লেখক:
ইয়ো ইয়ো কুয়াকাটা যাচ্ছি বাস এ । হিহি কতো মজা । আমি আনহা । এবার কলেজ এ উঠবো । কেবল এসএসসি দিলাম ছোট মানুষ হিহি । আমি , আম্মু , আব্বু আর ছোট বোন । বাস এ করে যাওয়া হচ্ছে । আমার খুশি সবচেয়ে বেশি কারণ আমার ঘুরতে অনেক মজা লাগে । আর আমি যে অনেক ফাজিল তা সবাই জানেই হিহি ।
.
বাস চলে আসছে উঠে পড়া যাক ।
দাড়ান জলদি জানালার পাশে বসি নইলে আমার ছোট বোন বসে পড়বে । ইইইই ভাগ্যিস জানালার পাশেই বসছি হিহি আভা বসতে পারে নি । ইইইইইই আমি তো চিপস্ আনতে ভুলেই গেছি বাস ছাড়তে দেরি আছে দাড়ান নিয়ে আছি । এমা দোকানে কে এই ছেলে । আরে আরে ক্রাশ খাবো নাকি ।
চশমা ওয়ালা ছিল ছেলেটা কিউট । আভার ডাকে টের পেলাম যে ও পাশে । বাপরে ওয় আম্মু কে বললে আমু শেষ । বাহ আমাদের দিনাজপুরে কিউটের বাসা । এখন চিপস্ কিনে পালাই নইলরে বাস মিস যাবে ।
.
চিপস্ কোক নিয়ে বাসে ফিরে দেখি আমার ক্রাশ ও বাসে ।
ওমা গো ক্রাশ ও যাচ্ছে । ভাবতেছি আমার চশমাওয়ালা যদি কুয়াকাটা যায় ভালোই হবে ।
বাস স্টার্ট দিল । ইয়ে কাল আমি কুয়াকাটায় থাকবো । বাস এ ক্রাশ এর দিকে তাকাচ্ছিলাম । ক্রাশ তার আম্মুর সাথে তারও এক ছোট ভাই আছে । বাহ ক্রাশ এর সাথে যদি আমার বিয়ে হয় তাইলে আভার সাথে আমার দেবরের বিয়ে দেওয়া যাবে । ইইইইই আমি কি ভাবতেছি হিহি । এমা আমার ক্রাশ ও আমার দিকে তাকায় কেন । ইইইই লজ্জা লাগে হিহি ।
আয় হায় অনেক তাকাতাকি হলো এখন গান শুনা যাক । আভা কে বললাম
আমি : কিরে কি করস ?
আভা : ওই ভাইয়ার দিকে এতো তাকাচ্ছিস কেন
আমি : ( এ খাইছে রে এখন কি বলি ) ইইইই কই তাকালাম হা আশে পাশের জিনিস দেখতেছি চুপ কর
আভা : হুহ
আমি : গান শুনবি ?
আভা : না
আমি : ওকে গান শুনা যাক ।
.
আমার একটা বদ অভ্যাস গান গাই বেশি ।
ক্রাশ আমার ওপর প্রান্তে বসেছিল । ইইই তাকায় দেখি আমার বোনের সাথে ভালোই মিল জমাইছে । এমা ক্রাশের হাতে আমার কিটক্যাট টা নাকি । দেখি তো এমা আমার কিটক্যাট কই ।
আমি : আভা
আভা : কি
আমি : আমার কিটক্যাট কই ?
আভা : ভাইয়া টাখুব ভালো ওকে দিছি
আমি : হারামি নিজের টা দিতি আমার নিলি কুত্তি
আভা : হিহি আমার শেষ
আমি : হুহ চুপ করে আবার গান শুনা শুরু করলাম
.
কে জানি ডাকছে মে বি ।
এমা আমার ক্রাশ
ক্রাশ : পিচ্চি টা এমনি দিছে আপনার চকলেট নিন
আমি : আরে ব্যাপার না রাখেন
ক্রাশ : আরে নেন
আমি : আরে না
ক্রাশ : আচ্ছা ভাগ করি
আমি : ওকে
ক্রাশ : তিনভাগ করলাম আপনার বোনেরও
আমি : আপনার ভাইয়েরও করুন চারভাগ
ক্রাশ : ওকে
.
আমি ভাবতেছি আমার কিটক্যাট গেছে গা ।
.
