.
কলেজে বসে ছিলাম এমন সময় এক পিচ্চি এক চিরকুট নিয়ে এলো
চিরকুটে লেখা ছিল " কাল নীল ড্রেসে যখন ছাদে বসে ছিলে তখন খুব সুন্দর লাগছিল তোমাকে
রহস্যময়ী ছেলে "
.
এভাবেই আরও অনেক চিঠি পাচ্ছি আমি কয়েকদিন ধরেই কে দেয় বুঝি না । কেন জানি মনে হয় কয়েকদিন ধরে কেউ আমাকে দেখছে । কিন্তু কাউকেই খুঁজে পাই না । আজকাল তো রাতেও ভয় লাগে ।
আম্মু আম্রে কেউ বাঁচাও ।
বাপরে বাপ ভয় লাগতেছে আম্মু আম্মু করে চিল্লাতে চিল্লাতে দৌড় দিছি ।
.
কি করবো কন তো লেখিকা ভুত ভয় পায় ।
পরের দিন গেটের বাইরে বের হতেই আবার চিরকুট । কি যে লেখা আছে ভাবতে ভাবতে উঠালাম কিন্তু যা লিখা ছিল তা দেখে থ আমি
"কি পিচ্চি ভুতের ভয় পাইছিলা নাকি কাল রাত্রে চিল্লায় আম্মু আম্মু করছিলা যে
রহস্যময়ী ছেলে"
হায় আল্লাহ কে এইডা ভুত নাকি
.
বাপরে যাই হোক আমার বেস্টু রে বলা লাগবে ।
.
আমি হলাম আনহা ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি আর আমার বেস্টু মিমি
.
আমি : ওই মিমি জানিস আমার পিছে ভুত লাগছে ।
মিমি : কেমনে কি ?
আমি বললাম ওকে সব কিছু
মিমি সব শুনে বলল
আনহা ভুত
আমি ভয় এ : কইইইইইইইই
মিমি : হিহি ফাজলামি করলাম
আমি : কুত্তি দাড়া তোরে মজা দেখাচ্ছি
.
বলেই দৌড় ওর পিছনে
.
এরকমই বেস্টু আমরা । এমন সময় একটা কাগজের এরোপ্লেন আমার গায়ে পড়লো তুলে দেখি আবার চিরকুট আম্মু ভুততততত আবার আসছে ।
"পিচ্চি দৌড়াচ্ছ যে তোমার চুল তো খুলেই গেছে এই খোলা চুল এ তোমাকে আরও দারুণ লাগতেছে । এই এতো সুন্দর কেন তুমি এভাবে বারবার তোমার প্রেমে পড়লে তো আমি শেষ আর পিচ্চি তোমার আমাকে দেওয়া ভুত নাম শুনে তো আমি হাসতে হাসতেই শেষ
রহস্যময়ী ছেলে"
.
এবার বল তো কে এইডা ভয় লাগতেছে ।
মিমি : জানি না বাট মে বি তোকে ভালোবাসে কিউট তো রে
আমি : আম্মু ভুত যদি আমাকে মারে ফেলে তাইলে আমি ভুত হয়ে আগে তোকে মারবো কুত্তি
মিমি : ভালোই হবে
আমি : হুম একসাথে তেতুল গাছে গল্প করবো হিহি
মিমি : হিহি মজা হবে
আমি : উরিম্মা সামনে মি. সিঙ্গার পালা
মিমি : কিডা
আমি : ওই যে নীলাদ্র ভাইয়া যার গান ভাল্লাগে আমার
মিমি : তাইলে ভয়ে দৌড়াস কেন
আমি : আসলে ভয় লাগে কেন জানি
.
যেই দৌড় দিতে যাব সাথেই কে যেন ডাক দিল
=> এই যে মিস আনহা
আমি : কে ডাকলো
নীলাদ্র : আমি
আমি : আমার নাম কেমনে জানলেন ( ভয় লাগতে ছিল )
নীলাদ্র : আমাকে দেখলে একজন ই ভয় এ পালায় তাই তার খোঁজ নেওয়া কোনো ব্যাপার
আমি : জি
নীলাদ্র : তো পালাও কেন আমাকে দেখলে
আমি : আপনার গান খুব ভালো লাগে কিন্তু কেন জানি আপনাকে আমার ভয় লাগে । এখনো ভয় লাগতেছে আমি পালালাম
.
হিহি ঠিক ঠিক পালায় গেছি। ক্যান্টিন এ ছিলাম আবার চিরকুট বাহহ
" কিউট পিচ্চি তোমার খোলা চুল আর পিচ্চি টাইপ বিহেভ বারবার তোমার প্রেমে পড়তে বাধ্য করে আমাকে
রহস্যময়ী ছেলে "
.
বাব্বাহ কিউট আছে । এমা আমি কি বলতেছি এইডা তো ভুত ।
.
বাড়ি ফিরতেছিলাম দেখি আমার বাড়ির পাশে মি. সিঙ্গার । এমা গান গাচ্ছে কিউট শুনেই যাবো । লুকায় শুনতেছি । বাহ্ কিউট ।
এমা সিঙ্গার এদিক আসতেছে
যেই দৌড় দিব কে জানি হাত ধরছে
আমি : ইইইইইই সরি আর গান শুনবো না সরি আমাকে মাফ করেন আমি ভাগি প্লিজ
নীলাদ্র : এই পিচ্চি এতো পালাও কেন আর ভয় পাও কেন আমি কি তোমাকে খেয়ে ফেলবো
আমি : না মানে এমনি ভয় লাগে
নীলাদ্র : তা আর ভয় পেও না
আমি : চেষ্টা করবো আপনি এদিক কেমনে
নীলাদ্র : কখনো মনে হয় লক্ষ করো নি আমি তোমার প্রতিবেশী
আমি : হিহি বাইরে কম যাই তাই
নীলাদ্র : জানি
আমি : কেমনে
নীলাদ্র : না মানে তোমার পাশে থাকি তাই
আমি : ও আমি ভাগলাম আবার ভয় লাগে
নীলাদ্র : হাহা
.
বিকেলে ছাদে বসে ছিলাম আর গান গাইতেছিলাম এই তো আমারো একটু গানের শখ ।
.
ওমা ছাদের ওদিক গিয়ে দেখি চিরকুট
" পিচ্চি ভালোই তো গান করো যাক আমার বউ গান পারে । ভয় পাওয়া ছাড়াও আর সন্ধা হচ্ছে ভিতরে যাও নইলে সত্তি ভুত ধরবে হাহা
রহস্যময়ী ছেলে "
.
এমা ঠিক ই তো বলছে ভাগলাম আমি ।
.
এমনেই ওই রহস্যময়ী প্রতিদিন চিরকুট দেয় । কখনো কখনো বেশি ই দেয় কিন্তু কে এ এখনো প্রশ্ন ।
এভাবেই আরও দুটো বছর
এ দু বছরও চিরকুট ওয়ালা আমাকে চিরকুট দিছে । কিন্তু আমি এখনো জানলাম না কে এই রহস্যময়ী । কোনো চিহ্ন রাখে না । খোঁজ নিলেও পাই না । কোনোদিন কি জানতেও পারবো না কে এই রহস্যময়ী ।
বিকেলে ছাদে বসে এসব ভাবছিলাম এ সময় আম্মু এসে যা বলল শুনে থ ।
.
নীলাদ্র ভাইয়া এখন বড় কম্পানি তে জব করেন । উনার সাথে নাকি আমার বিয়ে ঠিক আর ১০ দিন পর নাকি বিয়ে ।
.
আমি : কি বলছ এসব ?
আম্মু : ভালো ছেলে আমরাও চিনি তাই সবাই রাজি তুই ও রাজি হ
আমি কিছু বললাম না
.
বিয়ের সব কিছু ভালো ভাবেই হলো । আমি ভেবেছিলাম এ কয়দিন হয়তো আবার চিরকুট আসবে । হয় তো আমার সামনে আসবে কিন্তু এলো না ।
একদিন বিকেলে আমি ছাদে একটি চিরকুট রেখেছিলাম যে আমার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে পারলে সামনে এসো "
কিন্তু জবাব পাই নি কিন্তু চিরকুট টা কে জেন নিয়েছিল ।
বিয়ে হয়ে গেল
.
বাসরে
নীলাদ্র ভাইয়া থুক্কু এখন তো আমার বর আসলো ।
নীলাদ্র : কি পিচ্চি পালাবা না
আমি : পালানো যাবে কি পালালে ভালো হয়
নীলাদ্র : এই না এবার তো আর পালাতে দিব না তোমাকে
আমি : জি
.
চুপচাপ বসে ভাবতেছিলাম । দেখলাম নীলাদ্র একটা কাগজ আমাকে দিল
" তোমার বাড়ির পাশে থাকা যেদিন থেকে শুরু করলাম সেদিন প্রথম যখন তোমাকে দেখি ভালো লেগে যায় । তুমি কলেজে লুকিয়ে আমার গান শুনতে জানতাম । কিন্তু আমি সামনে গেলেই ভয়ে পালাতে । এরপর থেকে তোমাকে ফলো করি । তোমার পিচ্চি বিহেব গুলো আরও বেশি ভালো লাগতো । বাড়ির পাশে থাকতে বলে সবসময় আমিও লুকিয়ে তোমাকে দেখতাম । তুমি আমাকে ভয় পেতে বলে আমিই তোমাকে চিরকুট দিতাম । আমিই সে রহস্যময়ী ছেলে ।
কি ভাবছো দশদিন চিরকুট দেই নি কেন । আমারি তো বউ হচ্ছ । একটু সবুর করলাম তাই হিহি পিচ্চি বউ চিঠি টা পড়া হয়েছে তো এখন আমার চোখের দিকে তাকাও "
আমি আবারো থ
আমি : তাইলে ভুত না আপনি আই মিন রহস্যময়ী
নীলাদ্র : আরে না গো
আমি : বাঁচলাম এবার পালাই আমি
যেই দৌড় দিব
ও আমাকে জড়িয়ে ধরলো
বাহ আর ভয় লাগতেছে না কেন
...
এরপর শুরু হয় এক নতুন গল্প
.
.
( পুরোটাই আমার কল্পনা করা । এখনো আমি পিচ্চি তাই হয়তো ভালো হয় নি গল্প সরি )
নতুন নতুন ভালোবাসার গল্প,বাসর রাতের গল্প ও নতুন নতুন জোকস পেতে ভিজিট করতে পারেন আমার সাইটে
উত্তরমুছুনwww.valobasargolpo2.xyz,
বাংলা মজার জোকস,
বাংলা কৌতুক,
হাসির কৌতুক,
bangla jokes,
bangali jokes, mojar jokes,
bangla funny koutuk,
hasir koutuk,
bangla koutuk,
ভালবাসার গল্প,
valobasar Golpo,
Sad Golpo,
মন করার গল্প,
bangla hasir koutuk doctor jokes