড়ে বাসায় আসলাম ।এখন বিকেল 5 টা বাজে। তিথি এখনো চুপ চাপ রয়েছে । কোনো কথা বলছে না ।
    বাহির হয়লাম একটু ঘোরাঘুরি করার জন্য । একটু সামনে আসতেই দেখি ওই মানুষ টা । দেখে মনে হলো নেশা করেন । কাছে গিয়ে পকেট থেকে পাচ হাজার টাকা বের করে দেখালাম ।
    আর বললাম , বিনিময়ে কিছু প্রশ্নের উওর ,,
    সাথে সাথেই রাজি হয়ে গেলেন ।
    - আমার সাথে আজ যাকে দেখলে আর হাসলেন তাকে কি চিনেন ?
    - হ্যাঁ চিনি ।
    - কিন্তু আপনাকে দেখে সে ওইরকম করলো কেনো ?
    - ,,,,,,
    - কি হলো । বলবেন নাকি চলে যাবো । ( উঠতে যাবো )
    - না না বলছি ।
    - হুম বলুন ।
    - আজ থেকে তিন মাস আগে মেয়ে টা আর তার বাবা এই শহরে আসেন মেয়ে টাকে পড়ানোর জন্য ।
    কিন্তু শহরের ওই এলাকার জিসান ভাই এর নজরে পড়েন মেয়ে টা । তাকে এক রাতে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় আর ,,,
    - বাচ থামুন । আর বলতে হবে না ।
    টাকা টা দিয়ে বাসায় আসলাম । এখন বুঝতে পারছি । তিথি কেনো ওই রকম করছিলো তার সামনে । যায় হোক প্রতিজ্ঞা টা ভাঙ্গেই হবে ।
    একটি মেয়ে যে কিনা নিষ্পাপ । তার তো কোনো দোষ ছিলো না ।
    এই কারনে আমার অথি কে আমি হারিয়ে ছি আর কাউকে হারাতে চায় না । তাই বাসায় এসে তিথি কে ডাকলাম ,,
    - হুম বলুন ?
    - শাড়ি পড়ে আসো ।
    - কেনো । এখন তো রাত শাড়ি পড়ে কি করবো ।
    - এতো বেশি বুঝো কেন। যা বলি তাই করো ।
    তিথি দশ মিনিট এর মধ্যে শাড়িটা পড়ে আসে । আর আদনান তার হাত টা ধরে নিয়ে যায় কাজি অফিস এ । আর সাথে সাথেই বিয়া করেন ।
    কিন্তু আদনান সাইন দিলেও মেয়ে টা দিতে চাচ্ছে না । কিন্তু আদনান এর একটা ধমক এ সাইন দিয়ে ফেলে ভয়েতে ।
    বিয়া হলে আদনান ফোন দেয় বাসায় ,,
    - হ্যালো মা ?
    - হ্যাঁ রে তুই এতো রাতে তিথি কে কই নিয়ে গেলি ।
    - নাদিক কাকুর অফিস এ এসো এখোনি ।
    - ওই অফিস না কাজি অফিস ।
    - হুম কথা না বলে তারা তারি এসো ।
    15 মিনিট পড় মা আসলে মাকে তিথি কে দিয়ে বললাম সোজা বাসায় যাবা । মা বললো তুই কোথায় যাবি । আমি বললাম আমার একটা কাজ আছে ।
    বলেই চলে যায় একটা বন্দুক এর দোকানে । সেখান একটা বন্দুক কিনে নিয়ে চলে যায় সেই মানুষ টির কাছে আর তাদের জিসান ভাই এর ঠিকানা নিয়ে তার ঠিকানায় চলতে থাকি ।
    আজ খুব মনে পড়ছে অথি পাগলিটার কথা । সামান্য এখটা ভুল এর জন্য হারিয়ে ছিলাম ।
    আমি জানি এই জিসান এর মতো একজন কেউ আমার অথি কে খুব কষ্ট দিয়ে ছিল । যার ফলে হারিয়ে ফেলেছিলাম আমার অথিকে ।
    কিন্তু এই তিথি কে আর হারাতে চাইনা । ধর্ষিতা মেয়ে কে নিয়েই বাচতে চাই যা আজ থেকে পাচ বছর আগে করতে চেয়ে ছিলাম ।
    এই সব ভাবতে ভাবতে এসে যায় ঠিকানায় । দেখি বস একায় বসে নেশা করছে । বন্দুক টা তার মাথা বরাবর করে মেরে দিলাম । সন্ধ্যা ছিলো বলে কেউ দেখতে পারে নি ।
    আজ খুব নিজেকে হালকা মনে হচ্ছে । কেনো জানি না ।
    এই দিকে তিথি আদনান এর সেই ডায়রি টা পড়ে ফেলেছে । যার ভিতর ছিল আজ থেকে পাচ বছর এর ঘটনা । পড়ে তিথি কাদতে থাকে আর বলতে থাকে সেও আমার মতো শিখার হয়ছিল তাদের ।
    এরি মধ্যে আদনান বাসায় এসে নিজের ঘরে যায় । আর দেখতে পারে তার খাটে বসে আছে তিথি ।
    আদনান কে দেখেই তিথি নেমে নিচে আসে আর পা ধরে সালাম করে কাদতে থাকে । আর বলতে থাকে আমি যে ,,,
    আদনান আর বলতে দেয় না । কানে কানে ফিস ফিস করে বলে তুমি যায় হও না কেন । অতীত কে অতীতেই থাকতে দাও । বর্তমান কে ধরে বাচতে শিখো।
    এই দিকে আদনান নিচে বিছানা পাড়িয়ে তিথি কে বলে তুমি উপরে ঘুমাও । আর আদনান নিচে ঘুমিয়ে পড়ে ।
    দরজা খোলা ছিল বলে বাহিরে থেকে ভিতরে সব দেখা যাচ্ছিলো । আদনান এর মা কি যেনো করতে অন্য ঘরে যাচ্ছিলেন এমন সময় দেখে আদনান নিচে ঘুমিয়ে আছে ।
    আস্তে করে আদনান কে ডাকদেন । আদনান শুনে বাহিরে যান ।
    আর তিথি তো কাদছেই অন্য দিক হয়ে ।
    - কি করছিস এই সব ?(মা)
    - কেনো ?
    - নিচে কেন তুই আর তোর বউ উপরে । তাহলে বিয়া করলি কেন ?
    -,,,,,,
    - আদনান দেখ অনেক সহ্য করছি আর না । পাচ পাচটা বছর নিজেকে একদম শেষ করে ফেলেছিস ।
    -,,,,,
    - এই বার pls তোর পায়ে পরছি বাবা মেয়েটাকে নিয়ে বাচতে শিখ ।
    - মা কি করছো এই সব । ঠিক আছে আমি নতুন করে জীবন শুরু করবো ।
    বলেই ঘরে যায় । গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয় একটু জোরে করেই । কিন্তু তিথি পাগলিটা এইদিকে তাকাচ্ছে না ।
    খাটে গিয়ে তার পাশে শুয়ে পরলাম । শুতেই বলে ওঠলো ,,
    - কেনো আসলে । করুনা করতে আসলে । কারু করুনার দরকার নেই ( অভিমান সুরে )
    - (চুপ)
    আস্তে করে হাতটা ধরে আদনান তিথির । আর তিথি এই দিকে তাকিয়ে লজ্জায় চোখ বন্ধ করে থাকে । আর আদনান বলে ওঠে আজ চোখ টা বন্ধ করেই থাকো ।
    - i love you .. ( আদনান)
    - এই কথা সব সময় বলতে হবে । যখন রাগে থাকবো তখন । সকালে ঘুম থেকে ওঠে বলতে হবে । রাতে ঘুমানোর আগে বলতে হবে সব সময় বলে হবে ।
    - ঠিক আছে ।
    বলেই জরিয়ে নেয় বুকে । ব্যাচ হয়ে গেলো । আর তাদের দুটি মন আকা যায় ভালোবাসায়।
    :;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;সমাপ্তি;;;;;;;;;;;;;;
    (ভুল গুলি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন , আর উৎসাহ জানাতে ভুলবেন না যাতে নতুন গল্প লেখতে পারি )
    LikeShow more reactions

    1 টি মন্তব্য:

    Fashion

    Beauty

    Travel