ক্রাশ খুব চুপচাপ । আমি বোর হচ্ছি ।
আভা কে জানালার পাশে বসালাম ।
আমি তারপর ক্রাশ এর সাথে কথা বললাম ।
আমি : আপনি খুব চুপচাপ তাই না
ক্রাশ : না মানে হ্যা চুপচাপ থাকি বেশি
আমি : আমি কিন্তু উল্টা
ক্রাশ : তা দেখেই বুঝা যায়
আমি : আমি আনহা
ক্রাশ : আমি শুভ
আমি : আপনাকে চশমা পড়ে কিউট লাগে হিহি
ক্রাশ : হাহা থেংকস
আমি : হিহি আমি তো কথা না বলে থাকতেই পারি না
ক্রাশ : ভালোই তো
আমি : এহে এতো চুপ কেন
ক্রাশ : এমনি
আমি : কিসে পড়েন
ক্রাশ : অনার্স তৃতীয় বর্ষ আপনি
আমি : হিহি এসএসসি দিলাম
ক্রাশ : পিচ্চি
আমি : হুমমম
ক্রাশ : ভালোই গান করো
আমি : কই শুনলেন
ক্রাশ : ওই তো ডাকতে গিয়ে
আমি : ইইই আপনি তাইলে গান শুনান
ক্রাশ : আমি গান পারি না
আমি : ইইইই মিথ্যুক গিটার টা কার ?
ক্রাশ : হাহা দেখছেন তাইলে
আমি : হুম
ক্রাশ : আচ্ছা শুনাই আস্তে
আমি : ওকে
.
.
ক্রাশ গান শুনালো
.
আমি : বাহ সেই এই আপনি দিনাজপুরের
ক্রাশ : হুম
আমি : ভালোই হলো আপনার গান আমার ভাল্লাগছে এর পর আরো শুনার ইচ্ছা
ক্রাশ : কিভাবে
আমি : নম্বর দেন হিহি
ক্রাশ : এই না
আমি : আরে আমি মেয়ে হয়ে চাচ্ছি দেন তো
ক্রাশ : এই নেন ০১৭..........
আমি : ওকে কুয়াকাটা যাচ্ছেন
ক্রাশ : হুম
.
এভাবে গল্প করতে করতে বুঝলাম উনি লাজুক । গফ নাই । এতো গল্প করছি যে উনিও ফ্রি হয়েছে । পিছনে আমার মা আর ক্রাশের মা তো বন্ধু হয়ে গেছে । এভাবে কুয়াকাটায় পৌঁছালাম ।
আমরা একই হোটেলে উঠলাম । বাহ ক্রাশের রুম আমার পাশেই ।
উপরে উঠে ......
আমি : বাহ সেম রুম এ পড়েছি
ক্রাশ : হাহা ভাগ্য
আমি : হুম
.
রাতে বোর হচ্ছিলাম বেলকোনি তে গেলাম । দেখি ক্রাশ ও দাড়িয়ে ।
আমি : এতো রাতে এখানে কেন ?
ক্রাশ : বাইরে এলাম আপনি কেন এখানে ?
আমি : এমনি ইচ্ছে হলো
ক্রাশ : বাহ আপনাকে চুল ছেড়ে ভালোই লাগছে
আমি : হিহি থেংকস আবহাওয়া টা সত্যি সুন্দর । গান শুনান
ক্রাশ : আপনাকেও গাইতে হবে
আমি : ওকে
.
.
দুজনে গান করলাম
ক্রাশ : ভালোই তো গান করেন
আমি : হিহি আরে না
ক্রাশ : সত্যি
আমি : কিটক্যাট খাবেন?
ক্রাশ : ওকে
.
এভাবে তিনদিন শেষ । অনেক গল্প করেছি । আমরা ফিরে আসলাম কিন্তু ক্রাশ আর তার পরিবার কাল ফিরবে । ভাবলাম দেখা হবে কি না ।
ভাবলাম নম্বর তো আছেই ।
.
ফিরে দেখি যে নম্বর টা ক্রাশ দিছিল তা বন্ধ । মন টা সেদিন খুব খারাপ হয়ে যায় । অজান্তেই কেঁদে ফেলি ।
.
এভাবে দিন যায় ।
২ বছর পর
আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে । দেখতে আসবে আজ পাত্র পক্ষ । কিন্তু আমি আজও আমার ক্রাশ কে ভুলতে পারি নি ।
পাত্র কে দেখে আমি থ । এ তো ক্রাশ আমার । ক্রাশ আর আমাকে একা কথা বলতে পাঠালো ।
আমি কথা বলছি না রেগে আছি
ক্রাশ : কি পিচ্চি কথা বলো না কেন
আমি : এরকম করছিলেন কেন
ক্রাশ : ভাবছিলাম ভুলে যাবো তোমাকে তোমার মায়ায় পড়বো না কিন্তু পড়েই যাই ।
আমি : এতোদিনও
ক্রাশ : কে বলছে হুম তারপর প্রতিদিন খোঁজ নিছি আর তোমাকে ভালোবেসে ফেলছি
আমি : হুহ
ক্রাশ : সরি
আমি : আর ছেড়ে যাবেন চশমাওয়ালা
ক্রাশ : না চশমাওয়ালার বউ
আমি : হিহি
.
শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়
.
.
( পুরোটাই কাল্পনিক সরি এখনো পিচ্চি তাই হয় তো ভালো হয় নি )
লেখাটা আমার........
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন