• Breaking News

    বুধবার, ৩০ মে, ২০১৮

    #বাস_থেকে_ক্রাশ

    লেখক:
    ইয়ো ইয়ো কুয়াকাটা যাচ্ছি বাস এ । হিহি কতো মজা । আমি আনহা । এবার কলেজ এ উঠবো । কেবল এসএসসি দিলাম ছোট মানুষ হিহি । আমি , আম্মু , আব্বু আর ছোট বোন । বাস এ করে যাওয়া হচ্ছে । আমার খুশি সবচেয়ে বেশি কারণ আমার ঘুরতে অনেক মজা লাগে । আর আমি যে অনেক ফাজিল তা সবাই জানেই হিহি ।
    .
    বাস চলে আসছে উঠে পড়া যাক ।
    দাড়ান জলদি জানালার পাশে বসি নইলে আমার ছোট বোন বসে পড়বে । ইইইই ভাগ্যিস জানালার পাশেই বসছি হিহি আভা বসতে পারে নি । ইইইইইই আমি তো চিপস্ আনতে ভুলেই গেছি বাস ছাড়তে দেরি আছে দাড়ান নিয়ে আছি । এমা দোকানে কে এই ছেলে । আরে‌‌ আরে ক্রাশ খাবো নাকি । 
    চশমা ওয়ালা ছিল ছেলেটা কিউট । আভার ডাকে টের পেলাম যে ও পাশে । বাপরে ওয় আম্মু কে বললে আমু শেষ । বাহ আমাদের দিনাজপুরে কিউটের বাসা । এখন চিপস্ কিনে পালাই নইলরে বাস মিস যাবে ।
    .
    চিপস্ কোক নিয়ে বাসে ফিরে দেখি আমার ক্রাশ ও বাসে ।‌
    ওমা গো ক্রাশ ও যাচ্ছে । ভাবতেছি আমার চশমাওয়ালা যদি কুয়াকাটা যায় ভালোই হবে । 
    বাস স্টার্ট দিল । ইয়ে কাল আমি কুয়াকাটায় থাকবো । বাস এ ক্রাশ এর দিকে তাকাচ্ছিলাম । ক্রাশ তার আম্মুর সাথে তারও এক ছোট ভাই আছে । বাহ ক্রাশ এর সাথে যদি আমার বিয়ে হয় তাইলে আভার সাথে আমার দেবরের বিয়ে দেওয়া যাবে । ইইইইই আমি কি ভাবতেছি হিহি । এমা আমার ক্রাশ ও আমার দিকে তাকায় কেন । ইইইই লজ্জা লাগে হিহি ।
    আয় হায় অনেক তাকাতাকি হলো এখন গান শুনা যাক । আভা কে বললাম
    আমি : কিরে কি করস ?
    আভা : ওই ভাইয়ার দিকে এতো তাকাচ্ছিস কেন
    আমি : ( এ খাইছে রে এখন কি বলি ) ইইইই কই তাকালাম হা আশে পাশের জিনিস দেখতেছি চুপ কর
    আভা : হুহ
    আমি : গান শুনবি ?
    আভা : না 
    আমি : ওকে গান শুনা যাক ।
    .
    আমার একটা বদ অভ্যাস গান গাই বেশি । 
    ক্রাশ আমার ওপর প্রান্তে বসেছিল । ইইই তাকায় দেখি আমার বোনের সাথে ভালোই মিল জমাইছে । এমা ক্রাশের হাতে আমার কিটক্যাট টা নাকি । দেখি তো এমা আমার কিটক্যাট কই ।
    আমি : আভা 
    আভা : কি 
    আমি : আমার কিটক্যাট কই ?
    আভা : ভাইয়া টাখুব ভালো ওকে দিছি
    আমি : হারামি নিজের টা দিতি আমার নিলি কুত্তি
    আভা : হিহি আমার শেষ
    আমি : হুহ চুপ করে আবার গান শুনা শুরু করলাম 
    .
    কে জানি ডাকছে মে বি ।
    এমা আমার ক্রাশ 
    ক্রাশ : পিচ্চি টা এমনি দিছে আপনার চকলেট নিন
    আমি : আরে ব্যাপার না রাখেন 
    ক্রাশ : আরে নেন 
    আমি : আরে না
    ক্রাশ : আচ্ছা ভাগ করি‌
    আমি : ওকে 
    ক্রাশ : তিনভাগ করলাম আপনার বোনেরও
    আমি : আপনার ভাইয়েরও করুন চারভাগ
    ক্রাশ : ওকে 
    .
    আমি ভাবতেছি আমার কিটক্যাট গেছে গা ।
    .
    ক্রাশ খুব চুপচাপ । আমি বোর হচ্ছি ।
    আভা কে জানালার পাশে বসালাম ।
    আমি তারপর ক্রাশ এর সাথে কথা বললাম ।
    আমি : আপনি খুব চুপচাপ তাই না 
    ক্রাশ : না মানে হ্যা চুপচাপ থাকি বেশি
    আমি : আমি কিন্তু উল্টা 
    ক্রাশ : তা দেখেই বুঝা যায় 
    আমি : আমি আনহা 
    ক্রাশ : আমি শুভ‌
    আমি : আপনাকে চশমা পড়ে কিউট লাগে হিহি
    ক্রাশ : হাহা থেংকস
    আমি : হিহি আমি তো কথা না বলে থাকতেই পারি না
    ক্রাশ : ভালোই তো
    আমি : এহে এতো চুপ কেন
    ক্রাশ : এমনি 
    আমি : কিসে পড়েন 
    ক্রাশ : অনার্স তৃতীয় বর্ষ আপনি
    আমি : হিহি এসএসসি দিলাম
    ক্রাশ : পিচ্চি 
    আমি : হুমমম 
    ক্রাশ : ভালোই গান করো
    আমি : কই শুনলেন
    ক্রাশ : ওই তো ডাকতে গিয়ে 
    আমি : ইইই আপনি তাইলে গান শুনান
    ক্রাশ : আমি গান পারি না
    আমি : ইইইই মিথ্যুক গিটার টা কার ?
    ক্রাশ : হাহা দেখছেন তাইলে 
    আমি : হুম 
    ক্রাশ : আচ্ছা শুনাই আস্তে
    আমি : ওকে 
    .
    .
    ক্রাশ গান শুনালো 
    .
    আমি : বাহ সেই এই আপনি দিনাজপুরের 
    ক্রাশ : হুম 
    আমি : ভালোই হলো আপনার গান আমার ভাল্লাগছে এর পর আরো শুনার ইচ্ছা 
    ক্রাশ : কিভাবে 
    আমি : নম্বর দেন হিহি
    ক্রাশ : এই না
    আমি : আরে আমি মেয়ে হয়ে চাচ্ছি দেন তো
    ক্রাশ : এই নেন ০১৭..........
    আমি : ওকে কুয়াকাটা যাচ্ছেন‌
    ক্রাশ : হুম
    .
    এভাবে গল্প করতে করতে বুঝলাম উনি লাজুক । গফ নাই ।‌ এতো গল্প করছি যে উনিও ফ্রি হয়েছে ।‌ পিছনে আমার মা আর ক্রাশের মা তো বন্ধু হয়ে গেছে । এভাবে কুয়াকাটায় পৌঁছালাম ।
    আমরা একই হোটেলে উঠলাম । বাহ ক্রাশের রুম আমার পাশেই ।
    উপরে উঠে ......
    আমি : বাহ সেম রুম এ পড়েছি
    ক্রাশ : হাহা ভাগ্য 
    আমি : হুম 
    .
    রাতে বোর হচ্ছিলাম বেলকোনি তে গেলাম । দেখি ক্রাশ ও দাড়িয়ে ।
    আমি : এতো রাতে এখানে কেন ?
    ক্রাশ : বাইরে এলাম আপনি কেন এখানে ?
    আমি : এমনি ইচ্ছে হলো
    ক্রাশ : বাহ আপনাকে চুল ছেড়ে ভালোই লাগছে 
    আমি : হিহি থেংকস আবহাওয়া টা সত্যি সুন্দর । গান শুনান
    ক্রাশ : আপনাকেও গাইতে হবে
    আমি : ওকে 
    .
    .
    দুজনে গান করলাম‌
    ক্রাশ : ভালোই তো গান করেন 
    আমি : হিহি আরে না 
    ক্রাশ : সত্যি
    আমি : কিটক্যাট খাবেন?
    ক্রাশ : ওকে
    .
    এভাবে তিনদিন শেষ । অনেক গল্প করেছি । আমরা ফিরে আসলাম কিন্তু ক্রাশ আর তার পরিবার কাল ফিরবে । ভাবলাম দেখা হবে কি না ।‌
    ভাবলাম নম্বর তো আছেই ।
    .
    ফিরে দেখি যে নম্বর টা ক্রাশ দিছিল তা বন্ধ । মন টা সেদিন খুব খারাপ হয়ে যায় । অজান্তেই কেঁদে ফেলি ।
    .
    এভাবে দিন যায় । 
    ২ বছর পর 
    আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে । দেখতে আসবে আজ পাত্র পক্ষ । কিন্তু আমি আজও আমার ক্রাশ কে ভুলতে পারি নি । 
    পাত্র কে দেখে আমি থ । এ তো ক্রাশ আমার । ক্রাশ আর আমাকে একা কথা বলতে পাঠালো ।
    আমি কথা বলছি না রেগে আছি
    ক্রাশ : কি পিচ্চি কথা বলো না কেন
    আমি : এরকম করছিলেন কেন 
    ক্রাশ : ভাবছিলাম ভুলে যাবো তোমাকে তোমার মায়ায় পড়বো না কিন্তু পড়েই যাই ।
    আমি : এতোদিনও 
    ক্রাশ : কে বলছে হুম তারপর প্রতিদিন খোঁজ নিছি আর তোমাকে ভালোবেসে ফেলছি 
    আমি : হুহ
    ক্রাশ : সরি 
    আমি : আর ছেড়ে যাবেন চশমাওয়ালা
    ক্রাশ : না চশমাওয়ালার বউ
    আমি : হিহি
    .
    শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়
    .
    .
    ( পুরোটাই কাল্পনিক সরি এখনো পিচ্চি তাই হয় তো ভালো হয় নি )
    লেখাটা আমার........

    কোন মন্তব্য নেই:

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    Fashion

    Beauty

    Travel